in ইতিহাস ও নিদর্শন by
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ কেমন ছিলেন?

4 Answers

0 votes
by
 
Best answer
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ বাংলার সুলতান রাজত্ব ১৩৮৯–১৪১০ পূর্বসূরি সিকান্দার শাহ উত্তরসূরি সাইফউদ্দিন হামজা শাহ বংশধর সিকান্দার শাহ রাজবংশ ইলিয়াস শাহি রাজবংশ গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ (শাসনকাল ১৩৮৯-১৪১০) ছিলেন প্রথম ইলিয়াস শাহি রাজবংশের তৃতীয় সুলতান।[১] তিনি তৎকালীন বাংলার সুপরিচিত সুলতানদের অন্যতম ছিলেন। তার প্রকৃত নাম আজম শাহ। সিংহাসন আরোহণের পর তিনি গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ নাম ধারণ করেন। তিনি যুদ্ধর চেয়ে মিত্রতা ও কূটনীতির মাধ্যমে রাজ্যকে সমৃদ্ধ করতে বেশি আগ্রহী ছিলেন। তিনি চীনের মিং সাম্রাজ্যের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন, পারস্যের শীর্ষস্থানীয় চিন্তাবিদদের সাথে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন এবং আসামকে জয় করেছিলেন।[২] শাসনের প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি কামরূপের বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। তবে অঞ্চল জয়ের চেয়ে শাসন সুসংহত করার প্রতি তার মনোনিবেশ বেশি ছিল। জৌনপুরের খাজা জাহানের নিকট তিনি দূত ও উপহার প্রেরণ করেন।[৩] সমকালীন চৈনিক সম্রাট ইয়ং লির সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল। ১৪০৫, ১৪০৮ ও ১৪০৯ সালে তিনি চীনে দূত প্রেরণ করেন।[৩] ইয়ং লিও তার কাছে দূত ও উপহার পাঠান। গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ মক্কা ও মদিনায়ও দূত প্রেরণ করেন।[৪] এই দুই স্থানে গিয়াসিয়া মাদ্রাসা নামক দুটি মাদ্রাসা নির্মাণে তিনি আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন।[৩] তার শাসনামলে জমিদার রাজা গণেশ নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেন। গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ পন্ডিত ও কবিদের সমাদর করতেন। পারস্যের কবি হাফিজের সাথে তার পত্রবিনিময় হত। বাঙালি মুসলিম কবি শাহ মুহম্মদ সগীর তার বিখ্যাত রচনা ইউসুফ জুলেখা এ সময়ে সম্পন্ন করেন। এসময় কৃত্তিবাসের রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করা হয়।[৩] কবি হাফিজকে বাংলায় নিমন্ত্রন করার জবাবে তিনি সুলতানকে একটি গজল রচনা করে পাঠান। শক্কর শিকন শওন্দ হমাঃ তূতিয়ানে হিন্দ। যী কন্দে ফারসী কেঃ ব-বঙ্গালাঃ মী রওদ॥ হাফিয যে শওকে মজ্লিসে সুলতানে গিয়াস্দীন। গাফিল ম-শও কেঃ কারে তূ আয নালাঃ মী রওদ॥ ভারতের তোতা হবে মিষ্টি-মুখো সকল-ই, ফারসীর মিছরী যবে বাঙ্গালায় চলিছে। হে হাফিয! গিয়াসুদ্দীন শাহের সভার বাসনা ছেড়ো না, কাজ তোমারি কাঁদা-কাটায় চলিছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি গ্রামের নাম শাহচিল্লাপুর। নামটি সাধারণ মানুষের জানা না-ও থাকতে পারে। তবে যাঁদের আগ্রহ ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে, তাঁদের কাছে নামটি অজানা থাকার কথা নয়। এর কারণ একটিই, বাংলার স্বাধীন সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ। প্রথম ইলিয়াস শাহী বংশের এ সুলতানের সমাধি পরিদর্শনে সারা বছরই পর্যটকেরা এ গ্রামে ভিড় করেন। বইপুস্তক ঘেঁটে জানা যায়, বাংলার প্রথম ইলিয়াস শাহী বংশের তৃতীয় সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ। বিস্তৃতির চেয়ে রাজ্যকে সুদৃঢ় করার দিকে বেশি মনোযোগ ছিল তাঁর। শিক্ষাক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা ও সুশাসনের জন্য সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি। আইনের প্রতি ছিল তাঁর গভীর শ্রদ্ধা। তিনি বিদ্বান লোকদের সমাদর করতেন। মাঝেমধ্যে তিনি আরবি ও ফারসি ভাষায় কবিতা লিখতেন। পারস্যের বিখ্যাত কবি হাফিজের সঙ্গে তাঁর পত্রালাপ ছিল। কবি হাফিজ তাঁকে একটি গজল লিখে পাঠিয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যের উন্নতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান ছিল এ সুলতানের। গিয়াসউদ্দীন আজম শাহ তাঁর পিতা (সুলতান সিকান্দার শাহ) ও পিতামহের (সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ) মতোই আলেম ও সুফিদের ভক্তি-শ্রদ্ধা করতেন। তাঁর সমসাময়িকদের মধ্যে শেখ আলাউল হক ও নূর কুতুব আলম খুব বিখ্যাত ছিলেন। এ ছাড়া পবিত্র মক্কা ও মদিনার তীর্থযাত্রীদের সহায়তা করতেন গিয়াস উদ্দিন। বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ৯ জানুয়ারি সরেজমিনে দেখা যায়, সুলতান গিয়াস উদ্দিনের সমাধির পাশে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের একটি সাইনবোর্ড। এতে লেখা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি এ পুরাকীর্তির কোনো রকম ধ্বংস, বিকৃতি, পরিবর্তন বা ক্ষতি করলে পুরাকীর্তি আইন ১৯৭৬-এর ১৯ ধারা অনুযায়ী এক বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ১৯২০ সালের ২২ নভেম্বর গিয়াস উদ্দিনের সমাধিকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পুরাকীর্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে সরকার। সর্বশেষ ১৯৮৫ সালে এ সমাধির সংস্কারকাজ করে সরকার। সমাধিটি কষ্টিপাথরে নির্মিত। এটি ১০ ফুট লম্বা, ৫ ফুট চওড়া ও ৩ ফুট উঁচু। সমাধির ৩ ফুট উচ্চতার খিলানের ওপর আরও দেড় ফুট উচ্চতায় ৭ ফুট লম্বা অর্ধবৃত্তাকার কষ্টিপাথরে ঢাকা। মূল সমাধির কার্নিশে রয়েছে সূক্ষ্ম কারুকাজ খচিত অলংকার। দুই পাশে রয়েছে তিনটি করে তিন খাঁজবিশিষ্ট খিলান। খাঁজের মধ্যে রয়েছে প্রলম্বিত শিকল ও ঝুলন্ত ঘণ্টার নকশা। শাহচিল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ আলী (৫৫) বলেন, সুলতান গিয়াস উদ্দিনের সমাধিতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। সমাধিকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসারিত হয়েছে। ইতিহাসচর্চায়ও মনোনিবেশ করছে মানুষ। এভাবে নতুন প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছে। ঢাকার ধানমন্ডি থেকে সমাধি পরিদর্শনে আসা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, স্কুল ও কলেজপড়ুয়া দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি এসেছেন। ছেলেমেয়েদের বাংলার ইতিহাস ও শাসকদের সঙ্গে পরিচয় করাতে চান তিনি। জানতে চাইলে ইতিহাসবিদ শামসুদ্দৌহা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সুলতান গিয়াস উদ্দিনের সমাধি বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন। এর সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরও যত্নবান হওয়া উচিত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা এ সমাধির উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছি। গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্ এর মাজার। মাজারটি বাংলাদেশের সুলতানি আমলের নিকটতম বিদ্যমান কাঠামো যা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় শাহচিলাপুরে অবস্থিত। মাজারটি পাঁচপীর দরগার শতফুট পূর্বে এবং পুরনো শহর দক্ষিন উপকন্ঠে স্থানীয়ভাবে মাঘ দীঘি নামে পরিচিত একটি শুস্ক পুকুরের এক প্রান্তে অবস্থিত। মনোরস কষ্টি পাথরে ভাস্কর্য শিল্প অলংকৃত শিলালিপি সম্বলিত একটি টেবিলের উপর স্থাপন করা যা একটি কোরামের শীর্ষ কালো কাসল্টের একটি একক ব্লক নিয়ে গঠিত। জেমস ওয়াইজ এর মতে,মাজারটির উপরের অংশ পাথর স্তম্ভ বিশিষ্ট একটি ঘের দ্বারা বিষ্টিত। পাথরের উপরের বাটালি দ্বারা কাটা কাজের সঙ্গে প্রসাধিত ছিল। আজ কেবলমাত্র মাজারটির পূর্ব দিকে প্রসাধন দেখা যায়।মাজারের ভাস্কর্য অনেকটা আদিনা মসজিদের ভাস্কর্যের অনুরূপ। মাজারটি আনুমানিক ১৪১০ খ্রিস্টাব্দে সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজমশাহ কবরের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। কিভাবে যাওয়া যায়:ঢাকা থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক পথে বাসে করে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা অতপর সি.এন.জি/রিক্সা দিয়ে প্রায় ২৮ কি.মি. যাতায়াত ভাড়া মাত্র ৬৫/- টাকা।
0 votes
by
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ বাংলার সুলতান রাজত্ব ১৩৮৯–১৪১০ পূর্বসূরি সিকান্দার শাহ উত্তরসূরি সাইফউদ্দিন হামজা শাহ বংশধর সিকান্দার শাহ রাজবংশ ইলিয়াস শাহি রাজবংশ গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ (শাসনকাল ১৩৮৯-১৪১০) ছিলেন প্রথম ইলিয়াস শাহি রাজবংশের তৃতীয় সুলতান।[১] তিনি তৎকালীন বাংলার সুপরিচিত সুলতানদের অন্যতম ছিলেন। তার প্রকৃত নাম আজম শাহ। সিংহাসন আরোহণের পর তিনি গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ নাম ধারণ করেন। তিনি যুদ্ধর চেয়ে মিত্রতা ও কূটনীতির মাধ্যমে রাজ্যকে সমৃদ্ধ করতে বেশি আগ্রহী ছিলেন। তিনি চীনের মিং সাম্রাজ্যের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন, পারস্যের শীর্ষস্থানীয় চিন্তাবিদদের সাথে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন এবং আসামকে জয় করেছিলেন।[২] শাসনের প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি কামরূপের বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। তবে অঞ্চল জয়ের চেয়ে শাসন সুসংহত করার প্রতি তার মনোনিবেশ বেশি ছিল। জৌনপুরের খাজা জাহানের নিকট তিনি দূত ও উপহার প্রেরণ করেন।[৩] সমকালীন চৈনিক সম্রাট ইয়ং লির সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল। ১৪০৫, ১৪০৮ ও ১৪০৯ সালে তিনি চীনে দূত প্রেরণ করেন।[৩] ইয়ং লিও তার কাছে দূত ও উপহার পাঠান। গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ মক্কা ও মদিনায়ও দূত প্রেরণ করেন।[৪] এই দুই স্থানে গিয়াসিয়া মাদ্রাসা নামক দুটি মাদ্রাসা নির্মাণে তিনি আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন।[৩] তার শাসনামলে জমিদার রাজা গণেশ নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেন। গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ পন্ডিত ও কবিদের সমাদর করতেন। পারস্যের কবি হাফিজের সাথে তার পত্রবিনিময় হত। বাঙালি মুসলিম কবি শাহ মুহম্মদ সগীর তার বিখ্যাত রচনা ইউসুফ জুলেখা এ সময়ে সম্পন্ন করেন। এসময় কৃত্তিবাসের রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করা হয়।[৩] কবি হাফিজকে বাংলায় নিমন্ত্রন করার জবাবে তিনি সুলতানকে একটি গজল রচনা করে পাঠান। শক্কর শিকন শওন্দ হমাঃ তূতিয়ানে হিন্দ। যী কন্দে ফারসী কেঃ ব-বঙ্গালাঃ মী রওদ॥ হাফিয যে শওকে মজ্লিসে সুলতানে গিয়াস্দীন। গাফিল ম-শও কেঃ কারে তূ আয নালাঃ মী রওদ॥ ভারতের তোতা হবে মিষ্টি-মুখো সকল-ই, ফারসীর মিছরী যবে বাঙ্গালায় চলিছে। হে হাফিয! গিয়াসুদ্দীন শাহের সভার বাসনা ছেড়ো না, কাজ তোমারি কাঁদা-কাটায় চলিছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি গ্রামের নাম শাহচিল্লাপুর। নামটি সাধারণ মানুষের জানা না-ও থাকতে পারে। তবে যাঁদের আগ্রহ ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে, তাঁদের কাছে নামটি অজানা থাকার কথা নয়। এর কারণ একটিই, বাংলার স্বাধীন সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ। প্রথম ইলিয়াস শাহী বংশের এ সুলতানের সমাধি পরিদর্শনে সারা বছরই পর্যটকেরা এ গ্রামে ভিড় করেন। বইপুস্তক ঘেঁটে জানা যায়, বাংলার প্রথম ইলিয়াস শাহী বংশের তৃতীয় সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ। বিস্তৃতির চেয়ে রাজ্যকে সুদৃঢ় করার দিকে বেশি মনোযোগ ছিল তাঁর। শিক্ষাক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা ও সুশাসনের জন্য সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি। আইনের প্রতি ছিল তাঁর গভীর শ্রদ্ধা। তিনি বিদ্বান লোকদের সমাদর করতেন। মাঝেমধ্যে তিনি আরবি ও ফারসি ভাষায় কবিতা লিখতেন। পারস্যের বিখ্যাত কবি হাফিজের সঙ্গে তাঁর পত্রালাপ ছিল। কবি হাফিজ তাঁকে একটি গজল লিখে পাঠিয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যের উন্নতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান ছিল এ সুলতানের। গিয়াসউদ্দীন আজম শাহ তাঁর পিতা (সুলতান সিকান্দার শাহ) ও পিতামহের (সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ) মতোই আলেম ও সুফিদের ভক্তি-শ্রদ্ধা করতেন। তাঁর সমসাময়িকদের মধ্যে শেখ আলাউল হক ও নূর কুতুব আলম খুব বিখ্যাত ছিলেন। এ ছাড়া পবিত্র মক্কা ও মদিনার তীর্থযাত্রীদের সহায়তা করতেন গিয়াস উদ্দিন। বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ৯ জানুয়ারি সরেজমিনে দেখা যায়, সুলতান গিয়াস উদ্দিনের সমাধির পাশে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের একটি সাইনবোর্ড। এতে লেখা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি এ পুরাকীর্তির কোনো রকম ধ্বংস, বিকৃতি, পরিবর্তন বা ক্ষতি করলে পুরাকীর্তি আইন ১৯৭৬-এর ১৯ ধারা অনুযায়ী এক বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ১৯২০ সালের ২২ নভেম্বর গিয়াস উদ্দিনের সমাধিকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পুরাকীর্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে সরকার। সর্বশেষ ১৯৮৫ সালে এ সমাধির সংস্কারকাজ করে সরকার। সমাধিটি কষ্টিপাথরে নির্মিত। এটি ১০ ফুট লম্বা, ৫ ফুট চওড়া ও ৩ ফুট উঁচু। সমাধির ৩ ফুট উচ্চতার খিলানের ওপর আরও দেড় ফুট উচ্চতায় ৭ ফুট লম্বা অর্ধবৃত্তাকার কষ্টিপাথরে ঢাকা। মূল সমাধির কার্নিশে রয়েছে সূক্ষ্ম কারুকাজ খচিত অলংকার। দুই পাশে রয়েছে তিনটি করে তিন খাঁজবিশিষ্ট খিলান। খাঁজের মধ্যে রয়েছে প্রলম্বিত শিকল ও ঝুলন্ত ঘণ্টার নকশা। শাহচিল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ আলী (৫৫) বলেন, সুলতান গিয়াস উদ্দিনের সমাধিতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। সমাধিকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসারিত হয়েছে। ইতিহাসচর্চায়ও মনোনিবেশ করছে মানুষ। এভাবে নতুন প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছে। ঢাকার ধানমন্ডি থেকে সমাধি পরিদর্শনে আসা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, স্কুল ও কলেজপড়ুয়া দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি এসেছেন। ছেলেমেয়েদের বাংলার ইতিহাস ও শাসকদের সঙ্গে পরিচয় করাতে চান তিনি। জানতে চাইলে ইতিহাসবিদ শামসুদ্দৌহা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সুলতান গিয়াস উদ্দিনের সমাধি বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন। এর সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরও যত্নবান হওয়া উচিত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা এ সমাধির উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছি। গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্ এর মাজার। মাজারটি বাংলাদেশের সুলতানি আমলের নিকটতম বিদ্যমান কাঠামো যা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় শাহচিলাপুরে অবস্থিত। মাজারটি পাঁচপীর দরগার শতফুট পূর্বে এবং পুরনো শহর দক্ষিন উপকন্ঠে স্থানীয়ভাবে মাঘ দীঘি নামে পরিচিত একটি শুস্ক পুকুরের এক প্রান্তে অবস্থিত। মনোরস কষ্টি পাথরে ভাস্কর্য শিল্প অলংকৃত শিলালিপি সম্বলিত একটি টেবিলের উপর স্থাপন করা যা একটি কোরামের শীর্ষ কালো কাসল্টের একটি একক ব্লক নিয়ে গঠিত। জেমস ওয়াইজ এর মতে,মাজারটির উপরের অংশ পাথর স্তম্ভ বিশিষ্ট একটি ঘের দ্বারা বিষ্টিত। পাথরের উপরের বাটালি দ্বারা কাটা কাজের সঙ্গে প্রসাধিত ছিল। আজ কেবলমাত্র মাজারটির পূর্ব দিকে প্রসাধন দেখা যায়।মাজারের ভাস্কর্য অনেকটা আদিনা মসজিদের ভাস্কর্যের অনুরূপ। মাজারটি আনুমানিক ১৪১০ খ্রিস্টাব্দে সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজমশাহ কবরের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়।
0 votes
by
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ বাংলার সুলতান রাজত্ব ১৩৮৯–১৪১০ পূর্বসূরি সিকান্দার শাহ উত্তরসূরি সাইফউদ্দিন হামজা শাহ বংশধর সিকান্দার শাহ রাজবংশ ইলিয়াস শাহি রাজবংশ গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ (শাসনকাল ১৩৮৯-১৪১০) ছিলেন প্রথম ইলিয়াস শাহি রাজবংশের তৃতীয় সুলতান।[১] তিনি তৎকালীন বাংলার সুপরিচিত সুলতানদের অন্যতম ছিলেন। তার প্রকৃত নাম আজম শাহ। সিংহাসন আরোহণের পর তিনি গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ নাম ধারণ করেন। তিনি যুদ্ধর চেয়ে মিত্রতা ও কূটনীতির মাধ্যমে রাজ্যকে সমৃদ্ধ করতে বেশি আগ্রহী ছিলেন। তিনি চীনের মিং সাম্রাজ্যের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন, পারস্যের শীর্ষস্থানীয় চিন্তাবিদদের সাথে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন এবং আসামকে জয় করেছিলেন।[২] শাসনের প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি কামরূপের বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। তবে অঞ্চল জয়ের চেয়ে শাসন সুসংহত করার প্রতি তার মনোনিবেশ বেশি ছিল। জৌনপুরের খাজা জাহানের নিকট তিনি দূত ও উপহার প্রেরণ করেন।[৩] সমকালীন চৈনিক সম্রাট ইয়ং লির সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল। ১৪০৫, ১৪০৮ ও ১৪০৯ সালে তিনি চীনে দূত প্রেরণ করেন।[৩] ইয়ং লিও তার কাছে দূত ও উপহার পাঠান। গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ মক্কা ও মদিনায়ও দূত প্রেরণ করেন।[৪] এই দুই স্থানে গিয়াসিয়া মাদ্রাসা নামক দুটি মাদ্রাসা নির্মাণে তিনি আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন।[৩] তার শাসনামলে জমিদার রাজা গণেশ নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেন। গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ পন্ডিত ও কবিদের সমাদর করতেন। পারস্যের কবি হাফিজের সাথে তার পত্রবিনিময় হত। বাঙালি মুসলিম কবি শাহ মুহম্মদ সগীর তার বিখ্যাত রচনা ইউসুফ জুলেখা এ সময়ে সম্পন্ন করেন। এসময় কৃত্তিবাসের রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করা হয়।[৩] কবি হাফিজকে বাংলায় নিমন্ত্রন করার জবাবে তিনি সুলতানকে একটি গজল রচনা করে পাঠান। শক্কর শিকন শওন্দ হমাঃ তূতিয়ানে হিন্দ। যী কন্দে ফারসী কেঃ ব-বঙ্গালাঃ মী রওদ॥ হাফিয যে শওকে মজ্লিসে সুলতানে গিয়াস্দীন। গাফিল ম-শও কেঃ কারে তূ আয নালাঃ মী রওদ॥ ভারতের তোতা হবে মিষ্টি-মুখো সকল-ই, ফারসীর মিছরী যবে বাঙ্গালায় চলিছে। হে হাফিয! গিয়াসুদ্দীন শাহের সভার বাসনা ছেড়ো না, কাজ তোমারি কাঁদা-কাটায় চলিছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি গ্রামের নাম শাহচিল্লাপুর। নামটি সাধারণ মানুষের জানা না-ও থাকতে পারে। তবে যাঁদের আগ্রহ ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে, তাঁদের কাছে নামটি অজানা থাকার কথা নয়। এর কারণ একটিই, বাংলার স্বাধীন সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ। প্রথম ইলিয়াস শাহী বংশের এ সুলতানের সমাধি পরিদর্শনে সারা বছরই পর্যটকেরা এ গ্রামে ভিড় করেন। বইপুস্তক ঘেঁটে জানা যায়, বাংলার প্রথম ইলিয়াস শাহী বংশের তৃতীয় সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ। বিস্তৃতির চেয়ে রাজ্যকে সুদৃঢ় করার দিকে বেশি মনোযোগ ছিল তাঁর। শিক্ষাক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা ও সুশাসনের জন্য সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি। আইনের প্রতি ছিল তাঁর গভীর শ্রদ্ধা। তিনি বিদ্বান লোকদের সমাদর করতেন। মাঝেমধ্যে তিনি আরবি ও ফারসি ভাষায় কবিতা লিখতেন। পারস্যের বিখ্যাত কবি হাফিজের সঙ্গে তাঁর পত্রালাপ ছিল। কবি হাফিজ তাঁকে একটি গজল লিখে পাঠিয়েছিলেন। বাংলা সাহিত্যের উন্নতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান ছিল এ সুলতানের। গিয়াসউদ্দীন আজম শাহ তাঁর পিতা (সুলতান সিকান্দার শাহ) ও পিতামহের (সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ) মতোই আলেম ও সুফিদের ভক্তি-শ্রদ্ধা করতেন। তাঁর সমসাময়িকদের মধ্যে শেখ আলাউল হক ও নূর কুতুব আলম খুব বিখ্যাত ছিলেন। এ ছাড়া পবিত্র মক্কা ও মদিনার তীর্থযাত্রীদের সহায়তা করতেন গিয়াস উদ্দিন। বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ৯ জানুয়ারি সরেজমিনে দেখা যায়, সুলতান গিয়াস উদ্দিনের সমাধির পাশে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের একটি সাইনবোর্ড। এতে লেখা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি এ পুরাকীর্তির কোনো রকম ধ্বংস, বিকৃতি, পরিবর্তন বা ক্ষতি করলে পুরাকীর্তি আইন ১৯৭৬-এর ১৯ ধারা অনুযায়ী এক বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ১৯২০ সালের ২২ নভেম্বর গিয়াস উদ্দিনের সমাধিকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পুরাকীর্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে সরকার। সর্বশেষ ১৯৮৫ সালে এ সমাধির সংস্কারকাজ করে সরকার। সমাধিটি কষ্টিপাথরে নির্মিত। এটি ১০ ফুট লম্বা, ৫ ফুট চওড়া ও ৩ ফুট উঁচু। সমাধির ৩ ফুট উচ্চতার খিলানের ওপর আরও দেড় ফুট উচ্চতায় ৭ ফুট লম্বা অর্ধবৃত্তাকার কষ্টিপাথরে ঢাকা। মূল সমাধির কার্নিশে রয়েছে সূক্ষ্ম কারুকাজ খচিত অলংকার। দুই পাশে রয়েছে তিনটি করে তিন খাঁজবিশিষ্ট খিলান। খাঁজের মধ্যে রয়েছে প্রলম্বিত শিকল ও ঝুলন্ত ঘণ্টার নকশা। শাহচিল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ আলী (৫৫) বলেন, সুলতান গিয়াস উদ্দিনের সমাধিতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। সমাধিকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসারিত হয়েছে। ইতিহাসচর্চায়ও মনোনিবেশ করছে মানুষ। এভাবে নতুন প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছে। ঢাকার ধানমন্ডি থেকে সমাধি পরিদর্শনে আসা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, স্কুল ও কলেজপড়ুয়া দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি এসেছেন। ছেলেমেয়েদের বাংলার ইতিহাস ও শাসকদের সঙ্গে পরিচয় করাতে চান তিনি। জানতে চাইলে ইতিহাসবিদ শামসুদ্দৌহা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সুলতান গিয়াস উদ্দিনের সমাধি বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন। এর সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরও যত্নবান হওয়া উচিত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা এ সমাধির উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছি। গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্ এর মাজার। মাজারটি বাংলাদেশের সুলতানি আমলের নিকটতম বিদ্যমান কাঠামো যা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় শাহচিলাপুরে অবস্থিত। মাজারটি পাঁচপীর দরগার শতফুট পূর্বে এবং পুরনো শহর দক্ষিন উপকন্ঠে স্থানীয়ভাবে মাঘ দীঘি নামে পরিচিত একটি শুস্ক পুকুরের এক প্রান্তে অবস্থিত। মনোরস কষ্টি পাথরে ভাস্কর্য শিল্প অলংকৃত শিলালিপি সম্বলিত একটি টেবিলের উপর স্থাপন করা যা একটি কোরামের শীর্ষ কালো কাসল্টের একটি একক ব্লক নিয়ে গঠিত। জেমস ওয়াইজ এর মতে,মাজারটির উপরের অংশ পাথর স্তম্ভ বিশিষ্ট একটি ঘের দ্বারা বিষ্টিত। পাথরের উপরের বাটালি দ্বারা কাটা কাজের সঙ্গে প্রসাধিত ছিল। আজ কেবলমাত্র মাজারটির পূর্ব দিকে প্রসাধন দেখা যায়।মাজারের ভাস্কর্য অনেকটা আদিনা মসজিদের ভাস্কর্যের অনুরূপ
0 votes
by
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ ছিলেন একটি প্রখ্যাত বাংলার সুলতান, যিনি ১৪৮১ থেকে ১৪৯০ সাল পর্যন্ত বাংলার সুলতান হিসেবে রাজত্ব করেন। তিনি ছিলেন বাংলার সুলতানী রাজ্যের দ্বিতীয় শাসক এবং এর পেছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।

জীবনী ও ইতিহাস:

1. পটভূমি:

গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ জন্মগ্রহণ করেন ১৪৪২ সালে। তিনি ছিলেন বাঙালি মুসলিম রাজপরিবারের সদস্য।


2. রাজত্ব:

তিনি প্রথমে একটি গবর্নর হিসেবে কাজ করছিলেন এবং পরে গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ নামকরণ করে সুলতানি পদে আসীন হন।

তাঁর শাসনামলকালীন, বাংলার অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ঘটে।


3. সাংস্কৃতিক অবদান:

গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ একটি সংস্কৃতিপ্রেমী সুলতান ছিলেন এবং তিনি সাহিত্য ও শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করেন।

তাঁর সময়ে বাংলায় কবিতা ও সাহিত্য বিকাশ পেয়েছিল, বিশেষ করে শাহ মুহম্মদ সগীরের "পদ্মাবতী" কাব্যের রচনায়।


4. ইসলাম প্রচার:

তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগী ছিলেন এবং তাঁর শাসনামলে বহু মসজিদ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।


5. মৃত্যু:

গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে নাসিরউদ্দিন নাসির শাহ সুলতান হন এবং বাংলার সুলতানি রাজত্বকে এগিয়ে নিয়ে যান।


উপসংহার:

গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেন। তাঁর শাসনামল বাংলার সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করে। তাঁর নেতৃত্বে, বাংলায় ইসলামী সংস্কৃতি ও সাহিত্য আরও বিকাশ লাভ করেছিল।

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...