in ইতিহাস ও নিদর্শন by
ইমাদউদ্দিন মুহাম্মদ বিন কাসিম আল সাকাফি কি ছিলেন?

2 Answers

0 votes
by
 
Best answer
ইমাদউদ্দিন মুহাম্মদ বিন কাসিম আল সাকাফি (আরবি: عماد الدين محمد بن القاسم الثقفي; c. ৩১ ডিসেম্বর ৬৯৫ – ১৮ জুলাই ৭১৫[১]) ছিলেন একজন উমাইয়া সেনাপতি। সিন্ধু নদসহ সিন্ধু ও মুলতান অঞ্চল তিনি জয় করে উমাইয়া খিলাফতের অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি তাইফে (বর্তমান সৌদি আরব) জন্মগ্রহণ করেন। তার সিন্ধু জয়ের কারণে মুসলিমদের পক্ষে মুসলিমদের ভারতীয় উপমহাদেশ বিজয়ের পথ প্রশস্ত হয়। মুহাম্মদ বিন কাসিম তাইফের সাকিফ গোত্রের সদস্য ছিলেন। তার পিতা কাসিম বিন ইউসুফ তার বাল্যকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার চাচা উমাইয়া গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ তাকে যুদ্ধবিদ্যা ও সরকার পরিচালনা শিক্ষা দেন। সিন্ধু যাত্রার পূর্বে মুহাম্মদ বিন কাসিম তার চাচাত বোন হাজ্জাজের কন্যা জুবাইদাকে বিয়ে করেন। তার আরেকজন চাচা মুহাম্মদ বিন ইউসুফ ইয়েমেনের গভর্নর ছিলেন। হাজ্জাজের পৃষ্ঠপোষকতায় মুহাম্মদ বিন কাসিম পারস্যের গভর্নর হন। সেখানে তিনি একটি বিদ্রোহ দমন করতে সফল হন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সাথে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তা থাকার কারণে খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিকের ক্ষমতাগ্রহণের পর তাকে মৃত্যুদন্ড 2 ১৫ই মে।এই দিনে মুহাম্মদ বিন কাছিম মাত্র ১৭ বছর বয়সে ভারতীয় উপমহাদেশ বিজয় করেন। আমরা ভুলে গেছি মুহাম্মদ বিন কাছিমের মত বীর সৈনিকদের । আমাদের টাইমলাইনে কত অনর্থক লেখা শোভা পায় কিন্তু মুসলিম বীরদের স্মরণ করে আমরা এতটুকু রেস্পেক্টও করতে পারি না।আসলে আক্ষেপ করে লাভ নেই।তরুনেরা এ ব্যাপারে কিছু জানলে তো লিখবে? তাদের জানানো হয় নি জানতে দেয়া হয় নিআজ সে মহান বীর কে স্মরণ করিয়ে দিতে সম্পর্কে কিছু লিখতে যাচ্ছি।দুর্ভাগ্য মুসলিম জাতীর ইসলামের ইতিহাসের বিশ্বজয়ী বীরদের নোট লিখে পরিচয় করাতে হচ্ছে।অথচ আমদের কিনা এদের কিনা কথায় কথায় এই বীরদের নিয়ে গর্ব করার কথা ছিল।আজ তরুণেরা শাহরুখ খান সালমান খানকে কে নিয়ে গর্ব করে সে একজন মুসলিম বলে,মুহাম্মাদ বিন কাসিমের নাম য়ত এই প্রথম শুনছে এমন অবস্থা।যারা আইডিন্টি ক্রাইসিসে ভুগছে তাদের জন্যই আমার আজকের লেখা। মুহাম্মদ বিন কাসিম ৬৯৫ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর সৌদি আরবের তায়েফে জন্মগ্রহণ করেন। এই উমাইয়া সেনাপতি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু এবং পাঞ্জাব জয় করেন। তার এই অসামান্য কীর্তির মধ্য দিয়েই ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের শুরু। তায়েফের থাকিফের গোত্রভুক্ত কাসিমের বাবার নাম কাসিম বিন ইউসুফ। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ছিলেন বসরার গভর্নর, তখন ইসলামি খিলাফত রাষ্ট্রের সাথে তুরস্ক ও আফ্রিকার যুদ্ধ চলছিল। খলীফা ওলীদ ছিলেন মুসলিমদের খলীফা। তুরস্কের জিহাদের সেনাপতি কুতায়বা যুদ্ধ বিষয়ে পরামর্শ করতে তার পক্ষ থেকে একজন দূত পাঠিয়েছেন হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কাছে। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ খিলাফতের সকল জিহাদ বিষয়ে নকশা তৈরি ও বিশ্লেষণ করতেন। তিনি মানচিত্র নিয়ে গবেষণা করার সময় এক দূতের আগমন শুনে তাকে তার নিকট আসতে বলেন। কিছুক্ষণ পর বর্ম পরিহিত পনের-ষোল বছরের এক যুবক প্রবেশ করল, তার মস্তকে তাম্র নির্মিত এক শিরস্রান সোভা পাচ্ছিল। দৃঢ় গঠন, দীপ্ত নয়ন এবং হালকা অথচ বদ্ধ ওষ্ঠ এক অসাধারণ দৃঢ়টা ও মনোবলের পরিচয় দিচ্ছিল। যুবককে দেখে তিনি কুতায়বার পরিহাস করে বললেন আমি কুতায়বাকে একজন অভিজ্ঞ সেনাপতি প্রেরণ করতে বলেছিলাম, আর সে আমাকে আট বছরের বালককে পাঠিয়ে দিয়েছে। যুবক জবাব দিল,আমার বয়স ১৬ বছর ৮ মাস। আপনি যাকে পাঠাতে বলেছেন আমি সেই। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ বললেন, তুমি কুতায়বার শ্রেষ্ঠতম সেনাপতি? কুতায়বার সাথে তোমার সম্পর্ক কী? যুবক জবাব দিল আমরা উভয়েই মুসলমান। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ বললেন, আমাকে বুঝিয়ে দাও যে সৈন্য বাহিনী হিরাতের ন্যায় সামান্য নগর জয় করতে অক্ষম, সে বোখরার মত দৃঢ় ও শক্তিশালী শহর কিভাবে জয়ের আসা করে? ওহ আগে বল তুমি মানচিত্র পাঠ করতে জান তো? যুবক কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়েই সম্পূর্ণ যুদ্ধ কৌশল এমন ভাবে মানচিত্র ধরে ধরে বুঝালেন যে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ বিস্ময়ের সাথে চুপ করে তার দিকে তাকিয়েই রইলেন। পরে জিজ্ঞাস করলেন তুমি কোন উপজাতির লোক? যুবক উত্তর দিল, আমি সাকাফি। হাজ্জাজ বললেন, তুমি সাকাফি?? তোমার নাম কী? যুবক উত্তর দিল, মুহম্মদ ইবনে কাশিম। হাজ্জাস চমকে বললেন, কাশিমের পুত্রের কাছে আমি এটাই আশা করেছিলাম। তুমি আমাকে চিন? ....... তুমি আমার ভাতুস্পুত্র। আসলে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ যখন মক্কায় আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়রকে হত্যা করে মদিনায় ফিরে আসেন তখন থেকেই মদিনায় মুহম্মদ বিন কাশিমের পিতা, তার ভাই তাকে দেখতে পারতো না। আর এই কারনে মুহম্মদ বিন কাশিমের মা তাকে কখনো চাচা হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সাথে দেখা করতে দেন নি। পরে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ মুহম্মদ বিন কাশিমের সাথে তার নিজ কন্যা যুবায়দার বিয়ে দেন এবং তাকে দামেস্কে খলীফা ওলীদের নিকট যুদ্ধ বিষয়ক বিশ্লেষকের পদে নিযুক্ত করে প্রেরণ করেন। যাতে খলীফা আফ্রিকার সাথে জিহাদের কৌশল ও বিশ্লেষনের জন্য মুহম্মদ বিন কাশিমকে দায়িত্ব দেন। মুলত হাজ্জাজ এই কাজে তাকে নিযুক্ত করেন নিজের ভাতুস্পুত্র হওয়ার কারণে নয় বরং তার যুদ্ধ কৌশলের উপর মুগ্ধ হয়েই। মুহম্মদ ইবনে কাশিম দামিস্কে খলীফার কাছে যাওয়ার পূর্বেই হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কাছে মকরণ থেকে এক দূত আসে। দূত হাজ্জাজের কাছে এক মুসলিম বালিকার রক্তে লিখা এক চিঠি দিয়ে সিন্দু রাজ্যে কিছু মুসলিম এতিম ও নারী-পুরুষের উপর সেখানকার রাজার অত্যাচারের কথা বর্ণনা করেন। মুহম্মদ বিন কাশিমও তা শুনার পর সিদ্ধান্ত নেন দ্রুত দামিস্কে যেয়ে তিনি সবার আগে খলীফাকে সিন্দুর বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করার জন্য বলবেন। কিন্তু খিলাফত রাষ্ট্র তখন আফ্রিকা ও তুরস্কের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত এবং স্পেনের সাথে যুদ্ধ শুরু হবে হবে ভাব থাকায় খলীফা নতুন করে সিন্ধুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সবাই চিন্তিত থাকেন। সৈন্য সংখ্যার সল্পতাই এই চিন্তার মুল কারন।
0 votes
by
ইমাদউদ্দিন মুহাম্মদ বিন কাসিম আল সাকাফি (আরবি: عماد الدين محمد بن القاسم الثقفي; c. ৩১ ডিসেম্বর ৬৯৫ – ১৮ জুলাই ৭১৫[১]) ছিলেন একজন উমাইয়া সেনাপতি। সিন্ধু নদসহ সিন্ধু ও মুলতান অঞ্চল তিনি জয় করে উমাইয়া খিলাফতের অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি তাইফে (বর্তমান সৌদি আরব) জন্মগ্রহণ করেন। তার সিন্ধু জয়ের কারণে মুসলিমদের পক্ষে মুসলিমদের ভারতীয় উপমহাদেশ বিজয়ের পথ প্রশস্ত হয়। মুহাম্মদ বিন কাসিম তাইফের সাকিফ গোত্রের সদস্য ছিলেন। তার পিতা কাসিম বিন ইউসুফ তার বাল্যকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার চাচা উমাইয়া গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ তাকে যুদ্ধবিদ্যা ও সরকার পরিচালনা শিক্ষা দেন। সিন্ধু যাত্রার পূর্বে মুহাম্মদ বিন কাসিম তার চাচাত বোন হাজ্জাজের কন্যা জুবাইদাকে বিয়ে করেন। তার আরেকজন চাচা মুহাম্মদ বিন ইউসুফ ইয়েমেনের গভর্নর ছিলেন। হাজ্জাজের পৃষ্ঠপোষকতায় মুহাম্মদ বিন কাসিম পারস্যের গভর্নর হন। সেখানে তিনি একটি বিদ্রোহ দমন করতে সফল হন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সাথে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তা থাকার কারণে খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিকের ক্ষমতাগ্রহণের পর তাকে মৃত্যুদন্ড 2 ১৫ই মে।এই দিনে মুহাম্মদ বিন কাছিম মাত্র ১৭ বছর বয়সে ভারতীয় উপমহাদেশ বিজয় করেন। আমরা ভুলে গেছি মুহাম্মদ বিন কাছিমের মত বীর সৈনিকদের । আমাদের টাইমলাইনে কত অনর্থক লেখা শোভা পায় কিন্তু মুসলিম বীরদের স্মরণ করে আমরা এতটুকু রেস্পেক্টও করতে পারি না।আসলে আক্ষেপ করে লাভ নেই।তরুনেরা এ ব্যাপারে কিছু জানলে তো লিখবে? তাদের জানানো হয় নি জানতে দেয়া হয় নিআজ সে মহান বীর কে স্মরণ করিয়ে দিতে সম্পর্কে কিছু লিখতে যাচ্ছি।দুর্ভাগ্য মুসলিম জাতীর ইসলামের ইতিহাসের বিশ্বজয়ী বীরদের নোট লিখে পরিচয় করাতে হচ্ছে।অথচ আমদের কিনা এদের কিনা কথায় কথায় এই বীরদের নিয়ে গর্ব করার কথা ছিল।আজ তরুণেরা শাহরুখ খান সালমান খানকে কে নিয়ে গর্ব করে সে একজন মুসলিম বলে,মুহাম্মাদ বিন কাসিমের নাম য়ত এই প্রথম শুনছে এমন অবস্থা।যারা আইডিন্টি ক্রাইসিসে ভুগছে তাদের জন্যই আমার আজকের লেখা। মুহাম্মদ বিন কাসিম ৬৯৫ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর সৌদি আরবের তায়েফে জন্মগ্রহণ করেন। এই উমাইয়া সেনাপতি মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু এবং পাঞ্জাব জয় করেন। তার এই অসামান্য কীর্তির মধ্য দিয়েই ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের শুরু। তায়েফের থাকিফের গোত্রভুক্ত কাসিমের বাবার নাম কাসিম বিন ইউসুফ। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ছিলেন বসরার গভর্নর, তখন ইসলামি খিলাফত রাষ্ট্রের সাথে তুরস্ক ও আফ্রিকার যুদ্ধ চলছিল। খলীফা ওলীদ ছিলেন মুসলিমদের খলীফা। তুরস্কের জিহাদের সেনাপতি কুতায়বা যুদ্ধ বিষয়ে পরামর্শ করতে তার পক্ষ থেকে একজন দূত পাঠিয়েছেন হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কাছে। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ খিলাফতের সকল জিহাদ বিষয়ে নকশা তৈরি ও বিশ্লেষণ করতেন। তিনি মানচিত্র নিয়ে গবেষণা করার সময় এক দূতের আগমন শুনে তাকে তার নিকট আসতে বলেন। কিছুক্ষণ পর বর্ম পরিহিত পনের-ষোল বছরের এক যুবক প্রবেশ করল, তার মস্তকে তাম্র নির্মিত এক শিরস্রান সোভা পাচ্ছিল। দৃঢ় গঠন, দীপ্ত নয়ন এবং হালকা অথচ বদ্ধ ওষ্ঠ এক অসাধারণ দৃঢ়টা ও মনোবলের পরিচয় দিচ্ছিল। যুবককে দেখে তিনি কুতায়বার পরিহাস করে বললেন আমি কুতায়বাকে একজন অভিজ্ঞ সেনাপতি প্রেরণ করতে বলেছিলাম, আর সে আমাকে আট বছরের বালককে পাঠিয়ে দিয়েছে। যুবক জবাব দিল,আমার বয়স ১৬ বছর ৮ মাস। আপনি যাকে পাঠাতে বলেছেন আমি সেই। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ বললেন, তুমি কুতায়বার শ্রেষ্ঠতম সেনাপতি? কুতায়বার সাথে তোমার সম্পর্ক কী? যুবক জবাব দিল আমরা উভয়েই মুসলমান। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ বললেন, আমাকে বুঝিয়ে দাও যে সৈন্য বাহিনী হিরাতের ন্যায় সামান্য নগর জয় করতে অক্ষম, সে বোখরার মত দৃঢ় ও শক্তিশালী শহর কিভাবে জয়ের আসা করে? ওহ আগে বল তুমি মানচিত্র পাঠ করতে জান তো? যুবক কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়েই সম্পূর্ণ যুদ্ধ কৌশল এমন ভাবে মানচিত্র ধরে ধরে বুঝালেন যে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ বিস্ময়ের সাথে চুপ করে তার দিকে তাকিয়েই রইলেন। পরে জিজ্ঞাস করলেন তুমি কোন উপজাতির লোক? যুবক উত্তর দিল, আমি সাকাফি। হাজ্জাজ বললেন, তুমি সাকাফি?? তোমার নাম কী? যুবক উত্তর দিল, মুহম্মদ ইবনে কাশিম। হাজ্জাস চমকে বললেন, কাশিমের পুত্রের কাছে আমি এটাই আশা করেছিলাম। তুমি আমাকে চিন? ....... তুমি আমার ভাতুস্পুত্র। আসলে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ যখন মক্কায় আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়রকে হত্যা করে মদিনায় ফিরে আসেন তখন থেকেই মদিনায় মুহম্মদ বিন কাশিমের পিতা, তার ভাই তাকে দেখতে পারতো না। আর এই কারনে মুহম্মদ বিন কাশিমের মা তাকে কখনো চাচা হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সাথে দেখা করতে দেন নি। পরে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ মুহম্মদ বিন কাশিমের সাথে তার নিজ কন্যা যুবায়দার বিয়ে দেন এবং তাকে দামেস্কে খলীফা ওলীদের নিকট যুদ্ধ বিষয়ক বিশ্লেষকের পদে নিযুক্ত করে প্রেরণ করেন। যাতে খলীফা আফ্রিকার সাথে জিহাদের কৌশল ও বিশ্লেষনের জন্য মুহম্মদ বিন কাশিমকে দায়িত্ব দেন। মুলত হাজ্জাজ এই কাজে তাকে নিযুক্ত করেন নিজের ভাতুস্পুত্র হওয়ার কারণে নয় বরং তার যুদ্ধ কৌশলের উপর মুগ্ধ হয়েই। মুহম্মদ ইবনে কাশিম দামিস্কে খলীফার কাছে যাওয়ার পূর্বেই হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কাছে মকরণ থেকে এক দূত আসে। দূত হাজ্জাজের কাছে এক মুসলিম বালিকার রক্তে লিখা এক চিঠি দিয়ে সিন্দু রাজ্যে কিছু মুসলিম এতিম ও নারী-পুরুষের উপর সেখানকার রাজার অত্যাচারের কথা বর্ণনা করেন। মুহম্মদ বিন কাশিমও তা শুনার পর সিদ্ধান্ত নেন দ্রুত দামিস্কে যেয়ে তিনি সবার আগে খলীফাকে সিন্দুর বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করার জন্য বলবেন। কিন্তু খিলাফত রাষ্ট্র তখন আফ্রিকা ও তুরস্কের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত এবং স্পেনের সাথে যুদ্ধ শুরু হবে হবে ভাব থাকায় খলীফা নতুন করে সিন্ধুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সবাই চিন্তিত থাকেন।

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...