in ইতিহাস ও নিদর্শন by
দ্য লেডি কিলার’ খ্যাত এক সিরিয়াল কিলার কে ছিলেন?

2 Answers

0 votes
by
 
Best answer
< দু&rsquo;জনে মিলে হাউজের প্রেসিডেন্ট জ্যাকি ম্যাকগিলকে ঘুম থেকে ওঠান। হঠাৎ করে সরোরিটি হাউজেরই আরেক সিস্টার কারেন চ্যান্ডলার টলতে টলতে তার রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। তাকে দেখে ভয়ে পেছনে সরে আসেন তিনজন। কারণ চ্যান্ডলারের পুরো মাথা ভেসে যাচ্ছিলো রক্তে। তারা দৌড়ে গেলেন তাকে সাহায্য করতে। চ্যান্ডলারের রুমে প্রবেশ করে তারা আবারো ধাক্কা খেলেন। সেই রুমেরই আরেক বাসিন্দা ক্যাথি ক্লেইনার হতবুদ্ধি হয়ে বসে আছেন খাটের কিনারায়। চ্যান্ডলারের মতো তারও সারা মাথা ভেসে যাচ্ছে রক্তে। তাড়াতাড়ি ডাকা হলো পুলিশকে। পুলিশ এসে সবগুলো রুম সার্চ করতে লাগলো। কিন্তু একটি রুমে গিয়ে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া পাওয়া গেলো না। অফিসাররা রুমে ঢুকে সেই রুমের বাসিন্দা লিসা লেভিকে পেলেন শরীর উপুড় করে চাদর দিয়ে মোড়ানো অবস্থায়। তার সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিলো। একজন অফিসার তার গায়ের চাদর সরাতেই দেখা গেলো তার নিতম্বে কেউ যেন কামড়ে দিয়েছে। লেভি আর তখন বেঁচে ছিলেন না। হঠাৎ করে কেউ কেউ বলাবলি করতে থাকলেন হাউজের আরেক সিস্টার মার্গারেট বোম্যানকে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ এবার মার্গারেটের রুমে প্রবেশ করলো। পুরো রুমটি রক্তে ভেসে যাচ্ছিলো, দেয়াল জুড়ে ছিলো রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। মার্গারেটকে এতটাই নির্মমভাবে মারা হয়েছিলো যে দেখে মনে হচ্ছিলো তার শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। ক্লেইনার এবং চ্যান্ডলার বেঁচে যান। কিন্তু আজীবন মানসিক এবং শারীরিকভাবে তাদেরকে সেই রাতের স্মৃতি বয়ে বেড়াতে হয়। দেড় ঘন্টা পরে ছয় ব্লক দূরের ৪৩১ ডানউডি স্ট্রিটে বান্ডি আবারো আঘাত হানেন। এবার তার শিকার ছিলেন চেরিল থমাস নামক এক তরুণী। তার কান্নার আওয়াজ শুনে পাশের অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা তাকে ফোন করেন। ফোনের শব্দে ভয় পেয়ে পালিয়ে যান বান্ডি। দ্রুত খবর দেয়া হয় পুলিশে। সময় কেটে যেতে লাগলো। বান্ডিকেও হন্যে হয়ে খুঁজতে লাগলো পুলিশ। অবশেষে এলো সেই দিন। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই ফেব্রুয়ারি অফিসার ডেভিড লী পেনসাকোলার সার্ভেন্টেস স্ট্রিটে গাড়ি নিয়ে টহল দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে একটি রেস্টুরেন্টের পেছনে দাঁড় করানো হলুদ রঙের একটি ভক্সওয়াগন দেখতে পান তিনি। রেস্টুরেন্টটি ততক্ষণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। অফিসারের তাই সন্দেহ হলো। তিনি গাড়ি নিয়ে ভক্সওয়াগনটিকে অতিক্রম করে গেলেন। কিন্তু রিয়ারভিউ মিররে নজর রাখতে থাকলেন গাড়িটির ওপর। বান্ডিও মনে হয় বুঝতে পেরেছিলেন ব্যাপারটি। তাই তিনি গাড়ি নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়তে চাইলেন। ইতোমধ্যে বান্ডির গাড়ির নাম্বার পুলিশ স্টেশনে জানিয়ে লী জানতে পেরেছিলেন যে, গাড়িটি চুরি করা। তাই লীও ভক্সওয়াগনটিকে অনুসরণ করতে লাগলেন। দ্রুত বেগে গাড়ি চালিয়ে টেড বান্ডি পুলিশ অফিসার ডেভিড লীর হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইলেন, কিন্তু পারলেন না। একটু পরই বান্ডি তার গাড়িটি থামাতে বাধ্য হন। কোমরে থাকা পিস্তলটি হাতে নিয়ে খুব সাবধানে বান্ডির দিকে এগোতে থাকলেন লী। বান্ডি তার স্বভাবসুলভ ধূর্ততা দিয়ে লীর চোখ ফাঁকি দিতে চাইলেন, কিন্তু পারলেন না। এরপর হঠাৎ করেই তিনি লীকে আক্রমণ করে পালাতে চাইলেন। কিন্তু লীর দক্ষতায় সেটি আর সম্ভব হলো না। ধরা পড়লেন টেড বান্ডি, তাকে নিয়ে আসা হলো পুলিশ স্টেশনে। বান্ডির ছদ্মনামের কারণে পুলিশ আসলে তখনো জানতেই পারেনি কত বড় এক মাছ তাদের জালে সেদিন ধরা পড়েছে! ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে বিচারাধীন অবস্থায় ফ্লোরিডার আদালতে এরপরের ঘটনাবলী মোটামুটি দ্রুততার সাথে এগোতে লাগলো। বান্ডির বিরুদ্ধে যেসব খুনের অভিযোগ আনা হতে লাগলো তার প্রায় সবই প্রমাণিত হতে লাগলো। তার মৃত্যুদন্ডাদেশ নিশ্চিত করে বিচারপতি এডওয়ার্ড ডি কাওয়ার্ট যে কথাগুলো বলেন তা ছিলো আসলেই বেশ মর্মস্পর্শী, &ldquo;It is ordered that you be put to death by a current of electricity, that current be passed through your body until you are dead. Take care of yourself, young man. I say that to you sincerely; take care of yourself, please. It is an utter tragedy for this court to see such a total waste of humanity as I&rsquo;ve experienced in this courtroom. You&rsquo;re a bright young man. You&rsquo;d have made a good lawyer, and I would have loved to have you practice in front of me, but you went another way, partner. Take care of yourself. I don&rsquo;t feel any animosity toward you. I want you to know that. Once again, take care of yourself&rdquo; এত দোষে দোষী হওয়া সত্বেও বান্ডির কাছে সুন্দরী তরুণীদের থেকে নিয়মিত চিঠি আসতো। সেখানে তারা তাকে সাপোর্ট দিতো, এমনকি তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিতো। কেউ কেউ তো বিশ্বাসই করতে পারতো না যে, তার মতো একজন সুপুরুষের পক্ষে এসব করা সম্ভব! অবশেষে ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি সকাল ৭টা বেজে ৬ মিনিটে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তার শেষ কথাটি ছিলো, &ldquo;I&rsquo;d like to give my love to my family and friends&rdquo;&hellip; টেড বান্ডি পৃথিবী থেকে চিরতরে চলে গেলেন ঠিকই তবে রেখে গেলেন বেশ কিছু প্রশ্ন। কে বান্ডির এই অবস্থার জন্য দায়ী? কোন ঘটনা এমন প্রাণোচ্ছ্বল, হাসিখুশি, সদালাপী তরুণকে এক ভয়ংকর খুনীতে পাল্টে দেয়? তিনি আসলে কতগুলো খুন ন্দারা ছিলেন মোটামুটি নিশ্চিত? পৃথিবীবাসী কোনোদিনই জানতে পারবে না কেন
0 votes
by
চ্যান্ডলারের পুরো মাথা ভেসে যাচ্ছিলো রক্তে। তারা দৌড়ে গেলেন তাকে সাহায্য করতে। চ্যান্ডলারের রুমে প্রবেশ করে তারা আবারো ধাক্কা খেলেন। সেই রুমেরই আরেক বাসিন্দা ক্যাথি ক্লেইনার হতবুদ্ধি হয়ে বসে আছেন খাটের কিনারায়। চ্যান্ডলারের মতো তারও সারা মাথা ভেসে যাচ্ছে রক্তে। তাড়াতাড়ি ডাকা হলো পুলিশকে। পুলিশ এসে সবগুলো রুম সার্চ করতে লাগলো। কিন্তু একটি রুমে গিয়ে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া পাওয়া গেলো না। অফিসাররা রুমে ঢুকে সেই রুমের বাসিন্দা লিসা লেভিকে পেলেন শরীর উপুড় করে চাদর দিয়ে মোড়ানো অবস্থায়। তার সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিলো। একজন অফিসার তার গায়ের চাদর সরাতেই দেখা গেলো তার নিতম্বে কেউ যেন কামড়ে দিয়েছে। লেভি আর তখন বেঁচে ছিলেন না। হঠাৎ করে কেউ কেউ বলাবলি করতে থাকলেন হাউজের আরেক সিস্টার মার্গারেট বোম্যানকে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ এবার মার্গারেটের রুমে প্রবেশ করলো। পুরো রুমটি রক্তে ভেসে যাচ্ছিলো, দেয়াল জুড়ে ছিলো রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। মার্গারেটকে এতটাই নির্মমভাবে মারা হয়েছিলো যে দেখে মনে হচ্ছিলো তার শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। ক্লেইনার এবং চ্যান্ডলার বেঁচে যান। কিন্তু আজীবন মানসিক এবং শারীরিকভাবে তাদেরকে সেই রাতের স্মৃতি বয়ে বেড়াতে হয়। দেড় ঘন্টা পরে ছয় ব্লক দূরের ৪৩১ ডানউডি স্ট্রিটে বান্ডি আবারো আঘাত হানেন। এবার তার শিকার ছিলেন চেরিল থমাস নামক এক তরুণী। তার কান্নার আওয়াজ শুনে পাশের অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা তাকে ফোন করেন। ফোনের শব্দে ভয় পেয়ে পালিয়ে যান বান্ডি। দ্রুত খবর দেয়া হয় পুলিশে। সময় কেটে যেতে লাগলো। বান্ডিকেও হন্যে হয়ে খুঁজতে লাগলো পুলিশ। অবশেষে এলো সেই দিন। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই ফেব্রুয়ারি অফিসার ডেভিড লী পেনসাকোলার সার্ভেন্টেস স্ট্রিটে গাড়ি নিয়ে টহল দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে একটি রেস্টুরেন্টের পেছনে দাঁড় করানো হলুদ রঙের একটি ভক্সওয়াগন দেখতে পান তিনি। রেস্টুরেন্টটি ততক্ষণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। অফিসারের তাই সন্দেহ হলো। তিনি গাড়ি নিয়ে ভক্সওয়াগনটিকে অতিক্রম করে গেলেন। কিন্তু রিয়ারভিউ মিররে নজর রাখতে থাকলেন গাড়িটির ওপর। বান্ডিও মনে হয় বুঝতে পেরেছিলেন ব্যাপারটি। তাই তিনি গাড়ি নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়তে চাইলেন। ইতোমধ্যে বান্ডির গাড়ির নাম্বার পুলিশ স্টেশনে জানিয়ে লী জানতে পেরেছিলেন যে, গাড়িটি চুরি করা। তাই লীও ভক্সওয়াগনটিকে অনুসরণ করতে লাগলেন। দ্রুত বেগে গাড়ি চালিয়ে টেড বান্ডি পুলিশ অফিসার ডেভিড লীর হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইলেন, কিন্তু পারলেন না। একটু পরই বান্ডি তার গাড়িটি থামাতে বাধ্য হন। কোমরে থাকা পিস্তলটি হাতে নিয়ে খুব সাবধানে বান্ডির দিকে এগোতে থাকলেন লী। বান্ডি তার স্বভাবসুলভ ধূর্ততা দিয়ে লীর চোখ ফাঁকি দিতে চাইলেন, কিন্তু পারলেন না। এরপর হঠাৎ করেই তিনি লীকে আক্রমণ করে পালাতে চাইলেন। কিন্তু লীর দক্ষতায় সেটি আর সম্ভব হলো না। ধরা পড়লেন টেড বান্ডি, তাকে নিয়ে আসা হলো পুলিশ স্টেশনে। বান্ডির ছদ্মনামের কারণে পুলিশ আসলে তখনো জানতেই পারেনি কত বড় এক মাছ তাদের জালে সেদিন ধরা পড়েছে! ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে বিচারাধীন অবস্থায় ফ্লোরিডার আদালতে এরপরের ঘটনাবলী মোটামুটি দ্রুততার সাথে এগোতে লাগলো। বান্ডির বিরুদ্ধে যেসব খুনের অভিযোগ আনা হতে লাগলো তার প্রায় সবই প্রমাণিত হতে লাগলো। তার মৃত্যুদন্ডাদেশ নিশ্চিত করে বিচারপতি এডওয়ার্ড ডি কাওয়ার্ট যে কথাগুলো বলেন তা ছিলো আসলেই বেশ মর্মস্পর্শী, &ldquo;It is ordered that you be put to death by a current of electricity, that current be passed through your body until you are dead. Take care of yourself, young man. I say that to you sincerely; take care of yourself, please. It is an utter tragedy for this court to see such a total waste of humanity as I&rsquo;ve experienced in this courtroom. You&rsquo;re a bright young man. You&rsquo;d have made a good lawyer, and I would have loved to have you practice in front of me, but you went another way, partner. Take care of yourself. I don&rsquo;t feel any animosity toward you. I want you to know that. Once again, take care of yourself&rdquo; এত দোষে দোষী হওয়া সত্বেও বান্ডির কাছে সুন্দরী তরুণীদের থেকে নিয়মিত চিঠি আসতো। সেখানে তারা তাকে সাপোর্ট দিতো, এমনকি তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিতো। কেউ কেউ তো বিশ্বাসই করতে পারতো না যে, তার মতো একজন সুপুরুষের পক্ষে এসব করা সম্ভব! অবশেষে ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি সকাল ৭টা বেজে ৬ মিনিটে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তার শেষ কথাটি ছিলো, &ldquo;I&rsquo;d like to give my love to my family and friends&rdquo;&hellip; টেড বান্ডি পৃথিবী থেকে চিরতরে চলে গেলেন ঠিকই তবে রেখে গেলেন বেশ কিছু প্রশ্ন। কে বান্ডির এই অবস্থার জন্য দায়ী? কোন ঘটনা এমন প্রাণোচ্ছ্বল, হাসিখুশি, সদালাপী তরুণকে এক ভয়ংকর খুনীতে পাল্টে দেয়? তিনি আসলে কতগুলো খুন ন্দারা ছিলেন মোটামুটি নিশ্চিত

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...