শিল্পী জুলস ইউজিন ল্যানেভুঁ’র কল্পনায়, জোয়ান অব আর্ক জোয়ান অব আর্ক ছিলেন ইতিহাসের এক অবিসংবাদিত যোদ্ধা। ১৮০৩ সালে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট জোয়ান অব আর্ককে ফ্রান্সের জাতীয় প্রতীক হিসেবে ঘোষণা করেন। ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে ১০৬ বছর ধরে যে ‘শত বছরের যুদ্ধ’ চলেছিল, তারই একটা সময়ে জোয়ান অব আর্ক যুদ্ধ করেছিলেন ফ্রান্সের হয়ে। জানা যায়, সেইন্ট ও অ্যাঞ্জেলদের স্বপ্নে দেখার কথা বলেছিলেন জোয়ান, যারা তাকে ষষ্ঠ চার্লসকে যুদ্ধে সহায়তা করে ইংল্যান্ডের অধীনস্ততা থেকে ফ্রান্সকে মুক্ত করতে বলেছিলেন। পুরুষের বেশ ধরে যুদ্ধে যান জোয়ান। চার্লস তাকে পাঠান অরলিন্স এ। টানা দেড় বছর ধরে ইংরেজরা যেখানে জিতে চলছিল, সেখানে জোয়ানের আগমনের মাত্র নয় দিনের মাথায় পরাজিত হয় তারা। এরপরে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে সাহসের সাথে লড়াই করে জয় নিয়ে আসেন জোয়ান। জোয়ানের খণ্ডযুদ্ধগুলো জয়ের ঘটনা প্রবল উদ্যম ছড়িয়ে দেয় ফ্রেঞ্চ বাহিনীর মধ্যে। ১৪৩০ সালের মে মাসে ইংরেজদের সহায়তাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যান জোয়ান। ইংরেজদের কাছে তাকে হস্তান্তরের পর তারা তার বিচার শুরু করে। পিয়েরে কশন নামের এক বিশপ ছিল আদালতের বিচারক। কশন জোয়ানের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ আনে যার মধ্যে বড় একটি অভিযোগ ছিল জোয়ানের নারী-পুরুষ উভয়ের পোশাক পড়া! বিচারে মৃত্যুদণ্ড হয় জোয়ানের। ১৪৩১ সালে জোয়ানকে যখন পুড়িয়ে মারা হয় তখন তার বয়স ছিল ১৯ বছর। Stilke_Hermann_Antonশিল্পী হারম্যান স্টাইক এর আঁকা, জোয়ান অব আর্ক এর মৃত্যুদণ্ড ১৪৫৬ সালে পোপ তৃতীয় ক্যালিক্সটাস এর নেতৃত্বে গঠিত একটি আদালতে জোয়ানকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়।