in ইতিহাস ও নিদর্শন by
ক্যামেরন টড উইলিংহাম কি ছিল?

3 Answers

0 votes
by
 
Best answer
গ্রেফতারের পর ক্যামেরন টড উইলিংহাম ক্যামেরন উইলিংহাম এর মৃত্যুদণ্ডের ঘটনাটি আধুনিক আইনী বিচারের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত রায়গুলোর একটি। ১৯৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া ক্যামেরন উইলিংহামকে ১৯৯১ সালে টেক্সাসে নিজের বাসায় আগুন লাগিয়ে নিজের তিন কন্যাকে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ১৩ বছর পর ২০০৪ সালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০০৪ সালে আদালত যে তথ্য-প্রমাণের উপর ভিত্তি করে এই রায় দেন তার পক্ষে বিপক্ষে এখনও চলছে বিতর্ক। যদিও, একরকম নিশ্চিত হওয়া গেছে যে উইলিংহামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণের জন্য যে সাক্ষ্য ও যুক্তি প্রদান করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুর্বল ছিল, তবুও এখন পর্যন্ত আদালতে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করে কোনো বক্তব্য দেয়া হয় নি। শিকাগো ট্রিবিউন এর একটি নিবন্ধে ২০০৪ সালে আদালতের রায়ের সমালোচনা করে বিশ্লেষণ হাজির করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আদালতের বর্ণিত যুক্তিগুলোর পাল্টা যুক্তি হাজির করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। উইলিংহামের খুনের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রধানতম যুক্তি ছিল, যে আগুন লাগানো হয়েছিল তা এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল এবং তার উত্তাপ এত বেশি ছিল যে, কোনো দাহ্য পদার্থ দিয়ে সে আগুনকে উসকে না দিলে এমন ঘটনা ঘটার কথা নয়। অর্থ্যাৎ উইলিংহাম কোনো তরল জ্বালানী ব্যবহার করে আগুনের তেজ বাড়িয়ে দিয়েছিল। আর এ মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিল জন ওয়েব নামক একজন। ওয়েব নিজেও অন্য একটি অভিযোগে সে সময় জেলে ছিল। সে সাক্ষ্য দেয় এই বলে, উইলিংহাম তার কাছে তার মেয়েদেরকে হত্যার কথা স্বীকার করেছিল জেলে বসে। পরবর্তীতে দ্য নিউয়র্কার পত্রিকার নিকট এক সাক্ষাৎকারে জন ওয়েব বলে, মামলা চলাকালীন তাকে অনেক ওষুধ খেতে হত, এ কারণে সে ভুলও শুনতে পারে। আদালতের রায়ের পর দশ বছর ধরে অনেক বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানী জানান, সে সময় যেভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল তার জন্য কাউকে জ্বালানী ব্যবহার করতে হবে তেমন কোনো কথা নেই, জ্বালানী ছাড়াই সেভাবে আগুন ছড়াতে পারে। অর্থ্যাৎ বিচার চলাকালীন যে বিশেষজ্ঞের মতামত অনুসারে উইলিংহাম আগুন ধরিয়েছিল বলা হয়েছে সে বিশেষজ্ঞের কথা ভুলও হতে পারে। আবার সাক্ষী জন ওয়েব মামলার প্রসিকিউটর জন জ্যাকসনের সাথে এমন একটি চুক্তি করেছিল যে উইলিংহাম এর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে তার দণ্ডাদেশ কমিয়ে দেয়া হবে, এমন একটি তথ্য অনুসন্ধান করে বের করে ‘ইনোসেন্ট প্রজেক্ট’ নামক একটি মানবাধিকার সংস্থা। অবাক করা ব্যাপার হল, মামলা চলাকালীন জেমস গ্রিগসন নামক একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ উইলিংহামকে ‘তীব্র মাত্রার সাইকোপ্যাথ’ ঘোষণা করেন কারণ তার রুমে বিখ্যাত মেটাল ব্যান্ড আয়রন মেইডেন ও লেড জ্যাপেলিন এর পোস্টার লাগানো ছিল! এমন হাস্যকর কারণে তাহলে বিশ্বের লাখ লাখ মেটাল গানের ভক্তকে এই উপাধি দেয়া যায়। ক্যামেরন উইলিংহাম তার গ্রেফতার হবার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বারবার বলে গেছে সে নির্দোষ। দোষ স্বীকার করলে শাস্তি লঘু করা হবে, এমন প্রস্তাব দেয়ার পরেও সে স্বীকার করে নি। দীর্ঘদিনের অনুসন্ধান থেকে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, উইলিংহাম এর মৃত্যুদণ্ড দেয়ার মত যথেষ্ট যুক্তি-প্রমাণ ছিল না। তবুও আদালত তার উপরে অর্পিত প্রাণহরণের ক্ষমতা ব্যবহার করেছে একজন নির্দোষ মানুষের উপর।
0 votes
by
গ্রেফতারের পর ক্যামেরন টড উইলিংহাম ক্যামেরন উইলিংহাম এর মৃত্যুদণ্ডের ঘটনাটি আধুনিক আইনী বিচারের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত রায়গুলোর একটি। ১৯৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া ক্যামেরন উইলিংহামকে ১৯৯১ সালে টেক্সাসে নিজের বাসায় আগুন লাগিয়ে নিজের তিন কন্যাকে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ১৩ বছর পর ২০০৪ সালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০০৪ সালে আদালত যে তথ্য-প্রমাণের উপর ভিত্তি করে এই রায় দেন তার পক্ষে বিপক্ষে এখনও চলছে বিতর্ক। যদিও, একরকম নিশ্চিত হওয়া গেছে যে উইলিংহামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণের জন্য যে সাক্ষ্য ও যুক্তি প্রদান করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুর্বল ছিল, তবুও এখন পর্যন্ত আদালতে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করে কোনো বক্তব্য দেয়া হয় নি। শিকাগো ট্রিবিউন এর একটি নিবন্ধে ২০০৪ সালে আদালতের রায়ের সমালোচনা করে বিশ্লেষণ হাজির করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আদালতের বর্ণিত যুক্তিগুলোর পাল্টা যুক্তি হাজির করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। উইলিংহামের খুনের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রধানতম যুক্তি ছিল, যে আগুন লাগানো হয়েছিল তা এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল এবং তার উত্তাপ এত বেশি ছিল যে, কোনো দাহ্য পদার্থ দিয়ে সে আগুনকে উসকে না দিলে এমন ঘটনা ঘটার কথা নয়। অর্থ্যাৎ উইলিংহাম কোনো তরল জ্বালানী ব্যবহার করে আগুনের তেজ বাড়িয়ে দিয়েছিল। আর এ মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিল জন ওয়েব নামক একজন। ওয়েব নিজেও অন্য একটি অভিযোগে সে সময় জেলে ছিল। সে সাক্ষ্য দেয় এই বলে, উইলিংহাম তার কাছে তার মেয়েদেরকে হত্যার কথা স্বীকার করেছিল জেলে বসে। পরবর্তীতে দ্য নিউয়র্কার পত্রিকার নিকট এক সাক্ষাৎকারে জন ওয়েব বলে, মামলা চলাকালীন তাকে অনেক ওষুধ খেতে হত, এ কারণে সে ভুলও শুনতে পারে। আদালতের রায়ের পর দশ বছর ধরে অনেক বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানী জানান, সে সময় যেভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল তার জন্য কাউকে জ্বালানী ব্যবহার করতে হবে তেমন কোনো কথা নেই, জ্বালানী ছাড়াই সেভাবে আগুন ছড়াতে পারে। অর্থ্যাৎ বিচার চলাকালীন যে বিশেষজ্ঞের মতামত অনুসারে উইলিংহাম আগুন ধরিয়েছিল বলা হয়েছে সে বিশেষজ্ঞের কথা ভুলও হতে পারে। আবার সাক্ষী জন ওয়েব মামলার প্রসিকিউটর জন জ্যাকসনের সাথে এমন একটি চুক্তি করেছিল যে উইলিংহাম এর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে তার দণ্ডাদেশ কমিয়ে দেয়া হবে, এমন একটি তথ্য অনুসন্ধান করে বের করে ‘ইনোসেন্ট প্রজেক্ট’ নামক একটি মানবাধিকার সংস্থা। অবাক করা ব্যাপার হল, মামলা চলাকালীন জেমস গ্রিগসন নামক একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ উইলিংহামকে ‘তীব্র মাত্রার সাইকোপ্যাথ’ ঘোষণা করেন কারণ তার রুমে বিখ্যাত মেটাল ব্যান্ড আয়রন মেইডেন ও লেড জ্যাপেলিন এর পোস্টার লাগানো ছিল! এমন হাস্যকর কারণে তাহলে বিশ্বের লাখ লাখ মেটাল গানের ভক্তকে এই উপাধি দেয়া যায়। ক্যামেরন উইলিংহাম তার গ্রেফতার হবার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বারবার বলে গেছে সে নির্দোষ। দোষ স্বীকার করলে শাস্তি লঘু করা হবে, এমন প্রস্তাব দেয়ার পরেও সে স্বীকার করে নি। দীর্ঘদিনের অনুসন্ধান থেকে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, উইলিংহাম এর মৃত্যুদণ্ড দেয়ার মত যথেষ্ট যুক্তি-প্রমাণ ছিল না।
0 votes
by
ক্যামেরন উইলিংহাম এর মৃত্যুদণ্ডের ঘটনাটি আধুনিক আইনী বিচারের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত রায়গুলোর একটি। ১৯৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া ক্যামেরন উইলিংহামকে ১৯৯১ সালে টেক্সাসে নিজের বাসায় আগুন লাগিয়ে নিজের তিন কন্যাকে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ১৩ বছর পর ২০০৪ সালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০০৪ সালে আদালত যে তথ্য-প্রমাণের উপর ভিত্তি করে এই রায় দেন তার পক্ষে বিপক্ষে এখনও চলছে বিতর্ক। যদিও, একরকম নিশ্চিত হওয়া গেছে যে উইলিংহামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণের জন্য যে সাক্ষ্য ও যুক্তি প্রদান করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুর্বল ছিল, তবুও এখন পর্যন্ত আদালতে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করে কোনো বক্তব্য দেয়া হয় নি। শিকাগো ট্রিবিউন এর একটি নিবন্ধে ২০০৪ সালে আদালতের রায়ের সমালোচনা করে বিশ্লেষণ হাজির করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আদালতের বর্ণিত যুক্তিগুলোর পাল্টা যুক্তি হাজির করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। উইলিংহামের খুনের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রধানতম যুক্তি ছিল, যে আগুন লাগানো হয়েছিল তা এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল এবং তার উত্তাপ এত বেশি ছিল যে, কোনো দাহ্য পদার্থ দিয়ে সে আগুনকে উসকে না দিলে এমন ঘটনা ঘটার কথা নয়। অর্থ্যাৎ উইলিংহাম কোনো তরল জ্বালানী ব্যবহার করে আগুনের তেজ বাড়িয়ে দিয়েছিল। আর এ মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিল জন ওয়েব নামক একজন। ওয়েব নিজেও অন্য একটি অভিযোগে সে সময় জেলে ছিল। সে সাক্ষ্য দেয় এই বলে, উইলিংহাম তার কাছে তার মেয়েদেরকে হত্যার কথা স্বীকার করেছিল জেলে বসে। পরবর্তীতে দ্য নিউয়র্কার পত্রিকার নিকট এক সাক্ষাৎকারে জন ওয়েব বলে, মামলা চলাকালীন তাকে অনেক ওষুধ খেতে হত, এ কারণে সে ভুলও শুনতে পারে। আদালতের রায়ের পর দশ বছর ধরে অনেক বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানী জানান, সে সময় যেভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল তার জন্য কাউকে জ্বালানী ব্যবহার করতে হবে তেমন কোনো কথা নেই, জ্বালানী ছাড়াই সেভাবে আগুন ছড়াতে পারে। অর্থ্যাৎ বিচার চলাকালীন যে বিশেষজ্ঞের মতামত অনুসারে উইলিংহাম আগুন ধরিয়েছিল বলা হয়েছে সে বিশেষজ্ঞের কথা ভুলও হতে পারে। আবার সাক্ষী জন ওয়েব মামলার প্রসিকিউটর জন জ্যাকসনের সাথে এমন একটি চুক্তি করেছিল যে উইলিংহাম এর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে তার দণ্ডাদেশ কমিয়ে দেয়া হবে, এমন একটি তথ্য অনুসন্ধান করে বের করে ‘ইনোসেন্ট প্রজেক্ট’ নামক একটি মানবাধিকার সংস্থা। অবাক করা ব্যাপার হল, মামলা চলাকালীন জেমস গ্রিগসন নামক একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ উইলিংহামকে ‘তীব্র মাত্রার সাইকোপ্যাথ’ ঘোষণা করেন কারণ তার রুমে বিখ্যাত মেটাল ব্যান্ড আয়রন মেইডেন ও লেড জ্যাপেলিন এর পোস্টার লাগানো ছিল! এমন হাস্যকর কারণে তাহলে বিশ্বের লাখ লাখ মেটাল গানের ভক্তকে এই উপাধি দেয়া যায়। ক্যামেরন উইলিংহাম তার গ্রেফতার হবার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বারবার বলে গেছে সে নির্দোষ। দোষ স্বীকার করলে শাস্তি লঘু করা হবে, এমন প্রস্তাব দেয়ার পরেও সে স্বীকার করে নি। দীর্ঘদিনের অনুসন্ধান থেকে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, উইলিংহাম এর মৃত্যুদণ্ড দেয়ার মত যথেষ্ট যুক্তি-প্রমাণ ছিল না।

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...