in ইতিহাস ও নিদর্শন by
বিষক্রিয়ায় মৃত কান্গ্রান্দ এ কি কি ঘটেছিল?

3 Answers

0 votes
by
চৌদ্দ শতকে ইতালির এক বিখ্যাত সামরিক নেতা ছিলেন কান্গ্রান্দ দেলা স্কেলা। ভেরোনা, পাদুয়া, ত্রেভিসো ও ভিসেঞ্জা ছিলো তার আওতাধীন। তবে বর্তমানে তিনি বেশি পরিচিত মধ্যযুগীয় ইতালিয়ান কবি দান্তের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে।কান্গ্রান্দ দেলা স্কেলার প্রতিকৃতি ১৩২৯ সালের ১৮ জুলাই দীর্ঘ সংগ্রামের পর জয় করা ত্রেভিসো পরিদর্শনে যান কান্গ্রান্দ। কিন্তু সেখানে যাবার অল্প কিছুদিনের মাথাতেই জ্বর, বমি, ডায়রিয়াতে ভুগে একেবারে কাবু হয়ে যান তিনি। অবশেষে মাত্র ৪ দিন পর ২২ জুলাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সামরিক এ নেতা। বেশ কিছুদিন আগে একটি অপরিষ্কার ঝর্নার পানি পান করেছিলেন কান্গ্রান্দ। সেই পানিকেই তার মৃত্যুর কারণ বলে ধরে নেয় সবাই। তবে ঘটনার মোড় ঘুরে যায় ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে উদঘাটন করার জন্য পাথরের কফিন থেকে বের করা হয় কান্গ্রান্দের মৃতদেহ। সৌভাগ্যই বলতে হবে সেই গবেষকদের। কারণ কান্গ্রান্দের মৃতদেহটি প্রাকৃতিকভাবেই মমিতে পরিণত হয়েছিলো। সেটি এতটাই ভালো অবস্থায় ছিলো যে, শরীরের অভ্যন্তরের বেশ কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব ছিলো। সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় যে, কান্গ্রান্দের মৃত্যুর পেছনে আসলে ঝর্নার পানি ছিলো না, বরং ছিলো ডিজিটালিস নামক এক ধরনের উদ্ভিদ। খাবারের সাথে এটি মিশিয়ে দিলে শুরুর দিকে বিতৃষ্ণাবোধ, বমি হওয়া ও ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আর মাত্রা বেশি হলে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে মারা যায় আক্রান্ত ব্যক্তি। এরপর তাহলে প্রশ্ন আসে- কান্গ্রান্দ কি আত্মহত্যা করেছিলেন? নাকি খুন করা হয়েছিলো তাকে? যদি খুন করাই হয়ে থাকে, তাহলে সেই খুনী কে? খুনীর তালিকা করতে গেলে মিলান ও ভেনিসে কান্গ্রান্দের অনেক প্রতিপক্ষের নামই আনা যাবে। তবে সবচেয়ে বেশি সন্দেহ করা হয় তারই ক্ষমতালোভী ভাগ্নে মাস্তিনোকে, যিনি কিনা তার মৃত্যুর পরই ক্ষমতায় এসেছিলেন। কান্গ্রান্দের মৃতদেহ
0 votes
by
চৌদ্দ শতকে ইতালির এক বিখ্যাত সামরিক নেতা ছিলেন কান্গ্রান্দ দেলা স্কেলা। ভেরোনা, পাদুয়া, ত্রেভিসো ও ভিসেঞ্জা ছিলো তার আওতাধীন। তবে বর্তমানে তিনি বেশি পরিচিত মধ্যযুগীয় ইতালিয়ান কবি দান্তের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে।কান্গ্রান্দ দেলা স্কেলার প্রতিকৃতি ১৩২৯ সালের ১৮ জুলাই দীর্ঘ সংগ্রামের পর জয় করা ত্রেভিসো পরিদর্শনে যান কান্গ্রান্দ। কিন্তু সেখানে যাবার অল্প কিছুদিনের মাথাতেই জ্বর, বমি, ডায়রিয়াতে ভুগে একেবারে কাবু হয়ে যান তিনি। অবশেষে মাত্র ৪ দিন পর ২২ জুলাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সামরিক এ নেতা। বেশ কিছুদিন আগে একটি অপরিষ্কার ঝর্নার পানি পান করেছিলেন কান্গ্রান্দ। সেই পানিকেই তার মৃত্যুর কারণ বলে ধরে নেয় সবাই। তবে ঘটনার মোড় ঘুরে যায় ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে উদঘাটন করার জন্য পাথরের কফিন থেকে বের করা হয় কান্গ্রান্দের মৃতদেহ। সৌভাগ্যই বলতে হবে সেই গবেষকদের। কারণ কান্গ্রান্দের মৃতদেহটি প্রাকৃতিকভাবেই মমিতে পরিণত হয়েছিলো। সেটি এতটাই ভালো অবস্থায় ছিলো যে, শরীরের অভ্যন্তরের বেশ কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব ছিলো। সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় যে, কান্গ্রান্দের মৃত্যুর পেছনে আসলে ঝর্নার পানি ছিলো না, বরং ছিলো ডিজিটালিস নামক এক ধরনের উদ্ভিদ। খাবারের সাথে এটি মিশিয়ে দিলে শুরুর দিকে বিতৃষ্ণাবোধ, বমি হওয়া ও ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আর মাত্রা বেশি হলে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে মারা যায় আক্রান্ত ব্যক্তি। এরপর তাহলে প্রশ্ন আসে- কান্গ্রান্দ কি আত্মহত্যা করেছিলেন? নাকি খুন করা হয়েছিলো তাকে? যদি খুন করাই হয়ে থাকে, তাহলে সেই খুনী কে? খুনীর তালিকা করতে গেলে মিলান ও ভেনিসে কান্গ্রান্দের অনেক প্রতিপক্ষের নামই আনা যাবে। তবে সবচেয়ে বেশি সন্দেহ করা হয় তারই ক্ষমতালোভী ভাগ্নে মাস্তিনোকে, যিনি কিনা তার মৃত্যুর পরই ক্ষমতায় এসেছিলেন।
0 votes
by
ভেরোনা, পাদুয়া, ত্রেভিসো ও ভিসেঞ্জা ছিলো তার আওতাধীন। তবে বর্তমানে তিনি বেশি পরিচিত মধ্যযুগীয় ইতালিয়ান কবি দান্তের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে।কান্গ্রান্দ দেলা স্কেলার প্রতিকৃতি ১৩২৯ সালের ১৮ জুলাই দীর্ঘ সংগ্রামের পর জয় করা ত্রেভিসো পরিদর্শনে যান কান্গ্রান্দ। কিন্তু সেখানে যাবার অল্প কিছুদিনের মাথাতেই জ্বর, বমি, ডায়রিয়াতে ভুগে একেবারে কাবু হয়ে যান তিনি। অবশেষে মাত্র ৪ দিন পর ২২ জুলাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সামরিক এ নেতা। বেশ কিছুদিন আগে একটি অপরিষ্কার ঝর্নার পানি পান করেছিলেন কান্গ্রান্দ। সেই পানিকেই তার মৃত্যুর কারণ বলে ধরে নেয় সবাই। তবে ঘটনার মোড় ঘুরে যায় ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে উদঘাটন করার জন্য পাথরের কফিন থেকে বের করা হয় কান্গ্রান্দের মৃতদেহ। সৌভাগ্যই বলতে হবে সেই গবেষকদের। কারণ কান্গ্রান্দের মৃতদেহটি প্রাকৃতিকভাবেই মমিতে পরিণত হয়েছিলো। সেটি এতটাই ভালো অবস্থায় ছিলো যে, শরীরের অভ্যন্তরের বেশ কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব ছিলো। সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় যে, কান্গ্রান্দের মৃত্যুর পেছনে আসলে ঝর্নার পানি ছিলো না, বরং ছিলো ডিজিটালিস নামক এক ধরনের উদ্ভিদ। খাবারের সাথে এটি মিশিয়ে দিলে শুরুর দিকে বিতৃষ্ণাবোধ, বমি হওয়া ও ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আর মাত্রা বেশি হলে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে মারা যায় আক্রান্ত ব্যক্তি। এরপর তাহলে প্রশ্ন আসে- কান্গ্রান্দ কি আত্মহত্যা করেছিলেন? নাকি খুন করা হয়েছিলো তাকে? যদি খুন করাই হয়ে থাকে, তাহলে সেই খুনী কে? খুনীর তালিকা করতে গেলে মিলান ও ভেনিসে কান্গ্রান্দের অনেক প্রতিপক্ষের নামই আনা যাবে। তবে সবচেয়ে বেশি সন্দেহ করা হয় তারই ক্ষমতালোভী ভাগ্নে মাস্তিনোকে, যিনি কিনা তার মৃত্যুর পরই ক্ষমতায় এসেছিলেন

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...