in ইতিহাস ও নিদর্শন by
যমজ দেবতা হুনাহপু এবং এক্সবালেংখুয়ের কাহিনী সম্পর্কে লিখ?

2 Answers

0 votes
by
এক্সবালেংখুয়ের কাহিনী

এই যমজ দেবতার কাহিনী মায়া পুরাণের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অধ্যায় বলে মনে করা হয়। এই কাহিনী যে কটা অদ্যাবধি জীবিত মায়া পুরাণ টিকে আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত। এই কাহিনী বিখ্যাত পোপোল ভুহ গ্রন্থে লিখিত হয়েছে খুইচ্যে ভাষায়; স্প্যানিশ লিপিতে। এখানে গল্পের সংক্ষিপ্তসার দেওয়া হল।

বাবা ও কাকা

এই যমজ দেবতার কাহিনী শুরু হয়েছে যমজ বাচ্চা ছেলের কাহিনী দিয়ে। তাদের নাম ছিল এক হুনাহপু এবং সাত হুনাহপু দিয়ে। এই হুনাহপুদ্বয় বিখ্যাত মায়া বল গেম [ভলিবলের মতন খেলা] খেলতে ভাল বাসত। তারা খুব প্রতিভাবান ছিল, সবসময়েই এই খেলায় তারাই জিতত। জিতলে কী হয়, তারা খেলবার সময়ে বড্ড জোরে জোরে চিৎকার করত। তাদের ক্রমাগত চিৎকার শুনে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল তথাকথিত মায়া নরক দেবতা এক্সিবালবার। তিনি এইরকম চীৎকারে প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে নরকের দুটি দূত পাঠিয়ে যমজ দেবতাকে সমন দিলেন। এই এক্সিবালবা অত্যন্ত বদরাগী এবং নিষ্ঠুর চরিত্রের দেবতা ছিলেন। মায়ারা সচরাচর এর নাম মুখে আনতে চাইত না। কেননা মায়াদের বিশ্বাস ছিল কেউ যদি ভুল করেও এর নাম মুখে আনে তবে তার আয়ু দ্রুতই ফুরিয়ে যাবে।

সে যাই হোক, যমজ দেবতা তো সমন পেয়ে দ্রুত নরকে এসে হাজির হল। তখন নরক দেবতা তাদের বেশ কয়েকটা কঠিন পরীক্ষার সামনে ফেললেন। প্রথমে তাদের বলা হল যে তারা যেন যেভাবেই হোক কাঁটার সেতু পেরোয়। এই সেতুর তলা দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল রক্তের নদী। তারা সেই পরীক্ষায় সফল হয়ে নরকের দেবতার কাছে পৌঁছালেন। সেখানে নরক দেবতা একটা কাঠের ছড়ি কাঁধে ঠেকিয়ে অভিবাদন করলেন। তারপর জিজ্ঞাসা করলেন যে দেবতাদ্বয় কি তাদের চিনতে পারেন। দেবতাদ্বয় তাকে চিনতেন না। ফলে এই পরীক্ষায় তারা অসফল হলেন। তখন এক্সিবালবা তাদের শয়তানি করে একটা নিরীহ কাঠের বেঞ্চিতে বসতে বললেন। দুই ভাই তার চক্রান্ত ধরতে না পেরে সরল বিশ্বাসে সেই বেঞ্চিতে বসলেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা বিস্ময়ের সাথে দেখলেন সে বেঞ্চিতে আগুন ধরে গেল। তারা আগুনে বেঞ্চি থেকে বেরুতে না পেরে পুড়ে মারা গেলেন।


হুনাহপু ও এক্সবালাংখুয়ে জন্মালেন

এক হুনাহপু এবং সাত হুনাহপু তো মারা গেলেন। তারপর কি হল? পুরাণ অনুসারে এক হুনাহপুর একটি সন্তান জীবিত ছিল। তিনি ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মায়া দেবী। যথাসময়ে তার দুটি সন্তানের জন্ম হল। এই যমজ সন্তানের নাম হল এক্সবালাংখুয়ে ও হুনাহপু। তারা তার বাবা ও কাকার মতই ভাল বল খেলোয়াড় ছিলেন। কিন্তু তাদের তুলনায় বেশি বুদ্ধিমান ও শক্তিমান ছিলেন। তারাও বাবা-কাকার মতই খেলবার সময়ে প্রচন্ড জোরে জোরে চিৎকার করতেন। তাদের একটানা জোরে জোরে চিৎকার শুনে অত্যন্ত বিরক্ত হলেন নরকদেব এক্সিবালবা। আগের বারের মতই এবারেও তিনি দুটি দূত পাঠালেন সমন পাঠিয়ে যে, তারা যেন এক্সিবালবার সাথে দেখা করে। এবং সেখানে এসে খেলে এক্সিবালবাকে হারিয়ে দেয়।

যমজ দেবতার নরকে অভিযান

অতঃপর দুই ভাই নরকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করল। তারা মার কাছ থেকে আগেই জেনে মিয়েছিল যে, তারা বাবা ও কাকা কি কি ভুল করেছিল। সেই মতন জেনে তারা নরকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল তারা নরকের দেবতার পাতা ফাঁদে পা দিল না। এক্সিবালবা যতগুলি পরীক্ষায় বসতে দিল ততগুলিই পরীক্ষায় তারা সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হল।

তখন ক্ষিপ্ত এক্সিবালবা প্রতারণার আশ্রয় নিল। তিনি একজন মশার রূপ নিয়ে কামড়ালেন দুই ভাইকে। কিন্তু কিছুই হল না। তারা মশা মারার জন্য খন্তির মতন একরকম কাঠের টুকরো নিয়ে সে মশাকে তাড়া করতেই মশা জীবন বাঁচাবার জন্য পালাতে বাধ্য হল। তারপর এক্সিবালবা তাদের কাঠের বেঞ্চিতে বসতে আদেশ দিলে তারা সুকৌশলে সে আদেশ অমান্য করল। হুনাহপু এবং এক্সিবালেংখুয়ে নরকদেবকে বলল তারা খেলতে এসছে, বসতে আসে নি। নরক দেবতা কি ওদের সাথে হেরে যাবার ভয়েই খেলতে চাইছেন না? তাই কি এমন করে সময় নষ্ট করছেন?


এক্সিবালবা বনাম এক্সিবালেংখুয়ে আর হুনাহপু

এক্সিবালবা বলাই বাহুল্য দুই ভাইয়ের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল। তার ধারণা হল যে, নরকে অবস্থিত সব নরকের দূতদের সামনে এমন কথা বলে দুই ভাই তাকে অপমান করছে। সে রেগে গিয়ে দুই ভাইকে বলল না, তিনি ভয় পান নি। এবার খেলতে বসা যাক। এক্সিবালেংখুয়ে আর হুনাহপু এমন কথা শুনে হাসল। এটাই তো তারা চেয়েছিল।

এক্সিবালবা জানত সঠিক ভাবে খেললে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে তিনি জিততে পারবেন না। কারণ তার বয়স হয়েছে; ওদিকে দুই ভাইয়ের বয়স কম, ক্ষিপ্রতা বেশি তাই ওদের জেতার সম্ভাবনা বেশি। তাই তিনি কাঁটাওয়ালা বলের সাহায্যে খেলা শুরু করলেন। তার দুই হাত ছিল মোটা কাপড়ে মোড়া। ফলে তার হাত কাটবার ভয় ছিল না। কিন্তু দুই ভাইয়ের তো তা ছিল না। তারা রেগে গেল এক্সিবালবার ওপরে এমন অন্যায় খেলার অপচেষ্টার কারণে। তারা পরিষ্কার বলল তারা এক্সিবালবা ন্যায্যভাবে না খেললে খেলতেই রাজি নয়। তখন বাধ্য হয়ে ভাল ও কাঁটা মুক্ত বলের সাহায্যে খেলতে শুরু করল।

দুই ভাইয়ের এটা ভালই জানা ছিল যে, তারা জিতলে নরক থেকে জীবন্ত বেঁচে ফিরবে না। তাই চালাকি করে তারা হারবার জন্য খেলতে শুরু করল। তাতে ফল হল। এক্সিবালবা সহজেই জিতলেন। তারপর বরফের খেলা আগুনের ওপরে ঝাঁপ দেবার খেলা শুরু করলেন। প্রতিবারই ইচ্ছা করে হারলেন দুই ভাই।


দুই ভাইয়ের মৃত্যু হল

অবশেষে দুই ভাইয়ের সাথে নরকদেবের শেষ খেলায় সত্যকারের খেলা শুরু হল। প্রত্যেকটা ম্যাচে হারতে আর ভাল লাগছিল না দুই ভাইয়ের। আর তাই তারা শেষ ম্যাচে সত্য সত্যই জিতলেন। তাতেই এক্সিবালবা বুঝলেন, দুই ভাই তার সাথে প্রতারণা করেছেন। তারা সব ম্যাচেই যে ইচ্ছাকৃত ভাবে হেরেছেন তাও বুঝতে পারলেন। তাতে ক্রুদ্ধ হয়ে দুই ভাইকে এক বিশাল চুল্লিতে ঝাঁপ দিতে বললেন। দুই ভাই তাতে ঝাঁপ দিতে সম্মত হলেন। তাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হল। তারপর নরকদেব তাদের ছাইকে রক্তের নদীতে ফেলে দিলেন। তিনি জানতেন না যে, এটাই ছিল দুই ভাইয়ের গোপন খেলা। দুই ভাইয়ের জানা ছিল যে, ঐ নদীতে তাদের ছাই ফেললেই তারা আবার বেঁচে উঠবেন। তবে মনুষ্যরূপে নয়, কাটলফিশ মাছের রূপে। সেই জন্যই তারা ঝাঁপ দিতে রাজি হয়েছিলেন। এর জন্য একটা গোপন মন্ত্র বলতে হত। ঝাঁপ দেবার পূর্বে দুই ভাই মনে মনে এই মন্ত্র বলে নিয়েছিলেন। ফলে কাটলফিশের রূপে জীবন নিয়ে ফিরতে অসুবিধা হল না।

তাদের এমন চমকপ্রদ যাদু দেখে এক্সিবালবা চমকে গেলেন। তিনি দুই ভাইকে কাটলফিশের রুপ থেকে মনুষ্য রূপে ফিরিয়ে আনলেন। তারপর জীবিত অবস্থায় ফিরে আসবার গোপন রহস্য কি তা জানতে চাইলেন। দুই ভাই তাকে জানাল কীভাবে তারা এই ব্যাপারটা সম্ভব করেছে। শুধু জানাল না যা, তা হল আসল মন্ত্রের পংক্তিটা। তারা একটা মন্ত্র মিথ্যা মিথ্যা বানিয়ে বলল যে এই মন্ত্র বলে ঝাঁপ দিলেই হবে। তারা যেভাবে বেঁচে ফিরেছে, নরকের রাজাও সেভাবেই ফিরে আসবেন। নির্বোধ এক্সিবালবা সে কথা বিশ্বাস করে ঐ বিশাল চুল্লিতে ঝাঁপ দিলেন। এর ফলে তিনি মারা গেলেন। তার ছাইকে মাটিতে পুঁতে দিলেন। এর ফলে এক্সিবালবার ফিরে আসবার কোনও সম্ভাবনা রইল না। এই ভাবে এক্সিবালেংখুয়ে আর হুনাহপু জিতে গেলেন!


এক্সিবালেংখুয়ে আর হুনাহপু সমপর্কে কৌতূহলোদ্দীপক তথ্য
অন্যান্য মেসো আমেরিকান সভ্যতাতেও অনেকটা এই যমজ নায়কের সমতুল্য কাহিনী পাওয়া যায়।
মায়ারা বিশ্বাস করত যে, এক্সিবালেংখুয়ে এবং হুনাহপু ছিলেন যথাক্রমে পৃথিবীর শাসক এবং আকাশের দেবতা। পরে দুজন যথাক্রমে চন্দ্রদেব এবং সূর্যদেবে রূপান্তরিত হন।
পুরাণ অনুযায়ী দুই ভাই পরে তার বাবা ও কাকাকে নরক থেকে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন।
মায়ারা বিশ্বাস করত যে, মায়া সম্রাট আসলে হয় এক্সিবালেংখুয়ে নয় হুনাহপু দেবের পুত্র। এই কারণেই মায়ারা আহাওকে এত মান্য করত।
মায়াদের বহু সাহিত্যে এই দুই ভাইয়ের সমপর্কে অনেক ছড়া আছে। এবং অনেক পিরামিডে দুজনের অনেক চিত্র অঙ্কিত আছে।
0 votes
by
এক্সবালেংখুয়ের কাহিনী এই যমজ দেবতার কাহিনী মায়া পুরাণের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অধ্যায় বলে মনে করা হয়। এই কাহিনী যে কটা অদ্যাবধি জীবিত মায়া পুরাণ টিকে আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত। এই কাহিনী বিখ্যাত পোপোল ভুহ গ্রন্থে লিখিত হয়েছে খুইচ্যে ভাষায়; স্প্যানিশ লিপিতে। এখানে গল্পের সংক্ষিপ্তসার দেওয়া হল। বাবা ও কাকা এই যমজ দেবতার কাহিনী শুরু হয়েছে যমজ বাচ্চা ছেলের কাহিনী দিয়ে। তাদের নাম ছিল এক হুনাহপু এবং সাত হুনাহপু দিয়ে। এই হুনাহপুদ্বয় বিখ্যাত মায়া বল গেম [ভলিবলের মতন খেলা] খেলতে ভাল বাসত। তারা খুব প্রতিভাবান ছিল, সবসময়েই এই খেলায় তারাই জিতত। জিতলে কী হয়, তারা খেলবার সময়ে বড্ড জোরে জোরে চিৎকার করত। তাদের ক্রমাগত চিৎকার শুনে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল তথাকথিত মায়া নরক দেবতা এক্সিবালবার। তিনি এইরকম চীৎকারে প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে নরকের দুটি দূত পাঠিয়ে যমজ দেবতাকে সমন দিলেন। এই এক্সিবালবা অত্যন্ত বদরাগী এবং নিষ্ঠুর চরিত্রের দেবতা ছিলেন। মায়ারা সচরাচর এর নাম মুখে আনতে চাইত না। কেননা মায়াদের বিশ্বাস ছিল কেউ যদি ভুল করেও এর নাম মুখে আনে তবে তার আয়ু দ্রুতই ফুরিয়ে যাবে। সে যাই হোক, যমজ দেবতা তো সমন পেয়ে দ্রুত নরকে এসে হাজির হল। তখন নরক দেবতা তাদের বেশ কয়েকটা কঠিন পরীক্ষার সামনে ফেললেন। প্রথমে তাদের বলা হল যে তারা যেন যেভাবেই হোক কাঁটার সেতু পেরোয়। এই সেতুর তলা দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল রক্তের নদী। তারা সেই পরীক্ষায় সফল হয়ে নরকের দেবতার কাছে পৌঁছালেন। সেখানে নরক দেবতা একটা কাঠের ছড়ি কাঁধে ঠেকিয়ে অভিবাদন করলেন। তারপর জিজ্ঞাসা করলেন যে দেবতাদ্বয় কি তাদের চিনতে পারেন। দেবতাদ্বয় তাকে চিনতেন না। ফলে এই পরীক্ষায় তারা অসফল হলেন। তখন এক্সিবালবা তাদের শয়তানি করে একটা নিরীহ কাঠের বেঞ্চিতে বসতে বললেন। দুই ভাই তার চক্রান্ত ধরতে না পেরে সরল বিশ্বাসে সেই বেঞ্চিতে বসলেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা বিস্ময়ের সাথে দেখলেন সে বেঞ্চিতে আগুন ধরে গেল। তারা আগুনে বেঞ্চি থেকে বেরুতে না পেরে পুড়ে মারা গেলেন। হুনাহপু ও এক্সবালাংখুয়ে জন্মালেন এক হুনাহপু এবং সাত হুনাহপু তো মারা গেলেন। তারপর কি হল? পুরাণ অনুসারে এক হুনাহপুর একটি সন্তান জীবিত ছিল। তিনি ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মায়া দেবী। যথাসময়ে তার দুটি সন্তানের জন্ম হল। এই যমজ সন্তানের নাম হল এক্সবালাংখুয়ে ও হুনাহপু। তারা তার বাবা ও কাকার মতই ভাল বল খেলোয়াড় ছিলেন। কিন্তু তাদের তুলনায় বেশি বুদ্ধিমান ও শক্তিমান ছিলেন। তারাও বাবা-কাকার মতই খেলবার সময়ে প্রচন্ড জোরে জোরে চিৎকার করতেন। তাদের একটানা জোরে জোরে চিৎকার শুনে অত্যন্ত বিরক্ত হলেন নরকদেব এক্সিবালবা। আগের বারের মতই এবারেও তিনি দুটি দূত পাঠালেন সমন পাঠিয়ে যে, তারা যেন এক্সিবালবার সাথে দেখা করে। এবং সেখানে এসে খেলে এক্সিবালবাকে হারিয়ে দেয়। যমজ দেবতার নরকে অভিযান অতঃপর দুই ভাই নরকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করল। তারা মার কাছ থেকে আগেই জেনে মিয়েছিল যে, তারা বাবা ও কাকা কি কি ভুল করেছিল। সেই মতন জেনে তারা নরকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল তারা নরকের দেবতার পাতা ফাঁদে পা দিল না। এক্সিবালবা যতগুলি পরীক্ষায় বসতে দিল ততগুলিই পরীক্ষায় তারা সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হল। তখন ক্ষিপ্ত এক্সিবালবা প্রতারণার আশ্রয় নিল। তিনি একজন মশার রূপ নিয়ে কামড়ালেন দুই ভাইকে। কিন্তু কিছুই হল না। তারা মশা মারার জন্য খন্তির মতন একরকম কাঠের টুকরো নিয়ে সে মশাকে তাড়া করতেই মশা জীবন বাঁচাবার জন্য পালাতে বাধ্য হল। তারপর এক্সিবালবা তাদের কাঠের বেঞ্চিতে বসতে আদেশ দিলে তারা সুকৌশলে সে আদেশ অমান্য করল। হুনাহপু এবং এক্সিবালেংখুয়ে নরকদেবকে বলল তারা খেলতে এসছে, বসতে আসে নি। নরক দেবতা কি ওদের সাথে হেরে যাবার ভয়েই খেলতে চাইছেন না? তাই কি এমন করে সময় নষ্ট করছেন? এক্সিবালবা বনাম এক্সিবালেংখুয়ে আর হুনাহপু এক্সিবালবা বলাই বাহুল্য দুই ভাইয়ের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল। তার ধারণা হল যে, নরকে অবস্থিত সব নরকের দূতদের সামনে এমন কথা বলে দুই ভাই তাকে অপমান করছে। সে রেগে গিয়ে দুই ভাইকে বলল না, তিনি ভয় পান নি। এবার খেলতে বসা যাক। এক্সিবালেংখুয়ে আর হুনাহপু এমন কথা শুনে হাসল। এটাই তো তারা চেয়েছিল। এক্সিবালবা জানত সঠিক ভাবে খেললে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে তিনি জিততে পারবেন না। কারণ তার বয়স হয়েছে; ওদিকে দুই ভাইয়ের বয়স কম, ক্ষিপ্রতা বেশি তাই ওদের জেতার সম্ভাবনা বেশি। তাই তিনি কাঁটাওয়ালা বলের সাহায্যে খেলা শুরু করলেন। তার দুই হাত ছিল মোটা কাপড়ে মোড়া। ফলে তার হাত কাটবার ভয় ছিল না। কিন্তু দুই ভাইয়ের তো তা ছিল না। তারা রেগে গেল এক্সিবালবার ওপরে এমন অন্যায় খেলার অপচেষ্টার কারণে। তারা পরিষ্কার বলল তারা এক্সিবালবা ন্যায্যভাবে না খেললে খেলতেই রাজি নয়।

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...