in ইতিহাস ও নিদর্শন by
ইসলাম খান মাশহাদি সম্পর্কে কিছু লিখ?

3 Answers

0 votes
by
 
Best answer
ইসলাম খান মাশহাদি বাংলার সুবাহদার কাজের মেয়াদ ১৬৩৫ – ১৬৩৯ পূর্বসূরী আযম খান উত্তরসূরী শাহ সুজা শৈশব ইসলাম খান শৈশবে সম্রাট জাহাঙ্গীরের খেলার সাথী ছিলেন। তার বাবার নাম শেখ বদরউদ্দিন চিশতি এবং ফতেহপুর সিক্রি নিবাসী দরবেশ শেখ সেলিম চিশতির দৌহিত্র ছিলেন। তিনি মোঘল ঐতিহ্যের উপরে আনুষ্ঠানিক শিক্ষালাভের সুযোগ পেলেও তেমন ভাবে সামরিক প্রশিক্ষণ পাননি। তথাপি তিনি মোঘল সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর তাকে দুহাজারী মনসবদারীতে উন্নীত করে ইসলাম খা উপাধী প্রদান করেন।[১] তিনি বাংলা সুবাদারের দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিহার প্রদেশের সুবাদার ছিলেন। বাংলা বিজয় সম্রাট আকবর বাংলা অঞ্চলে নিজের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অনেকবার অভিযান পরিচালনা করলেও সামন্ততান্ত্রিক বিদ্রোহের কারণে তা সফল হয়নি। সিংহাসনে আরোহণের পর সম্রাট জাহাঙ্গীরও বাংলা প্রদেশে কয়েকবার সৈন্যদের অভিযানে পাঠান। কিন্তু সবগুলো অভিযান ব্যর্থ হয়। ১৬০৮ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর বাংলা বিজয়ের লক্ষ্যে ইসলাম খান কে প্রেরণ করেন। ইসলাম খানের বয়স তখন মাত্র ৩৮ বছর। তিনি বাংলার রাজনীতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং তার প্রচারাভিযান পরিচালনার বিষয়াদির সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বাংলায় মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠার প্রধান বাধার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে বারো ভূঁইয়ার ভাটি এবং খাজা উসমানের অধীনস্থ আফগানি মদদদাতাদের সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন। ইসলাম খান তার সামরিক এবং নৌবাহিনীকে পুনগঠিত করে প্রথমে বারো ভূঁইয়াদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করেন। তিনি উপলব্ধি করেন ভাটি অঞ্চলে যুদ্ধ জয়ের জন্য তাকে তার নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে হবে। এই উপলব্ধি থেকে ভাটি অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তা এবং সৈন্য নিয়োগ করেন। ইসলাম খান খুব সতর্কতার সাথে ভাটি অঞ্চলে যুদ্ধাভিযান পরিচালনা করেন, তিনি প্রথমে বারো ভূঁইয়াদের মিত্র যেমন যশোরের শক্তিশালী রাজা প্রতাপাদিত্য এবং ভুসনার রাজা সতরঞ্জিতকে দমন করেন। তিনি বাংলার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের অবাধ্য জমিদারদের বিরুদ্ধেও সৈন্য প্রেরণ করেছিলেন। ১৬০৯ সালের জুন মাসে ইসলাম খানের সৈন্যরা রাজমহল থেকে ঘোড়াঘাটে এসে পৌছায়। তিনি জুন-জুলাই মাসে ঢাকায় পৌছানোর আগে ১৬১০ সালের প্রথম কয়েক মাস বারো ভূঁইয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত থাকেন। বারো ভূঁইয়াগণ স্তিমিত না হয়ে পুনরায় লক্ষা নদীর দুপাশে তাদের অবস্থান সুসংহত করেন। ইসলাম খান তাদের বেশি সুযোগ না দিয়ে ঢাকাকে পুনগঠিত করেই তিনি বারো ভূঁইয়াদের সবগুলো ঘাঁটিতে আক্রমণ চালান এনং ১৬১১ সালের শেষের দিকে বারো ভূঁইয়াদের প্রধান মুসা খান বারো ভূঁইয়াদের সকলে ইসলাম খানের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তার এই বিজয়ের পর ইসলাম খান তার সৈন্য পাঠান খাজা উসমান খান এবং আফগানি অধিপতিদের বিরুদ্ধে। আফগানিরা উহার (মৌলভীবাজার) পালিয়ে যায় এবং নিজেদের আত্মরক্ষার চেষ্টা করতে থাকে। ইসলাম খানের অনুরোধে সম্রাট উসমানের বিরুদ্ধে সৈন্যদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সুজাত খানকে প্রেরণ করেন। দুই পক্ষই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও খাজা উসমানের হঠাৎ মৃত্যুতে মুঘল সৈন্যদের সুবিধা অর্জন করে। মুঘল বাহিনী আরও অগ্রসর হয়ে তাদের প্রতিপক্ষ এবং সিলেটের বায়াজিদ কেরানীর অধীনস্থ আফগানি সৈন্যদের পরাস্ত করে। ইসলাম খান পরে কামরূপ রাজ্যও অধিকার করেন। ঢাকার গভর্নর ইসলাম খান বাংলার প্রায় সবখানেই মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি এক এক করে তার শত্রুদের আক্রমণ করেছিলেন এবং সুগঠিত মুঘল সৈন্য দ্বারা মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমন করে সবখানে এক মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যদিও পরাজিত জমিদার, ভূঁইয়া, এবং প্রধানদের অঞ্চল তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হত কিন্তু তাদের মুঘল সামরিক দলে জোড়পূর্বক যোগ দেওয়ানো হত এবং তাদের যুদ্ধ জাহাজ গুলো বাজেয়াপ্ত করা হত। মুঘল সৈন্যদলে যোগ দেওয়ার ফলে তাদের নিজেদের মিত্র জমিদার ও ভূঁইয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বাধ্য করা হত। ভূঁইয়াদের পরাস্ত করার পর ইসলাম খান প্রাদেশিক রাজধানী সরিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত নেন। তিনি পূর্ব বাংলা রাজমহল থেকে রাজধানী বাংলার মধ্যবর্তী অঞ্চল ঢাকাতে সরিয়ে আনেন। এ স্থানান্তর মুঘল সৈন্যরা বাংলার মূল ভূখন্ডে স্থায়ীভাবে ব্যবহার করার সুযোগ পায় এবং এলাকার রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেদের জড়িত করে। ঢাকাকে ইসলাম খান নামান্তরিত করে জাহাঙ্গীরনগর করেন এবং আধুনিক এক শহরের গোড়াপত্তন করেন। ঢাকার ইসলাম পুর তার নামেই নামকরণ করা হয়েছে। রমনার একাংশ একসময় তার বংশের নামে মহল্লা চিশতীয়ান বলে পরিচিত ছিল। সৈয়দ আওলাদ হোসেন লেনের মসজিদটি ইসলাম খাঁ নির্মিত বলে অণুমিত হয়। ঢাকার বর্তমান কেন্দ্রীয় কারাগার যা একটি দুর্গ ছিল তা ইসলাম খান পুননির্মাণ করেছিলেন। [১] ইসলাম খান (১৫৭০-১৬১৩ খ্রিষ্টাব্দ) মোগল সেনাপতি ও বঙ্গদেশের মোগল শাসনামলে রাজধানী ঢাকার প্রথম সুবাদার। তাঁর প্রকৃত নাম শেখ আলাউদ্দিন চিশতি। মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁকে ইসলাম খান উপাধি দিয়েছিলেন। ইতিহাসে তিনি ইসলাম খান নামে সর্বাধিক পরিচিত। তাঁর বাবার নাম শেখ বদরউদ্দিন চিশতি। তিনি ফতেহপুর সিক্রি নিবাসী দরবেশ শেখ সেলিম চিশতির দৌহিত্র ছিলেন। কথিত আছে ইসলাম খান শৈশবকালে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের খেলার সাথী ছিলেন। এই সূত্রে তিনি মোগল ঐতিহ্য সম্পর্কে বিশেষভাবে অবগত হতে পেরেছিলেন। বড় হয়ে তিনি মোগল সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। ১৬০৫ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সিংহাসন আরোহণের পর, তাঁকে দুহাজারী মনসবদারী পদে উন্নীত করেন এবং ইসলাম উপাধি প্রদান করেন। দায়িত্বশীল কাজ হিসেবে তিনি বিহার প্রদেশের সুবাদার পদ পান। সিংহাসনে আরোহণের পর, সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৬০৮ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে বাংলার সুবেদার করেন। তিনি বাংলার রাজনীতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। এই সময় বাংলায় ছিল বারো ভুঁইয়াদের রাজত্ব। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন- এদের পরাজিত করা ছাড়া বাংলা দখল সম্ভব নয়। এছাড়া নদী-মাতৃক বাংলা দেশে নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন। তাই তিনি প্রথমে শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলেন। এরপর তিনি বার-ভুঁইয়াদের অন্যতম ভুঁইয়া মুসা খাঁ-এর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন। পথিমধ্যে তিনি খুলনা-যশোহর অঞ্চলে ভুঁইয়া প্রতাপাদিত্যকে আক্রমণের উদ্যোগ নিলে, তিনি বশ্যতা স্বীকার করেন এবং মুসা খাঁ-এর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে সাহায্য করার অঙ্গীকার করেন। ১৬০৯ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান তৎকালীন বাংলার সীমান্ত রাজ্য কুচবিহার দখল করেন। এই সময় পূর্ববাংলার শাসক ছিলেন, ঈসা খাঁর পুত্র মুসা খাঁ। ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে ইসলাম খাঁর বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ পরিচালনা করতে থাকেন। এই ক্রমাগত আক্রমণের মুখে, পূর্বঙ্গের মুসা খাঁর সামরিক শক্তি হ্রাস পায়। ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে মোগল বাহিনী যাত্রাপুর ও ডাকচারা দুর্গ দখল করে নেয়। এই সময় বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে, তিনি ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে সরিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। এই সময় ইসলাম খান ঢাকার নাম পাল্টে রাখেন জাহাঙ্গীরনগর। ১৬১১ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মোগলরা ঢাকা থেকে সোনারগাঁও আক্রমণ করে। এই আক্রমণে মুসা খাঁ পরাজিত ও বন্দী হন। পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলে, মোগলবাহিনীর কর্মচারী হিসেবে কাজ করে বাকি জীবন অতিবাহিত করেন। ধারণা করা হয় এই সময়ে তিনি খিজিরপুর দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দের দিকেই মোগলরা ময়মনসিংহের ভুঁইয়া উসমানের বিরুদ্ধে অভিযান চালান। প্রবলভাবে বাধা দেওয়ার পরেও উসমান পরাজিত হন এবং তিনি পালিয়ে শ্রীহট্টের আফগান ভুঁইয়া বায়জিদ কর্রানির আশ্রয়ে চলে যান। ১৬১২ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান প্রতাপাদিত্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালান। মুসা খাঁর সাথে যুদ্ধের সময় তিনি চুক্তি অনুসারে মোগলদের সাহায্য করেন নি, এই অজুহাতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছিল। বাখেরগঞ্জের ভুঁইয়া রামচন্দ্র ছিলেন প্রতাপাদিত্যের জামাতা। রামচন্দ্র যাতে প্রতাপাদিত্যকে সাহায্য না করতে পারেন, সে কারণে ইসলাম খান একই সাথে রামচন্দ্র-এর বিরুদ্ধে অপর একটি সেনাদল পাঠান। প্রতাপাদিত্য যশোহর রক্ষার জন্য তাঁর পুত্র উদয়াদিত্যকে নিয়োগ করেন আর নিজে তাঁর রাজ্যের রাজধানী ধুমঘাট প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করেন। যুদ্ধে প্রথমে উদয়াদিত্য এবং পরে প্রতাপাদিত্য পরাজিত বন্দী হন। পরে বন্দী অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৬১৩ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান পুনরায় উসমানের রাজ্য আক্রমণ করেন। যুদ্ধের প্রথম থেকেই উসমান ক্রমাগত জয়লাভ করতে থাকেন। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে তীরবিদ্ধ হয়ে উসমানের মৃত্যু হলে, আফগান সৈন্যরা মোগলদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এর ভিতর দিয়ে বাংলার ভুঁইয়াদের রাজত্ব শেষ হয়ে যায়। ১৬১৩ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান তৎকালীন বাংলার সীমান্ত রাজ্য কুচবিহার এবং কামরূপ রাজ্য দখল করেন। ইসলাম খান ১৬১৫ খ্রিষ্টাব্দে অহোম রাজ্য আক্রমণ করেন কিন্তু সফল হতে পারেন নি। বার-ভূঁইয়াদের পরাস্ত করার পর ইসলাম খান, বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী রাজমহল ঢাকাতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে মোগল সৈন্যরা বাংলার কেন্দ্রীয় অংশে স্থায়ীভাবে ব্যবহার করার সুযোগ লাভ করে। রাজধানী স্থানান্তরের পরে তিনি ঢাকার নামকরণ করেনজাহাঙ্গীরনগর । যদিও শেষ পর্যন্ত এই নাম স্থায়ী হয় নি। তবে ঢাকার ইসলাম পুর তার নামেই নামকরণ করা হয়েছিল এবং এখনও তা আছে। উল্লেখ্য, রমনার একাংশের নাম একসময় তার বংশের নামে মহল্লা চিশতীয়ান বলে পরিচিত ছিল। সে নামও ইতিহাসের গর্ভে হারিয়ে গেছে। ধারণা করা হয় সৈয়দ আওলাদ হোসেন লেনের মসজিদটি ইসলাম খাঁ নির্মিত। পুরানো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার ছিল একটি প্রাচীন দুর্গ। ইসলাম খান পুননির্মাণ করেছিলেন। ইসলাম খান ঢাকা এবং বাংলার সুবাদার হিসেবে ছিলেন ১৬০৮ থেকে ১৬১৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। ১৬১৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা থেকে ২৫ মাইল উত্তরে ভাওয়াল এলাকায় মৃতুবরণ করেন। তাঁকে প্রথম সমাহিত করা হয়েছিল ঢাকার বাদশাহী বাগ (পুরনো হাইকোর্ট এলাকা)। পরে তাঁর দেহাংশ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ফতেহপুর সিক্রিতে। সেখানে তাঁর দাদা শেখ সেলিম চিশতির পাশে সমাহিত করা হয়। মৃত্যু ইসলাম খান ঢাকা এবং বাংলার গভর্নর ছিলেন ১৬০৮ থেকে ১৬১৩ সাল পর্যন্ত। ১৬১৩ সালে তিনি ঢাকা থেকে ২৫ মাইল উত্তরে ভাওয়ালে রহস্যজনক এবং অনাকাঙ্খিত ভাবে মৃতুবরণ করেন। তিনি প্রথমে সমাহিত হন বাদশাহী বাগ (পুরনো হাইকোর্ট এলাকা), ঢাকা। পরে তার অবশিষ্ট ফতেহপুর সিক্রি নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার দাদা শেখ সেলিম চিশতি এর পাশে সমাহিত করা হয়। তার নামে ঢাকা একটি বড় মসজিদ রয়েছে।
0 votes
by
পর্তুগিজেরা বাংলায় প্রথম আগমন করে ১৫১৬ খ্রিষ্টাব্দে। কিন্তু শের শাহ তাদের বিতাড়িত করেন। পরে মুঘল শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর তারা আবার ফিরে আসে এবং হুগলী বন্দর প্রতিষ্ঠা করে, যা কালক্রমে বাংলার তৎকালীন শ্রেষ্ঠ বন্দরে পরিণত হয়। ১৬শ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ১৭শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত পর্তুগিজ জাতি বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্য, ধর্মপ্রচার, কৃষিকাজ, দাস-ব্যবসা, ইত্যাদিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তারা রাষ্ট্রদোহী কার্যকলাপের জন্য মুঘল সম্রাট শাহজাহানের রোষানলে পড়ে এবং শাহজাহান ক্ষমতায় আসার পর তার আদেশে কাসিম খান ১৬৩২ সালে তাদেরকে যুদ্ধে পরাজিত করে হুগলী শহর দখল করলে পর্তুগিজরা এ দেশ ছেড়ে ধীরে ধীরে চলে যায়। পর্তুগিজেরা এদেশে বহু নতুন জিনিস আমদানি করে আনে: চীনের রেশমী কাপড়, মালাক্কার মসলা, সিংহলের চীনাবাদাম, ইত্যাদি। পর্তুগিজরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলায় অনেক নতুন নতুন শস্যের আমদানি করে ও সেগুলির কৃষিকাজ আরম্ভ করে। উত্তর আমেরিকা থেকে গোল আলু ও তামাক, ব্রাজিল থেকে বাদাম, ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে পেঁপে, আনারস, কামরাঙা ও পেয়ারা, ইউরোপ থেকে জলপাই - এগুলি সবই পর্তুগিজরা এই দেশে চালু করে। বাংলার মিষ্টি ও আচার শিল্প পর্তুগিজদের একক অবদান। নানা ধরনের রসালো ও শুকনো মিষ্টি এবং নানা রকমের আচার তৈরিতে পর্তুগিজরা ছিল অদ্বিতীয়।
0 votes
by
23 ফেব্রুয়ারি উত্তর প্রদান করেছেন Md Jibon ইসলাম খান মাশহাদি বাংলার সুবাহদার কাজের মেয়াদ ১৬৩৫ – ১৬৩৯ পূর্বসূরী আযম খান উত্তরসূরী শাহ সুজা শৈশব ইসলাম খান শৈশবে সম্রাট জাহাঙ্গীরের খেলার সাথী ছিলেন। তার বাবার নাম শেখ বদরউদ্দিন চিশতি এবং ফতেহপুর সিক্রি নিবাসী দরবেশ শেখ সেলিম চিশতির দৌহিত্র ছিলেন। তিনি মোঘল ঐতিহ্যের উপরে আনুষ্ঠানিক শিক্ষালাভের সুযোগ পেলেও তেমন ভাবে সামরিক প্রশিক্ষণ পাননি। তথাপি তিনি মোঘল সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর তাকে দুহাজারী মনসবদারীতে উন্নীত করে ইসলাম খা উপাধী প্রদান করেন।[১] তিনি বাংলা সুবাদারের দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিহার প্রদেশের সুবাদার ছিলেন। বাংলা বিজয় সম্রাট আকবর বাংলা অঞ্চলে নিজের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অনেকবার অভিযান পরিচালনা করলেও সামন্ততান্ত্রিক বিদ্রোহের কারণে তা সফল হয়নি। সিংহাসনে আরোহণের পর সম্রাট জাহাঙ্গীরও বাংলা প্রদেশে কয়েকবার সৈন্যদের অভিযানে পাঠান। কিন্তু সবগুলো অভিযান ব্যর্থ হয়। ১৬০৮ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর বাংলা বিজয়ের লক্ষ্যে ইসলাম খান কে প্রেরণ করেন। ইসলাম খানের বয়স তখন মাত্র ৩৮ বছর। তিনি বাংলার রাজনীতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং তার প্রচারাভিযান পরিচালনার বিষয়াদির সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বাংলায় মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠার প্রধান বাধার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে বারো ভূঁইয়ার ভাটি এবং খাজা উসমানের অধীনস্থ আফগানি মদদদাতাদের সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন। ইসলাম খান তার সামরিক এবং নৌবাহিনীকে পুনগঠিত করে প্রথমে বারো ভূঁইয়াদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করেন। তিনি উপলব্ধি করেন ভাটি অঞ্চলে যুদ্ধ জয়ের জন্য তাকে তার নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে হবে। এই উপলব্ধি থেকে ভাটি অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তা এবং সৈন্য নিয়োগ করেন। ইসলাম খান খুব সতর্কতার সাথে ভাটি অঞ্চলে যুদ্ধাভিযান পরিচালনা করেন, তিনি প্রথমে বারো ভূঁইয়াদের মিত্র যেমন যশোরের শক্তিশালী রাজা প্রতাপাদিত্য এবং ভুসনার রাজা সতরঞ্জিতকে দমন করেন। তিনি বাংলার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের অবাধ্য জমিদারদের বিরুদ্ধেও সৈন্য প্রেরণ করেছিলেন। ১৬০৯ সালের জুন মাসে ইসলাম খানের সৈন্যরা রাজমহল থেকে ঘোড়াঘাটে এসে পৌছায়। তিনি জুন-জুলাই মাসে ঢাকায় পৌছানোর আগে ১৬১০ সালের প্রথম কয়েক মাস বারো ভূঁইয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত থাকেন। বারো ভূঁইয়াগণ স্তিমিত না হয়ে পুনরায় লক্ষা নদীর দুপাশে তাদের অবস্থান সুসংহত করেন। ইসলাম খান তাদের বেশি সুযোগ না দিয়ে ঢাকাকে পুনগঠিত করেই তিনি বারো ভূঁইয়াদের সবগুলো ঘাঁটিতে আক্রমণ চালান এনং ১৬১১ সালের শেষের দিকে বারো ভূঁইয়াদের প্রধান মুসা খান বারো ভূঁইয়াদের সকলে ইসলাম খানের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তার এই বিজয়ের পর ইসলাম খান তার সৈন্য পাঠান খাজা উসমান খান এবং আফগানি অধিপতিদের বিরুদ্ধে। আফগানিরা উহার (মৌলভীবাজার) পালিয়ে যায় এবং নিজেদের আত্মরক্ষার চেষ্টা করতে থাকে। ইসলাম খানের অনুরোধে সম্রাট উসমানের বিরুদ্ধে সৈন্যদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সুজাত খানকে প্রেরণ করেন। দুই পক্ষই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও খাজা উসমানের হঠাৎ মৃত্যুতে মুঘল সৈন্যদের সুবিধা অর্জন করে। মুঘল বাহিনী আরও অগ্রসর হয়ে তাদের প্রতিপক্ষ এবং সিলেটের বায়াজিদ কেরানীর অধীনস্থ আফগানি সৈন্যদের পরাস্ত করে। ইসলাম খান পরে কামরূপ রাজ্যও অধিকার করেন। ঢাকার গভর্নর ইসলাম খান বাংলার প্রায় সবখানেই মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি এক এক করে তার শত্রুদের আক্রমণ করেছিলেন এবং সুগঠিত মুঘল সৈন্য দ্বারা মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমন করে সবখানে এক মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যদিও পরাজিত জমিদার, ভূঁইয়া, এবং প্রধানদের অঞ্চল তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হত কিন্তু তাদের মুঘল সামরিক দলে জোড়পূর্বক যোগ দেওয়ানো হত এবং তাদের যুদ্ধ জাহাজ গুলো বাজেয়াপ্ত করা হত। মুঘল সৈন্যদলে যোগ দেওয়ার ফলে তাদের নিজেদের মিত্র জমিদার ও ভূঁইয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বাধ্য করা হত। ভূঁইয়াদের পরাস্ত করার পর ইসলাম খান প্রাদেশিক রাজধানী সরিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত নেন। তিনি পূর্ব বাংলা রাজমহল থেকে রাজধানী বাংলার মধ্যবর্তী অঞ্চল ঢাকাতে সরিয়ে আনেন। এ স্থানান্তর মুঘল সৈন্যরা বাংলার মূল ভূখন্ডে স্থায়ীভাবে ব্যবহার করার সুযোগ পায় এবং এলাকার রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেদের জড়িত করে। ঢাকাকে ইসলাম খান নামান্তরিত করে জাহাঙ্গীরনগর করেন এবং আধুনিক এক শহরের গোড়াপত্তন করেন। ঢাকার ইসলাম পুর তার নামেই নামকরণ করা হয়েছে। রমনার একাংশ একসময় তার বংশের নামে মহল্লা চিশতীয়ান বলে পরিচিত ছিল। সৈয়দ আওলাদ হোসেন লেনের মসজিদটি ইসলাম খাঁ নির্মিত বলে অণুমিত হয়। ঢাকার বর্তমান কেন্দ্রীয় কারাগার যা একটি দুর্গ ছিল তা ইসলাম খান পুননির্মাণ করেছিলেন। [১] ইসলাম খান (১৫৭০-১৬১৩ খ্রিষ্টাব্দ) মোগল সেনাপতি ও বঙ্গদেশের মোগল শাসনামলে রাজধানী ঢাকার প্রথম সুবাদার। তাঁর প্রকৃত নাম শেখ আলাউদ্দিন চিশতি। মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁকে ইসলাম খান উপাধি দিয়েছিলেন। ইতিহাসে তিনি ইসলাম খান নামে সর্বাধিক পরিচিত। তাঁর বাবার নাম শেখ বদরউদ্দিন চিশতি। তিনি ফতেহপুর সিক্রি নিবাসী দরবেশ শেখ সেলিম চিশতির দৌহিত্র ছিলেন। কথিত আছে ইসলাম খান শৈশবকালে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের খেলার সাথী ছিলেন। এই সূত্রে তিনি মোগল ঐতিহ্য সম্পর্কে বিশেষভাবে অবগত হতে পেরেছিলেন। বড় হয়ে তিনি মোগল সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। ১৬০৫ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সিংহাসন আরোহণের পর, তাঁকে দুহাজারী মনসবদারী পদে উন্নীত করেন এবং ইসলাম উপাধি প্রদান করেন। দায়িত্বশীল কাজ হিসেবে তিনি বিহার প্রদেশের সুবাদার পদ পান। সিংহাসনে আরোহণের পর, সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৬০৮ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে বাংলার সুবেদার করেন। তিনি বাংলার রাজনীতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। এই সময় বাংলায় ছিল বারো ভুঁইয়াদের রাজত্ব। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন- এদের পরাজিত করা ছাড়া বাংলা দখল সম্ভব নয়। এছাড়া নদী-মাতৃক বাংলা দেশে নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন। তাই তিনি প্রথমে শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলেন। এরপর তিনি বার-ভুঁইয়াদের অন্যতম ভুঁইয়া মুসা খাঁ-এর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন। পথিমধ্যে তিনি খুলনা-যশোহর অঞ্চলে ভুঁইয়া প্রতাপাদিত্যকে আক্রমণের উদ্যোগ নিলে, তিনি বশ্যতা স্বীকার করেন এবং মুসা খাঁ-এর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে সাহায্য করার অঙ্গীকার করেন। ১৬০৯ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান তৎকালীন বাংলার সীমান্ত রাজ্য কুচবিহার দখল করেন। এই সময় পূর্ববাংলার শাসক ছিলেন, ঈসা খাঁর পুত্র মুসা খাঁ। ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে ইসলাম খাঁর বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ পরিচালনা করতে থাকেন। এই ক্রমাগত আক্রমণের মুখে, পূর্বঙ্গের মুসা খাঁর সামরিক শক্তি হ্রাস পায়। ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে মোগল বাহিনী যাত্রাপুর ও ডাকচারা দুর্গ দখল করে নেয়। এই সময় বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে, তিনি ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে সরিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। এই সময় ইসলাম খান ঢাকার নাম পাল্টে রাখেন জাহাঙ্গীরনগর। ১৬১১ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মোগলরা ঢাকা থেকে সোনারগাঁও আক্রমণ করে। এই আক্রমণে মুসা খাঁ পরাজিত ও বন্দী হন। পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলে, মোগলবাহিনীর কর্মচারী হিসেবে কাজ করে বাকি জীবন অতিবাহিত করেন। ধারণা করা হয় এই সময়ে তিনি খিজিরপুর দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দের দিকেই মোগলরা ময়মনসিংহের ভুঁইয়া উসমানের বিরুদ্ধে অভিযান চালান। প্রবলভাবে বাধা দেওয়ার পরেও উসমান পরাজিত হন এবং তিনি পালিয়ে শ্রীহট্টের আফগান ভুঁইয়া বায়জিদ কর্রানির আশ্রয়ে চলে যান। ১৬১২ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান প্রতাপাদিত্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালান। মুসা খাঁর সাথে যুদ্ধের সময় তিনি চুক্তি অনুসারে মোগলদের সাহায্য করেন নি, এই অজুহাতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছিল। বাখেরগঞ্জের ভুঁইয়া রামচন্দ্র ছিলেন প্রতাপাদিত্যের জামাতা। রামচন্দ্র যাতে প্রতাপাদিত্যকে সাহায্য না করতে পারেন, সে কারণে ইসলাম খান একই সাথে রামচন্দ্র-এর বিরুদ্ধে অপর একটি সেনাদল পাঠান। প্রতাপাদিত্য যশোহর রক্ষার জন্য তাঁর পুত্র উদয়াদিত্যকে নিয়োগ করেন আর নিজে তাঁর রাজ্যের রাজধানী ধুমঘাট প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করেন। যুদ্ধে প্রথমে উদয়াদিত্য এবং পরে প্রতাপাদিত্য পরাজিত বন্দী হন। পরে বন্দী অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৬১৩ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান পুনরায় উসমানের রাজ্য আক্রমণ করেন। যুদ্ধের প্রথম থেকেই উসমান ক্রমাগত জয়লাভ করতে থাকেন। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে তীরবিদ্ধ হয়ে উসমানের মৃত্যু হলে, আফগান সৈন্যরা মোগলদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এর ভিতর দিয়ে বাংলার ভুঁইয়াদের রাজত্ব শেষ হয়ে যায়। ১৬১৩ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান তৎকালীন বাংলার সীমান্ত রাজ্য কুচবিহার এবং কামরূপ রাজ্য দখল করেন। ইসলাম খান ১৬১৫ খ্রিষ্টাব্দে অহোম রাজ্য আক্রমণ করেন কিন্তু সফল হতে পারেন নি। বার-ভূঁইয়াদের পরাস্ত করার পর ইসলাম খান, বাংলার প্রাদেশিক রাজধানী রাজমহল ঢাকাতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে মোগল সৈন্যরা বাংলার কেন্দ্রীয় অংশে স্থায়ীভাবে ব্যবহার করার সুযোগ লাভ করে। রাজধানী স্থানান্তরের পরে তিনি ঢাকার নামকরণ করেনজাহাঙ্গীরনগর । যদিও শেষ পর্যন্ত এই নাম স্থায়ী হয় নি। তবে ঢাকার ইসলাম পুর তার নামেই নামকরণ করা হয়েছিল এবং এখনও তা আছে। উল্লেখ্য, রমনার একাংশের নাম একসময় তার বংশের নামে মহল্লা চিশতীয়ান বলে পরিচিত ছিল। সে নামও ইতিহাসের গর্ভে হারিয়ে গেছে। ধারণা করা হয় সৈয়দ আওলাদ হোসেন লেনের মসজিদটি

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...