in ইতিহাস ও নিদর্শন by
নাদের শাহর সম্পর্কে কিছু লিখ?

2 Answers

0 votes
by
 
Best answer
নাদের শাহর প্রতিকৃতি রাজত্বকাল ১৭৩৬–১৭৪৭ জন্ম ১৬৮৮[১] বা ১৬৯৮[২] জন্মস্থান দস্তগীর,[৩] (কুরাশান, ইরান) মৃত্যু ২০ জুন ১৭৪৭[৪] মৃত্যুস্থান কুচেন (কুরাশান, ইরান) পূর্বসূরি তৃতীয় আব্বাস উত্তরসূরি আদিল শাহ প্রারম্ভিক জীবন নাদের শাহ দস্তগীর দুর্গনগরে আফছারের কেরেক্লু গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার পিতা এমাম কুলি ছিলেন একজন গবাদিপশু পালক যিনি মাঝে মাঝে উষ্ট্রচালক ও কোটম্যাকার[১২] হিসেবেও কাজ করতেন। নাদের যখন ছোট তখন তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন।[১৩] কিংবদন্তী অনুসারে নাদের ও তার মাতা উজবেক বা তুর্কী দ্বারা দাস হিসেবে কাজ শুরু করেন কিন্তু নাদের পালাতে সক্ষম হন। তিনি এরপর একটি সৈন্যবাহিনীতে যোগদান করেন ও পরবর্তীকালে এর প্রধান হয়ে উঠেন। আফছার উপজাতীয় গোত্রের সর্দারের পৃষ্ঠপোষকতায় তার পদমর্যাদা বাড়তে শুরু করে ও তিনি ক্ষমতাশালী সামরিক ব্যক্তিত্ত্বে পরিনত হন। নাদের স্থানীয় গোত্রপ্রধান বাবা আলী বেগের দুই কন্যাকে বিয়ে করেন। পটভূমি নাদির খান ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের দেরাদুনে জন্মগ্রহণ করেছেন। মুহাম্মদ ইউসুফ খান ছিলেন তার পিতা। তার মা শারাফ সুলতানা পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত ছিলেন। তার দাদা ছিলেন ইয়াহিয়া খান ও প্রপিতামহ ছিলেন সুলতান মুহাম্মদ খান তেলাই। সুলতান মুহাম্মদ খান দোস্ত মুহাম্মদ খানের ভাই ছিলেন। ক্ষমতায় উত্থান নাদির খান ভারতে বেড়ে উঠেছেন। তার দাদা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া খান যুক্তরাজ্য ও আবদুর রহমান খান কর্তৃক আফগানিস্তান ফিরে আসার অনুমতি পাওয়ার পর নাদির খান প্রথমবার আফগানিস্তান আসেন।[২] পরে তিনি আমানউল্লাহ খানের সময় জেনারেল হন। তিনি তৃতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের সময় আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যুদ্ধের পর নাদির খান যুদ্ধমন্ত্রী এবং ফ্রান্সে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হন। কিছু পশতু উপজাতীয় ব্যক্তি এবং হাবিবউল্লাহ কালাকানির তাজিক বাহিনীর বিদ্রোহের পর আমানউল্লাহ খানের সাথে মতবিরোধের ফলে নাদির খান নির্বাসিত হন। হাবিবউল্লাহ কালাকানি আমানউল্লাহ খানের রাজত্ব উৎখাত করার পর নাদির খান আফগানিস্তান ফিরে আসেন এবং তার বাহিনী নিয়ে আফগানিস্তানের অধিকাংশের নিয়ন্ত্রণ নেন। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর নাদির খান কাবুল অধিকার করেন[৩] কালাকানিকে গ্রেপ্তার করার পর ১ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। তার ঘনিষ্ঠ মহলের কয়েকজনেরও মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল। আফগানিস্তানের বাদশাহ আরও তথ্যের জন্য দেখুন: আফগানিস্তানের বাদশাহদের তালিকা নাদির শাহ শাসক হওয়ার পর আমানউল্লাহ খানের সংস্কারের অধিকাংশ বিলুপ্ত করেছিলেন। তিনি সেনাবাহিনীর পুনর্গঠনের কার্যক্রম চালু রাখেন। তবে এ সত্ত্বেও সেনাবাহিনী দুর্বল ছিল এবং গোত্রীয় ও ধর্মীয় নেতারা শক্ত অবস্থান লাভ করেছিলেন। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে পূর্বাঞ্চলের শিনওয়ারি গোত্র ও কাবুল ও কাবুলের উত্তরে তাজিকদের উত্থান ঘটে। একই বছরে সোভিয়েত ইউনিয়ন উজবেক নেতা ইবরাহিম বেকের সন্ধানে আফগানিস্তানের সীমানা অতিক্রম করে। ইবরাহিম বেক আফগানিস্তানে তার ঘাঁটি থেকে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আফগান সেনাবাহিনী ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিলে তাকে সোভিয়েতদের দিকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয় এবং ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের শেষ নাগাদ তাদের প্রতিরোধ শেষ হয়ে যায়। নাদির খান দশ সদস্যের একটি মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন। এর অধিকাংশ সদস্য তার পরিবার থেকে নেয়া হয়েছি। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বরে তিনি লয়া জিরগার অধিবেশন আহ্বান করেন। লয়া জিরগার ২৮৬ জন সদস্য তার ক্ষমতারোহণ মঞ্জুর করে। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি নতুন সংবিধান জারি করে। এতে সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের উল্লেখ থাকলেও এর মাধ্যমে রাজকীয় মুষ্টিমেয় ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ধর্মীয় নীতি বাস্তবায়নে সাংবিধানিক গুরুত্ব আরোপ করলেও নাদির খান আফগানিস্তানের আধুনিকায়নের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তবে এর তীব্রতা আমানউল্লাহ খানের চেয়ে কম ছিল। তিনি সড়কে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করেন। তার শাসনামলে আফগানিস্তানের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।[৪] আমানউল্লাহ খানের যাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন তাদের সাথে তিনি বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন করেন। বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তার মাধ্যমে তিনি ব্যাংকিং প্রথা ও দীর্ঘ মেয়াদি অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন করেন। সেনাবাহিনীর উন্নয়নে তার প্রচেষ্টা খুব বেশি সফল না হলেও ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে তার মৃত্যুর সময় আফগান সামরিক বাহিনীর সদস্য ৪০,০০০ এ পৌছায়। হত্যাকান্ড ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ৮ নভেম্বর নাদির খান একটি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনের যান। এখানে আবদুল খালিক তাকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন।[৫] তাকে তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।[৬] হাফিজউল্লাহ ইমাদির মতে, সরকার আবদুল খালিক, তার পরিবার ও বন্ধুদের গ্রেপ্তার করে এবং এই সুযোগে বাদশাহ নাদিরকে হত্যার অভিযোগে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও হত্যা করে। হয়তো কখনো সফল হয়েছে, আবার অনেকের কপালে জুটেছে ব্যর্থতার তিলক। তারপরও মানুষ থেমে থাকেনি। একসময় এই ভারতীয় উপমাহদেশের অবিভক্ত ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, পরগণা বিভিন্ন রাজা-মহারাজার অধীনে ছিল। ক্ষমতায় থাকার সুবাদে এবং নানা উপায়ে তারা বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছিলেন। তাদের এই বিশাল সম্পদ বিভিন্ন কারণে লুকিয়ে রাখা হতো তাদের তৈরি বিভিন্ন গোপন স্থানে। কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর অনেক সম্পদের হদিশ পরবর্তীতে পাওয়া যায়নি। ভারতবর্ষ যখন ইংরেজদের অধীনে চলে আসে, তারাও বেরিয়ে পড়েছিল সেসব গুপ্তধনের সন্ধানে। কখনো সরকারি তত্ত্বাবধানে, আবার কখনো ব্যক্তিগত উদ্যোগে চলে এসব অভিযান। এসব লুকায়িত সম্পদের কিছু কিছু উদ্ধার হলেও অনেক গুপ্তধনের হদিশ সেই সময়ে আর পাওয়া যায়নি। এমনকি ভারত স্বাধীন হওয়ার পরেও তা মরীচিকা হয়েই রয়ে যায়। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তেমনি কিছু খুঁজে না পাওয়া গুপ্তধনের সন্ধানে আজকের এই আয়োজন। সুলতান মহম্মদ কুলি কুতুব শাহের খাজানা ভারতীয় ইতিহাসের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে হায়দ্রাবাদ শহরের নাম। শহরের দর্শনীয় এক স্থাপত্য চারমিনার টানেল। শোনা যায়, ১৫৯৩ সালে মহম্মদ কুলি কুতুব শাহের তত্ত্বাবধানে মিনারটি নির্মিত হয়। পুরো স্থাপনা জুড়ে দেখা যায় পারস্য স্থাপত্যের ছোঁয়া। ৫৬ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট চারমিনারের উত্তর দিকে রয়েছে চার কামান বা খিলান। চারমিনারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো মিনারের নিচে নির্মিত এক সুড়ঙ্গ। হায়দ্রাবাদ শহরের দর্শনীয় এক স্থাপত্য চারমিনার টানেল; একসময় নাকি এই সুরঙ্গ দিয়ে গোলকুন্ডা দুর্গে যাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কোনোরকম বিপদ আসলে যাতে নিরাপদে পালিয়ে যাওয়া যায়, সেজন্যই এই টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে টানেলটি যে কারণে সবচেয়ে আলোচনার বিষয় হয়ে আছে তা হলো, টানেলে থাকা কোনো এক গোপন কক্ষে নাকি লুকিয়ে রাখা ছিল প্রচুর ধনসম্পদ, যার সন্ধান আজপর্যন্ত কেউ পায়নি। জয়পুরের রাজা, মান সিংহের লুন্ঠিত সম্পদ জয়পুরের রাজা মানসিংহ ছিলেন মোঘল সম্রাট আকবরের প্রধান সেনাপতি। সম্রাট আকবর ১৫৮০ সালে আফগানিস্তানে মোঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য মানসিংহকে দায়িত্ব দেন। মানসিংহ আফগানদের পরাজিত করে আফগানিস্তানকে মোঘল সাম্রাজ্যের অধিকারে নিয়ে আসেন। জয়পুরের রাজা মানসিংহের জয়গড় দুর্গ আফগানিস্তান দখল করে মানসিংহ আফগানদের কাছ থেকে এবং আফগান রাজকোষ থেকে প্রচুর ধনরত্ন নিজের অধিকারে নিয়ে নেন। সেই লুন্ঠন করা সম্পদের পুরোটাই মোঘল রাজকোষে জমা করা হয়নি বলে ধারণা করা হয়। এই লুট করা সম্পদের এক বিপুল অংশ তিনি তার জয়গড় দুর্গে লুকিয়ে রাখেন বলে অনেক গবেষকই অনুমান করেন। কিন্তু সেই লুকনো সম্পদের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সম্রাট নাদির শাহের লুট করা ধনসম্পত্তি পারস্য সম্রাট নাদির শাহ ৫০,০০০ সৈন্য নিয়ে ভারত আক্রমণ করেন। নাদির শাহ ভারতবর্ষ দখলের পর তার সেনাবাহিনী বিশ থেকে ত্রিশ হাজারের মতো নিরপরাধ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। লুট করে নেয় প্রচুর ধনসম্পত্তি। বলা হয়ে থাকে, এই লুটপাটের পরিমাণ এত বিশাল ছিল যে, নাদির শাহ ও তার সৈন্যরা যখন লুটের মালামাল নিয়ে ফিরছিলো তখন প্রায় ১৫০ মাইল দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। পারস্য সম্রাট নাদির শাহ কী ছিল না লুট করা মালামালের তালিকায়? জাহাঙ্গীরের ময়ূর সিংহাসন থেকে শুরু করে রাজকোষের সব সম্পদ। প্রচুর মণিমুক্তো সহ রাজকীয় সোনাদানা যার মূল্য সেই সময়ের হিসেবে ভারতীয় টাকায় কোটি টাকার সমান। তবে অদৃষ্টের পরিহাস, ১৭৪৭ সালে নাদির শাহ যখন নিজ দেশে ফিরছিলেন, যাত্রাপথে এক তাবুতে অবস্থাকালীন সময়ে তাকে হত্যা করা হয়। তাকে যে হত্যা করে, সেই হত্যাকারী আহমদ শাহ যাত্রাপথে অসুস্থ হয়ে মারা যান। অনেকেই মনে করেন, নাদির শাহের মৃত্যুর পূর্বে আহমদ শাহ সম্রাটের খাজানা কোথায় লুকানো আছে তার হদিশ পেয়েছিলেন। নাদির শাহের লুন্ঠিত ধন-সম্পদের অধিকাংশেরেই সন্ধান পাওয়া যায়নি কিন্তু পথে আহমদ শাহের মৃত্যু হওয়ায় সেই লুট করা সম্পদ কোথায় লুকানো আছে তা আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অনেকেই অনুমান করেন, হিন্দুকুশ পর্বতমালার কোনো এক সুরঙ্গে নাদির শাহের সেই খাজানা লুকানো আছে। তবে কিছু ধনরত্ন, যেমন ময়ূর সিংহাসন (যা বর্তমানে ইরানে রয়েছে) এবং কোহিনুর হিরে (যা ইংল্যান্ডের রানির মুকুটে শোভা পাচ্ছে) উদ্ধার করা সম্ভব হলেও লুন্ঠিত অনেক সম্পদের খোঁজ আজও মেলেনি। হায়দ্রাবাদের শেষ নিজাম মীর ওসমান আলীর গুপ্তধন অবিভক্ত ভারতের হায়দ্রাবাদ নামক বিশাল রাজ্যের শেষ নিজাম ছিলেন মীর ওসমান আলী। ২০০৮ সালের ফোর্বস ম্যাগাজিনের এক প্রচ্ছদে এই নিজামকে বিশ্বের সর্বকালের সেরা ধনীদের মধ্যে পঞ্চম স্থান দিয়েছে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২১০.৮ বিলিয়ন ডলার। টাইম ম্যাগাজিন তাকে ১৯৩৭ সালে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। হায়দ্রাবাদের শেষ নিজাম মীর ওসমান আলী ১৯১১ সালে মীর ওসমান আলী ক্ষমতার মসনদে আরোহন করেন। এ সময় রাজকোষ প্রায় শূন্য হতে চলেছিল। সাম্রাজ্যের পূর্বতন নিজাম মীর ওসমান আলীর পিতার উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের জন্য রাজকোষের এই করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়। মীর ওসমান আলী ক্ষমতা গ্রহণের পরেই রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ফিরতে থাকে। তার ৩৭ বছরের শাসনামলে রাজকোষ ফুলে ফেঁপে ওঠে। তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। কিন্ত মৃত্যুর পর তার বিশাল সম্পদের কিছু অংশই খুঁজে পাওয়া যায়। কোথি প্রাসাদেই নিজাম তার জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছিলেন অনুমান করা হয় যে, তার এই বিশাল সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে কোথি প্রাসাদে। নিজাম তার এই প্রাসাদে জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন। সেই কোথি প্রাসাদের কোনো এক গুপ্ত কুঠুরিতেই সেই লুকানো সম্পদ রয়েছে বলে অনেকের বিশ্বাস। তার সম্পদগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৭৩টি জমকালো রুবি, হীরা, প্রবাল, মুক্তো, নীলকান্তমণি দিয়ে তৈরি বিখ্যাত নিজাম জুয়েলারি, স্বর্ণ ও রুপা যুক্ত বিভিন্ন দামী পাথর। আজও অনেকেই খুঁজে বেড়াচ্ছেন নিজামের সেই লুকানো সম্পদ। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের খাজানা দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ইংরেজদের কাছে পরাজিত হন, তখন ইংরেজরা সম্রাটকে দিল্লি থেকে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরাজিত সম্রাট ইংরেজ সরকারকে অনুরোধ জানান, তাকে যেন দিল্লি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে রাজস্থানের আলওয়ার দুর্গে পাঠানো হয়। রাজস্থানের আলওয়ার দুর্গ ইংরেজ সরকার সম্রাটের অনুরোধের মান্যতা দিয়ে তাকে আলওয়ার দুর্গে নির্বাসনে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। কিংবদন্তী রয়েছে যে, সম্রাট এখানে থাকাকালীন সময়ে তার প্রচুর ধনরত্ন দুর্গের কোনো গোপন কুঠুরিতে লুকিয়ে রেখেছিলেন। পরবর্তীকালে সেই সম্পদের কিছু অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, এখনো খাজানার এক বৃহদাংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কৃষ্ণা নদীর নীচের হীরার খনি অন্ধ্রপ্রদেশ হীরার জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের বিখ্যাত দশটি হীরার সাতটি পাওয়া গিয়েছিল এখানেরই বিভিন্ন খনিতে। একসময় এই অঞ্চল ছিল গোলকুন্ডা শাহির অন্তর্ভুক্ত। কৃষ্ণা নদীর অববাহিকার কোনো এক স্থানে বিশ্বখ্যাত গোলকুন্ডার হীরক খনিগুলো ছিল।
0 votes
by
নাদের শাহর প্রতিকৃতি রাজত্বকাল ১৭৩৬–১৭৪৭ জন্ম ১৬৮৮[১] বা ১৬৯৮[২] জন্মস্থান দস্তগীর,[৩] (কুরাশান, ইরান) মৃত্যু ২০ জুন ১৭৪৭[৪] মৃত্যুস্থান কুচেন (কুরাশান, ইরান) পূর্বসূরি তৃতীয় আব্বাস উত্তরসূরি আদিল শাহ প্রারম্ভিক জীবন নাদের শাহ দস্তগীর দুর্গনগরে আফছারের কেরেক্লু গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার পিতা এমাম কুলি ছিলেন একজন গবাদিপশু পালক যিনি মাঝে মাঝে উষ্ট্রচালক ও কোটম্যাকার[১২] হিসেবেও কাজ করতেন। নাদের যখন ছোট তখন তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন।[১৩] কিংবদন্তী অনুসারে নাদের ও তার মাতা উজবেক বা তুর্কী দ্বারা দাস হিসেবে কাজ শুরু করেন কিন্তু নাদের পালাতে সক্ষম হন। তিনি এরপর একটি সৈন্যবাহিনীতে যোগদান করেন ও পরবর্তীকালে এর প্রধান হয়ে উঠেন। আফছার উপজাতীয় গোত্রের সর্দারের পৃষ্ঠপোষকতায় তার পদমর্যাদা বাড়তে শুরু করে ও তিনি ক্ষমতাশালী সামরিক ব্যক্তিত্ত্বে পরিনত হন। নাদের স্থানীয় গোত্রপ্রধান বাবা আলী বেগের দুই কন্যাকে বিয়ে করেন। পটভূমি নাদির খান ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের দেরাদুনে জন্মগ্রহণ করেছেন। মুহাম্মদ ইউসুফ খান ছিলেন তার পিতা। তার মা শারাফ সুলতানা পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত ছিলেন। তার দাদা ছিলেন ইয়াহিয়া খান ও প্রপিতামহ ছিলেন সুলতান মুহাম্মদ খান তেলাই। সুলতান মুহাম্মদ খান দোস্ত মুহাম্মদ খানের ভাই ছিলেন। ক্ষমতায় উত্থান নাদির খান ভারতে বেড়ে উঠেছেন। তার দাদা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া খান যুক্তরাজ্য ও আবদুর রহমান খান কর্তৃক আফগানিস্তান ফিরে আসার অনুমতি পাওয়ার পর নাদির খান প্রথমবার আফগানিস্তান আসেন।[২] পরে তিনি আমানউল্লাহ খানের সময় জেনারেল হন। তিনি তৃতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের সময় আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যুদ্ধের পর নাদির খান যুদ্ধমন্ত্রী এবং ফ্রান্সে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হন। কিছু পশতু উপজাতীয় ব্যক্তি এবং হাবিবউল্লাহ কালাকানির তাজিক বাহিনীর বিদ্রোহের পর আমানউল্লাহ খানের সাথে মতবিরোধের ফলে নাদির খান নির্বাসিত হন। হাবিবউল্লাহ কালাকানি আমানউল্লাহ খানের রাজত্ব উৎখাত করার পর নাদির খান আফগানিস্তান ফিরে আসেন এবং তার বাহিনী নিয়ে আফগানিস্তানের অধিকাংশের নিয়ন্ত্রণ নেন। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর নাদির খান কাবুল অধিকার করেন[৩] কালাকানিকে গ্রেপ্তার করার পর ১ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। তার ঘনিষ্ঠ মহলের কয়েকজনেরও মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল। আফগানিস্তানের বাদশাহ আরও তথ্যের জন্য দেখুন: আফগানিস্তানের বাদশাহদের তালিকা নাদির শাহ শাসক হওয়ার পর আমানউল্লাহ খানের সংস্কারের অধিকাংশ বিলুপ্ত করেছিলেন। তিনি সেনাবাহিনীর পুনর্গঠনের কার্যক্রম চালু রাখেন। তবে এ সত্ত্বেও সেনাবাহিনী দুর্বল ছিল এবং গোত্রীয় ও ধর্মীয় নেতারা শক্ত অবস্থান লাভ করেছিলেন। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে পূর্বাঞ্চলের শিনওয়ারি গোত্র ও কাবুল ও কাবুলের উত্তরে তাজিকদের উত্থান ঘটে। একই বছরে সোভিয়েত ইউনিয়ন উজবেক নেতা ইবরাহিম বেকের সন্ধানে আফগানিস্তানের সীমানা অতিক্রম করে। ইবরাহিম বেক আফগানিস্তানে তার ঘাঁটি থেকে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আফগান সেনাবাহিনী ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিলে তাকে সোভিয়েতদের দিকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয় এবং ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের শেষ নাগাদ তাদের প্রতিরোধ শেষ হয়ে যায়। নাদির খান দশ সদস্যের একটি মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন। এর অধিকাংশ সদস্য তার পরিবার থেকে নেয়া হয়েছি। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বরে তিনি লয়া জিরগার অধিবেশন আহ্বান করেন। লয়া জিরগার ২৮৬ জন সদস্য তার ক্ষমতারোহণ মঞ্জুর করে। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি নতুন সংবিধান জারি করে। এতে সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের উল্লেখ থাকলেও এর মাধ্যমে রাজকীয় মুষ্টিমেয় ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ধর্মীয় নীতি বাস্তবায়নে সাংবিধানিক গুরুত্ব আরোপ করলেও নাদির খান আফগানিস্তানের আধুনিকায়নের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তবে এর তীব্রতা আমানউল্লাহ খানের চেয়ে কম ছিল। তিনি সড়কে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করেন। তার শাসনামলে আফগানিস্তানের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।[৪] আমানউল্লাহ খানের যাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন তাদের সাথে তিনি বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন করেন। বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তার মাধ্যমে তিনি ব্যাংকিং প্রথা ও দীর্ঘ মেয়াদি অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন করেন। সেনাবাহিনীর উন্নয়নে তার প্রচেষ্টা খুব বেশি সফল না হলেও ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে তার মৃত্যুর সময় আফগান সামরিক বাহিনীর সদস্য ৪০,০০০ এ পৌছায়। হত্যাকান্ড ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ৮ নভেম্বর নাদির খান একটি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনের যান। এখানে আবদুল খালিক তাকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন।[৫] তাকে তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।[৬] হাফিজউল্লাহ ইমাদির মতে, সরকার আবদুল খালিক, তার পরিবার ও বন্ধুদের গ্রেপ্তার করে এবং এই সুযোগে বাদশাহ নাদিরকে হত্যার অভিযোগে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও হত্যা করে। হয়তো কখনো সফল হয়েছে, আবার অনেকের কপালে জুটেছে ব্যর্থতার তিলক। তারপরও মানুষ থেমে থাকেনি। একসময় এই ভারতীয় উপমাহদেশের অবিভক্ত ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, পরগণা বিভিন্ন রাজা-মহারাজার অধীনে ছিল। ক্ষমতায় থাকার সুবাদে এবং নানা উপায়ে তারা বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছিলেন। তাদের এই বিশাল সম্পদ বিভিন্ন কারণে লুকিয়ে রাখা হতো তাদের তৈরি বিভিন্ন গোপন স্থানে। কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর অনেক সম্পদের হদিশ পরবর্তীতে পাওয়া যায়নি। ভারতবর্ষ যখন ইংরেজদের অধীনে চলে আসে, তারাও বেরিয়ে পড়েছিল সেসব গুপ্তধনের সন্ধানে। কখনো সরকারি তত্ত্বাবধানে, আবার কখনো ব্যক্তিগত উদ্যোগে চলে এসব অভিযান। এসব লুকায়িত সম্পদের কিছু কিছু উদ্ধার হলেও অনেক গুপ্তধনের হদিশ সেই সময়ে আর পাওয়া যায়নি। এমনকি ভারত স্বাধীন হওয়ার পরেও তা মরীচিকা হয়েই রয়ে যায়। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তেমনি কিছু খুঁজে না পাওয়া গুপ্তধনের সন্ধানে আজকের এই আয়োজন। সুলতান মহম্মদ কুলি কুতুব শাহের খাজানা ভারতীয় ইতিহাসের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে হায়দ্রাবাদ শহরের নাম। শহরের দর্শনীয় এক স্থাপত্য চারমিনার টানেল। শোনা যায়, ১৫৯৩ সালে মহম্মদ কুলি কুতুব শাহের তত্ত্বাবধানে মিনারটি নির্মিত হয়। পুরো স্থাপনা জুড়ে দেখা যায় পারস্য স্থাপত্যের ছোঁয়া। ৫৬ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট চারমিনারের উত্তর দিকে রয়েছে চার কামান বা খিলান। চারমিনারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো মিনারের নিচে নির্মিত এক সুড়ঙ্গ। হায়দ্রাবাদ শহরের দর্শনীয় এক স্থাপত্য চারমিনার টানেল; একসময় নাকি এই সুরঙ্গ দিয়ে গোলকুন্ডা দুর্গে যাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কোনোরকম বিপদ আসলে যাতে নিরাপদে পালিয়ে যাওয়া যায়, সেজন্যই এই টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে টানেলটি যে কারণে সবচেয়ে আলোচনার বিষয় হয়ে আছে তা হলো, টানেলে থাকা কোনো এক গোপন কক্ষে নাকি লুকিয়ে রাখা ছিল প্রচুর ধনসম্পদ, যার সন্ধান আজপর্যন্ত কেউ পায়নি। জয়পুরের রাজা, মান সিংহের লুন্ঠিত সম্পদ জয়পুরের রাজা মানসিংহ ছিলেন মোঘল সম্রাট আকবরের প্রধান সেনাপতি। সম্রাট আকবর ১৫৮০ সালে আফগানিস্তানে মোঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য মানসিংহকে দায়িত্ব দেন। মানসিংহ আফগানদের পরাজিত করে আফগানিস্তানকে মোঘল সাম্রাজ্যের অধিকারে নিয়ে আসেন। জয়পুরের রাজা মানসিংহের জয়গড় দুর্গ আফগানিস্তান দখল করে মানসিংহ আফগানদের কাছ থেকে এবং আফগান রাজকোষ থেকে প্রচুর ধনরত্ন নিজের অধিকারে নিয়ে নেন। সেই লুন্ঠন করা সম্পদের পুরোটাই মোঘল রাজকোষে জমা করা হয়নি বলে ধারণা করা হয়। এই লুট করা সম্পদের এক বিপুল অংশ তিনি তার জয়গড় দুর্গে লুকিয়ে রাখেন বলে অনেক গবেষকই অনুমান করেন। কিন্তু সেই লুকনো সম্পদের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সম্রাট নাদির শাহের লুট করা ধনসম্পত্তি পারস্য সম্রাট নাদির শাহ ৫০,০০০ সৈন্য নিয়ে ভারত আক্রমণ করেন। নাদির শাহ ভারতবর্ষ দখলের পর তার সেনাবাহিনী বিশ থেকে ত্রিশ হাজারের মতো নিরপরাধ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। লুট করে নেয় প্রচুর ধনসম্পত্তি। বলা হয়ে থাকে, এই লুটপাটের পরিমাণ এত বিশাল ছিল যে, নাদির শাহ ও তার সৈন্যরা যখন লুটের মালামাল নিয়ে ফিরছিলো তখন প্রায় ১৫০ মাইল দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। পারস্য সম্রাট নাদির শাহ কী ছিল না লুট করা মালামালের তালিকায়? জাহাঙ্গীরের ময়ূর সিংহাসন থেকে শুরু করে রাজকোষের সব সম্পদ। প্রচুর মণিমুক্তো সহ রাজকীয় সোনাদানা যার মূল্য সেই সময়ের হিসেবে ভারতীয় টাকায় কোটি টাকার সমান। তবে অদৃষ্টের পরিহাস, ১৭৪৭ সালে নাদির শাহ যখন নিজ দেশে ফিরছিলেন, যাত্রাপথে এক তাবুতে অবস্থাকালীন সময়ে তাকে হত্যা করা হয়। তাকে যে হত্যা করে, সেই হত্যাকারী আহমদ শাহ যাত্রাপথে অসুস্থ হয়ে মারা যান। অনেকেই মনে করেন, নাদির শাহের মৃত্যুর পূর্বে আহমদ শাহ সম্রাটের খাজানা কোথায় লুকানো আছে তার হদিশ পেয়েছিলেন। নাদির শাহের লুন্ঠিত ধন-সম্পদের অধিকাংশেরেই সন্ধান পাওয়া যায়নি কিন্তু পথে আহমদ শাহের মৃত্যু হওয়ায় সেই লুট করা সম্পদ কোথায় লুকানো আছে তা আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অনেকেই অনুমান করেন, হিন্দুকুশ পর্বতমালার কোনো এক সুরঙ্গে নাদির শাহের সেই খাজানা লুকানো আছে। তবে কিছু ধনরত্ন, যেমন ময়ূর সিংহাসন (যা বর্তমানে ইরানে রয়েছে) এবং কোহিনুর হিরে (যা ইংল্যান্ডের রানির মুকুটে শোভা পাচ্ছে) উদ্ধার করা সম্ভব হলেও লুন্ঠিত অনেক সম্পদের খোঁজ আজও মেলেনি। হায়দ্রাবাদের শেষ নিজাম মীর ওসমান আলীর গুপ্তধন অবিভক্ত ভারতের হায়দ্রাবাদ নামক বিশাল রাজ্যের শেষ নিজাম ছিলেন মীর ওসমান আলী। ২০০৮ সালের ফোর্বস ম্যাগাজিনের এক প্রচ্ছদে এই নিজামকে বিশ্বের সর্বকালের সেরা ধনীদের মধ্যে পঞ্চম স্থান দিয়েছে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২১০.৮ বিলিয়ন ডলার। টাইম ম্যাগাজিন তাকে ১৯৩৭ সালে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। হায়দ্রাবাদের শেষ নিজাম মীর ওসমান আলী ১৯১১ সালে মীর ওসমান আলী ক্ষমতার মসনদে আরোহন করেন। এ সময় রাজকোষ প্রায় শূন্য হতে চলেছিল। সাম্রাজ্যের পূর্বতন নিজাম মীর ওসমান আলীর পিতার উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের জন্য রাজকোষের এই করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়। মীর ওসমান আলী ক্ষমতা গ্রহণের পরেই রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ফিরতে থাকে। তার ৩৭ বছরের শাসনামলে রাজকোষ।

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...