in ইতিহাস ও নিদর্শন by
কুৎবউদ্দীন আইবক সম্পর্কে লিখ?

2 Answers

0 votes
by
 
Best answer
সুলতান রাজত্বকাল ২৫ জুন ১২০৬ – ১২১০ জন্মস্থান তুর্কিস্তান মৃত্যু ১২১০ মৃত্যুস্থান দিল্লী সালতানাত সমাধিস্থল আনারকলি বাজার, লাহোর পূর্বসূরি মুহাম্মাদ ঘুরি উত্তরসূরি আরাম শাহ ধর্মবিশ্বাস ইসলাম কুতুবউদ্দীন আইবক বা কুৎবউদ্দীন আইবক (ফার্সি/উর্দু: قطب الدین ایبک) মধ্যযুগীয় ভারতের একজন তুর্কী শাসক ছিলেন, যিনি দিল্লির প্রথম সুলতান এবং দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সুলতান হিসেবে ১২০৬ থেকে ১২১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মাত্র চার বছর শাসন করেন। দানশীলতার জন্য তাকে ‘লাখবখশ’ বলা হত। ১২১০ সালে পোলো খেলার সময় ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। প্রাথমিক জীবন কুতুবুদ্দিন মধ্য এশিয়ার কোনো এক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন; তার পূর্ব পুরুষেরা ছিলেন তুর্কি[১] শিশুকালেই তাকে দাস (গোলাম) হিসেবে বিক্রি করা হয়।[২] তাকে ইরানের খোরাসান অঞ্চলের[৩] নিসাপুরের প্রধান কাজী সাহেব কিনে নেন। কাজী তাকে তার নিজের সন্তানের মত ভালবাসতেন এবং আইবেককে তিনি ভাল শিক্ষা দিয়েছিলেন, তিনি আইবেককে ফার্সি এবং আরবি ভাষায় দক্ষ করে তোলেন।[৪] তিনি আইবেককে তীর এবং অশ্বচালনায়ও প্রশিক্ষণ দেন। আইবেকের প্রভুর মৃত্যুর পরে প্রভুর ছেলে আইবেককে আবারও এক দাস বণিকের কাছে বিক্রি করে দেন। কুতুবুদ্দিনকে এবার কিনে নেন গজনির গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ ঘুরি। তিনি মুহাম্মদ ঘুরির কাছে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রিয় পাত্র হয়ে উঠে এবং মুহাম্মদ ঘুরি তাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দেন। এবং মুহাম্মদ ঘুরির সহচর হিসেবে নিযুক্ত হন।[৫] তার হাতের একটি আঙ্গুল কাটা ছিল ভাগ্যদোষে তিনি দাসে পরিণত হন।[৫] কুতুবউদ্দিন আইবেক মোহাম্মদ ঘুরির প্রধান সেনাপতি তাজ উদ্দিন ইলদুচে কন্যাকে বিবাহ করেন।[৬] কুতুবুদ্দিনের ভগিনীকে নাসিরুদ্দিন কোবাঁচার সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হয়। আইবেকের কন্যা এর সঙ্গে তুর্কি দাস সেনাপতি ইলতুৎমিশের বিবাহ হয়।[৫] দাস থেকে দিল্লীর বাদশাহ উপমহাদেশে সর্বপ্রথম মুসলিম বাদশাহ যিনি হয়েছিলেন তিনি সুলতান শিহাবুদ্দীন মোহাম্মদ ঘোরীর আযাদকৃত গোলাম কুতুবউদ্দিন আইবেক। নিশাপুরের কাজী ফখরুদ্দীন অতি সামান্য মূল্যে একটি ছোট্ট গোলাম বাজার থেকে ক্রয় করেন। এ-ই কমদামী গোলামই যে একদিন উপমহাদেশের বাদশাহ হবে তা ক্রেতা বিক্রেতা কেউ-ই জানত না। এ গোলামটি কিছুদিন নিশাপুরের মাদ্রাসায় লেখা পড়া করে। কাজী ফখরুদ্দীনের ইন্তেকালের পর তার ওয়ারিসগণ উত্তরাধিকার সূত্রে তাকে লাভ করে। কৃষ্ণবর্ণ হওয়ার কারণে অপছন্দ করে তাকে বাজারে বিক্রয় করে দেওয়া হয়। ক্রয় করেন সুলতান শিহাবুদ্দীন ঘোরী। গোলাম কুতুবউদ্দিন আইবেক সুলতানের বিশেষ ভৃত্য হিসেবে কাজ শুরু করে। তার যোগ্যতা ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে সুলতান তাকে অনেক হীরা জহরত দান করেন। কুতুবউদ্দিন আইবেক সব হীরা জহরত শাহী খাদেমদের মাঝে বিতরণ করে দেন। তার এই দানশীলতার সংবাদে খুশী হয়ে সুলতান তাকে আমীরদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন।এবং সুলতানের রাজসিংহাসনের পাশে দন্ডায়মান হবার মর্যাদা প্রদান করেন। এক যুদ্ধে কুতুবউদ্দিন আইবেক যে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে তার ফলশ্রুতি স্বরূপ সুলতান তাকে সিপাহসালার নিযুক্ত করেন। সুলতান শিহাবুদ্দীন ঘোরী যখন উপমহাদেশে আক্রমণের ইচ্ছা করেন,তখন কুতুবউদ্দিন আইবেককে প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করেন। এমনভাবে একেরপর এক সাফল্য অর্জন করে একপর্যায়ে কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লির বাদশাহ হন। তার শাসনামলে কোষাগারে কোনো প্রহরী থাকত না। একই ঘাটে মেষ ও নেকড়ে বাঘ পানি পান করতো। চুরিডাকাতি সম্পর্কে তখনকার মানুষ ছিল অজানা। তিনি ছিলেন ইসলামের একনিষ্ঠ খাদেম। এক কথায় বলা যায়, তার শাসনামল ছিল শান্তিময়। পবিত্র হাদীস শরিফে রয়েছে যে,আল্লাহতায়ালা তোমাদের ছবি বা ধনসম্পদের দিকে দৃষ্টিপাত করেননা, তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে দৃষ্টিপাত করেন। অন্তরের নিয়ত যদি সঠিক হয়,তাতে যদি এখলাস থাকে, আর আমল যদি নেক হয়, সাথে যদি ব্যক্তিত্ব ও যোগ্যতার বিকাশ থাকে তাহলে এমন ব্যক্তির উন্নতি অগ্রগতি অবশ্যম্ভাবী। ঘুরি সুলতানের অধীনে চাহামাদের বিরুদ্ধে অভিযান আইবেক ঘুরি সেনাবাহিনীর অন্যতম সেনাপতি ছিলেন, যিনি চাহামান শাসক তৃতীয় পৃথ্বীরাজ বাহিনীর দ্বারা ভারতের তরাইনের প্রথম যুদ্ধ পরাজিত হয়েছিলেন। তারাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে ঘুরি সেনারা বিজয় লাভ করে এবং এই যুদ্ধে ঘুরি সৈন্যদের নেতৃত্বে ছিলেন আইবেক। তারাইনে তাঁর বিজয়ের পরে মুইজ আদ-দীন পূর্বের চাহামানা অঞ্চল আইবাকের কাছে অর্পণ করেন, যাকে কুহরম (বর্তমান ভারতের পাঞ্জাবের ঘুরম) এ স্থাপন করা হয়।পৃথ্বীরাজের মৃত্যুর পরে তাঁর পুত্র চতুর্থ গোবিন্দরাজকে আইবেক ঘুরি সামান্ত রাজা নিযুক্ত করেন। এর কিছুকাল পরে, পৃথ্বীরাজার ভাই হরিরাজা রণথম্বোর দুর্গ আক্রমণ করে, যা আইবেক তাঁর অধস্তন কাওয়ামুল মুলকের অধীনে রেখেছিলেন।আইবেক রান্থম্বরে আক্রমণের মাধ্যমে হরিরাজকে রথ্থম্বোর তথা পূর্বের চাহমন রাজধানী আজমির থেকে বিতাড়িত করেন।[৭] দোয়াবে প্রাথমিক বিজয় জাতওয়ানকে পরাজিত করার পরে আইবেক কুহরাম ফিরে আসেন এবং গঙ্গা-যমুনা দোয়াব আক্রমণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।[৮]১১৯২ সালে তিনি মেরান, বরণ (আধুনিক বুলন্দশহর) -এর নিয়ন্ত্রণ নেন, সেখান থেকে পরবর্তী সময়ে গহাদাবাল রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন।১১৯২ সালে তিনি দিল্লিরও নিয়ন্ত্রণ নেন এবং যেখানে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় তোমারা শাসককে রেখে যান। পরবর্তীতে ১১৯৩ সালে তোমারা শাসককে রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য পদচ্যুত করেন এবং দিল্লির সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নেন। গহাদাবলাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ গহাদাবল রাজত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ১১৯৪ সালে সুলতান মুইজ আদ-দীন ভারতে আসেন।[৯][৩]আইবাক ইজদ্দীন হোসেন ইবনে খারমিলকে সাথে নিয়ে চান্দাওয়ার যুদ্ধে তাঁর সেনাবাহিনীর ভ্যানগার্ডকে নেতৃত্ব দেন, যার ফলশ্রুতিতে গহাদাবালা রাজা জয়চন্দ্রের পরাজয় ঘটে।যদিও ঘুরিরা গহাদাবাল রাজ্যের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করতে পারেনি তবে এই বিজয় তাকে এই অঞ্চলের অনেক জায়গায় সামরিক ঘাটি স্থাপনের সুযোগ করে দেয়।[১] অন্যান্য সামরিক অভিযানসমূহ চান্দাওয়ারে বিজয়ের পরে আইবেক কোয়েলে তাঁর অবস্থান সুদৃঢ় করার দিকে মনোনিবেশ করেন।[১০] ১১৯৫-৯৬ সালের দিকে বায়ানার ভাটি শাসক কুমারপালাকে পরাজিত করার সময় গজনি থেকে ভারতে ফিরে আসেন মুয়িজ আদ-দ্বীন। এরপরে তিনি গোয়ালিয়রের দিকে রওনা হন, সেখানে স্থানীয় পরিহর শাসক সল্লাখানা পাল তাঁর অধিনস্থতা স্বীকার করে নেয়। এদিকে, আজমিরের নিকটে বসবাসরত মের আদিবাসীরা ঘুরিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।দক্ষিণে গুজরাত শাসনকারী চৌলুক্য সমর্থিত মেসাররা এই অঞ্চলে আইবেকের নিয়ন্ত্রণের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ আবির্ভূত হয়।[১১] আইবেক তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে আজমিরে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়। পরবর্তীতে ঘুরি রাজধানী গজনী থেকে আজমির স্তানান্তর করা হলে মেসাররা পিছু হটতে বাধ্য হয়। ১১৯৭ সালে আইবেক আবু উপত্যকায় চৌলুক্যা সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে,এভাবে প্রায় দুদশক আগে কাশাহাড়ার যুদ্ধে মুআইজ-আদ-দ্বীনের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া হয়। এরপর আইবেকের সেনাবাহিনী চৌলুক্যের রাজধানী আনহিলওয়ারার দিকে যাত্রা করে। তাদের আগমনে রাজা দ্বিতীয় ভীম শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। মিনহাজ আনহিলওয়ারে আইবেকের এই অভিযানকে গুজরাট বিজয় হিসাবে চিহ্নিত করেছেন,তবে এর ফলে গুজরাট ঘুরি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়নি।[১২] ষোড়শ শতাব্দীর ইতিহাসবিদ ফিরিস্তার ভাষ্য মতে,আইবেক এই অঞ্চলে ঘুরি শক্তি সুসংহত রাখার জন্য একজন মুসলিম অফিসার নিয়োগ করেন, অপরদিকে ইবনে-ই আসির বর্ণনা করেছেন যে আইবাক নতুন দখলকৃত অঞ্চলটিকে হিন্দু সামান্ত রাজার অধীনে রেখেছিলেন।[১১]যাই হোক না কেন, এই অঞ্চলের ঘুরি নিয়ন্ত্রণ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি, কিছু দিনের মধ্যে চৌলুকিয়রা তাদের রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়। ১১৯৭-৯৮ সালে, আইবেক বর্তমান উত্তর প্রদেশের বাডউন জয় করে এবং ঘুরি নিয়ন্ত্রণের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া পূর্ববর্তী গহাদাবালার রাজধানী বারাণসিরও পুনরায় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে।১১৯৮-৯৯ সালে তিনি চান্দ্রবাল(সম্ভবত চান্দাবার)এবং কন্নৌজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেন।পরে তিনি সিরোহক(সম্ভবত রাজস্থানের আধুনিক সিরোহি) দখল করেন।পারসিয়ান কাহিনীকার ফখর-ই মুদব্বির এর মতে, আইবেক ১১৯৯-১২০০ সালে বর্তমান মধ্য প্রদেশে মালওয়াও জয় করেছিলেন,তবে অন্য কোন ঐতিহাসিকের বর্ণনাতে এ জাতীয় বিজয়ের কথার উল্লেখ পাওয়া যায় না, সুতরাং বলা যায় সম্ভবত আইবেক কেবল মালওয়া আক্রমণ করেছিল।১২০২ সালে, আইবেক মধ্য ভারতের চণ্ডেলা রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্গ কালিঞ্জর অবরোধ করেন।চণ্ডেলা শাসক পরমর্দী আইবেকের সাথে আলোচনা শুরু করেছিলেন, তবে চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগেই মৃত্যুবরণ করেন।[১১]এর কিছুদিনপর চণ্ডেলার মুখ্যমন্ত্রী অজয়দেব বিদ্রোহ করে বসে, কিন্তু ঘুরিরা দুর্গে জল সরবরাহ বন্ধ করে দিলে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়।এরই অংশ হিসাবে চান্ডেলরা আজাইগড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।কালীঞ্জরের তাদের পূর্বকেন্দ্র, মহোবা এবং খাজুরাহোর দুর্গগুলি হাসান আরনালের নেতৃতে[১৩] ঘুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।অপরদিকে, ঘুরি সেনাপতি বখতিয়ার খিলজি পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং বিহার অঞ্চলে ক্ষুদ্র গাদ্দাওয়ালার প্রধানদের পরাজিত করে ঘুরি সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ ঘটান।১২০৪ সালে, মুয়িজ আদ-দ্বীন আন্ডখুদে খোয়ারাজমিয়ানদের বিরুদ্ধে পরাজয়ের মুখোমুখি হয়। আইবেক তাকে লাহোর অঞ্চলের খোকর প্রধানদের দ্বারা বিদ্রোহ দমন করতে সহায়তা করেন।১২০৬ সালের ১৫ই মার্চ মুইজ আদ-দ্বীনকে হত্যা করা হয়, বিভিন্ন উৎস তাঁর হত্যাকারী হিসেবে খোকারস বা ইসমাইলি সম্প্রদায়কে অভিযুক্ত করে।[১৪] পূর্ব ভারতে সুলতান মুইজ আদ-দ্বিনের রাজত্বকালে, পূর্ব ভারতের বিহার এবং বাংলা অঞ্চলের কিছু অংশ ঘুরি সেনাপতি বখতিয়ার খিলজির শাসনাধীন ছিল। ১২০৬ সালে দেবকোটে বখতিয়ার খিলজি তাঁর অধস্তন আলী মর্দান খিলজির হাতে হত্যার শিকার হন, একই সময় সুলতান মু’আইজ আদ-দ্বীনকেও হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে বখতিয়ারের আরেক অধস্তন মুহাম্মদ শিরান খিলজি, আলী মর্দানকে আটক করেন এবং পূর্ব ভারতের খলজীদের নেতা বনে যান। এদিকে আলী মর্দান পালিয়ে দিল্লি চলে যায়, সেখানে পৌঁছে আইবেককে খিলজি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে রাজি করায়। খিলজিদের উপর মু‘আইজ-আদ-দ্বিনের প্রভাব না থাকায়, আইবেকের পক্ষে এ ব্যাপারে করনীয় কিছুই ছিল না। তা সত্ত্বেও, তিনি তাঁর অধস্তন আওয়াদ এর গভর্নর কায়মাজ রুমিকে তৎকালীন বাংলার লাখনাউতে পাঠান এবং খিলজি আমিরদের থেকে উপযুক্ত ইকতা আদায়ের নির্দেশ প্রদান করেন। কাইমাজ রুমী বখতিয়ারের আরেক অধস্তন হুসামুদ্দিন ইওয়াজ খিলজির নিকট দেবকোটের ইকতার দায়িত্ব অর্পণ করেন। মুহাম্মদ শিরান এবং অন্যান্য খিলজি আমিরগণ এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত হতে পারেনননি এবং দেবকোট আক্রমণ করেন। রুমি তাদের প্রতিহত করেন।পরবর্তীতে অপর এক সংঘর্ষে মুহাম্মদ শিরান মৃত্যুবরন করেন।[১৬]
0 votes
by
সুলতান রাজত্বকাল ২৫ জুন ১২০৬ – ১২১০ জন্মস্থান তুর্কিস্তান মৃত্যু ১২১০ মৃত্যুস্থান দিল্লী সালতানাত সমাধিস্থল আনারকলি বাজার, লাহোর পূর্বসূরি মুহাম্মাদ ঘুরি উত্তরসূরি আরাম শাহ ধর্মবিশ্বাস ইসলাম কুতুবউদ্দীন আইবক বা কুৎবউদ্দীন আইবক (ফার্সি/উর্দু: قطب الدین ایبک) মধ্যযুগীয় ভারতের একজন তুর্কী শাসক ছিলেন, যিনি দিল্লির প্রথম সুলতান এবং দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সুলতান হিসেবে ১২০৬ থেকে ১২১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মাত্র চার বছর শাসন করেন। দানশীলতার জন্য তাকে ‘লাখবখশ’ বলা হত। ১২১০ সালে পোলো খেলার সময় ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। প্রাথমিক জীবন কুতুবুদ্দিন মধ্য এশিয়ার কোনো এক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন; তার পূর্ব পুরুষেরা ছিলেন তুর্কি[১] শিশুকালেই তাকে দাস (গোলাম) হিসেবে বিক্রি করা হয়।[২] তাকে ইরানের খোরাসান অঞ্চলের[৩] নিসাপুরের প্রধান কাজী সাহেব কিনে নেন। কাজী তাকে তার নিজের সন্তানের মত ভালবাসতেন এবং আইবেককে তিনি ভাল শিক্ষা দিয়েছিলেন, তিনি আইবেককে ফার্সি এবং আরবি ভাষায় দক্ষ করে তোলেন।[৪] তিনি আইবেককে তীর এবং অশ্বচালনায়ও প্রশিক্ষণ দেন। আইবেকের প্রভুর মৃত্যুর পরে প্রভুর ছেলে আইবেককে আবারও এক দাস বণিকের কাছে বিক্রি করে দেন। কুতুবুদ্দিনকে এবার কিনে নেন গজনির গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ ঘুরি। তিনি মুহাম্মদ ঘুরির কাছে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রিয় পাত্র হয়ে উঠে এবং মুহাম্মদ ঘুরি তাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দেন। এবং মুহাম্মদ ঘুরির সহচর হিসেবে নিযুক্ত হন।[৫] তার হাতের একটি আঙ্গুল কাটা ছিল ভাগ্যদোষে তিনি দাসে পরিণত হন।[৫] কুতুবউদ্দিন আইবেক মোহাম্মদ ঘুরির প্রধান সেনাপতি তাজ উদ্দিন ইলদুচে কন্যাকে বিবাহ করেন।[৬] কুতুবুদ্দিনের ভগিনীকে নাসিরুদ্দিন কোবাঁচার সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হয়। আইবেকের কন্যা এর সঙ্গে তুর্কি দাস সেনাপতি ইলতুৎমিশের বিবাহ হয়।[৫] দাস থেকে দিল্লীর বাদশাহ উপমহাদেশে সর্বপ্রথম মুসলিম বাদশাহ যিনি হয়েছিলেন তিনি সুলতান শিহাবুদ্দীন মোহাম্মদ ঘোরীর আযাদকৃত গোলাম কুতুবউদ্দিন আইবেক। নিশাপুরের কাজী ফখরুদ্দীন অতি সামান্য মূল্যে একটি ছোট্ট গোলাম বাজার থেকে ক্রয় করেন। এ-ই কমদামী গোলামই যে একদিন উপমহাদেশের বাদশাহ হবে তা ক্রেতা বিক্রেতা কেউ-ই জানত না। এ গোলামটি কিছুদিন নিশাপুরের মাদ্রাসায় লেখা পড়া করে। কাজী ফখরুদ্দীনের ইন্তেকালের পর তার ওয়ারিসগণ উত্তরাধিকার সূত্রে তাকে লাভ করে। কৃষ্ণবর্ণ হওয়ার কারণে অপছন্দ করে তাকে বাজারে বিক্রয় করে দেওয়া হয়। ক্রয় করেন সুলতান শিহাবুদ্দীন ঘোরী। গোলাম কুতুবউদ্দিন আইবেক সুলতানের বিশেষ ভৃত্য হিসেবে কাজ শুরু করে। তার যোগ্যতা ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে সুলতান তাকে অনেক হীরা জহরত দান করেন। কুতুবউদ্দিন আইবেক সব হীরা জহরত শাহী খাদেমদের মাঝে বিতরণ করে দেন। তার এই দানশীলতার সংবাদে খুশী হয়ে সুলতান তাকে আমীরদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন।এবং সুলতানের রাজসিংহাসনের পাশে দন্ডায়মান হবার মর্যাদা প্রদান করেন। এক যুদ্ধে কুতুবউদ্দিন আইবেক যে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে তার ফলশ্রুতি স্বরূপ সুলতান তাকে সিপাহসালার নিযুক্ত করেন। সুলতান শিহাবুদ্দীন ঘোরী যখন উপমহাদেশে আক্রমণের ইচ্ছা করেন,তখন কুতুবউদ্দিন আইবেককে প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করেন। এমনভাবে একেরপর এক সাফল্য অর্জন করে একপর্যায়ে কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লির বাদশাহ হন। তার শাসনামলে কোষাগারে কোনো প্রহরী থাকত না। একই ঘাটে মেষ ও নেকড়ে বাঘ পানি পান করতো। চুরিডাকাতি সম্পর্কে তখনকার মানুষ ছিল অজানা। তিনি ছিলেন ইসলামের একনিষ্ঠ খাদেম। এক কথায় বলা যায়, তার শাসনামল ছিল শান্তিময়। পবিত্র হাদীস শরিফে রয়েছে যে,আল্লাহতায়ালা তোমাদের ছবি বা ধনসম্পদের দিকে দৃষ্টিপাত করেননা, তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে দৃষ্টিপাত করেন। অন্তরের নিয়ত যদি সঠিক হয়,তাতে যদি এখলাস থাকে, আর আমল যদি নেক হয়, সাথে যদি ব্যক্তিত্ব ও যোগ্যতার বিকাশ থাকে তাহলে এমন ব্যক্তির উন্নতি অগ্রগতি অবশ্যম্ভাবী। ঘুরি সুলতানের অধীনে চাহামাদের বিরুদ্ধে অভিযান আইবেক ঘুরি সেনাবাহিনীর অন্যতম সেনাপতি ছিলেন, যিনি চাহামান শাসক তৃতীয় পৃথ্বীরাজ বাহিনীর দ্বারা ভারতের তরাইনের প্রথম যুদ্ধ পরাজিত হয়েছিলেন। তারাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে ঘুরি সেনারা বিজয় লাভ করে এবং এই যুদ্ধে ঘুরি সৈন্যদের নেতৃত্বে ছিলেন আইবেক। তারাইনে তাঁর বিজয়ের পরে মুইজ আদ-দীন পূর্বের চাহামানা অঞ্চল আইবাকের কাছে অর্পণ করেন, যাকে কুহরম (বর্তমান ভারতের পাঞ্জাবের ঘুরম) এ স্থাপন করা হয়।পৃথ্বীরাজের মৃত্যুর পরে তাঁর পুত্র চতুর্থ গোবিন্দরাজকে আইবেক ঘুরি সামান্ত রাজা নিযুক্ত করেন। এর কিছুকাল পরে, পৃথ্বীরাজার ভাই হরিরাজা রণথম্বোর দুর্গ আক্রমণ করে, যা আইবেক তাঁর অধস্তন কাওয়ামুল মুলকের অধীনে রেখেছিলেন।আইবেক রান্থম্বরে আক্রমণের মাধ্যমে হরিরাজকে রথ্থম্বোর তথা পূর্বের চাহমন রাজধানী আজমির থেকে বিতাড়িত করেন।[৭] দোয়াবে প্রাথমিক বিজয় জাতওয়ানকে পরাজিত করার পরে আইবেক কুহরাম ফিরে আসেন এবং গঙ্গা-যমুনা দোয়াব আক্রমণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।[৮]১১৯২ সালে তিনি মেরান, বরণ (আধুনিক বুলন্দশহর) -এর নিয়ন্ত্রণ নেন, সেখান থেকে পরবর্তী সময়ে গহাদাবাল রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন।১১৯২ সালে তিনি দিল্লিরও নিয়ন্ত্রণ নেন এবং যেখানে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় তোমারা শাসককে রেখে যান। পরবর্তীতে ১১৯৩ সালে তোমারা শাসককে রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য পদচ্যুত করেন এবং দিল্লির সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নেন। গহাদাবলাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ গহাদাবল রাজত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ১১৯৪ সালে সুলতান মুইজ আদ-দীন ভারতে আসেন।[৯][৩]আইবাক ইজদ্দীন হোসেন ইবনে খারমিলকে সাথে নিয়ে চান্দাওয়ার যুদ্ধে তাঁর সেনাবাহিনীর ভ্যানগার্ডকে নেতৃত্ব দেন, যার ফলশ্রুতিতে গহাদাবালা রাজা জয়চন্দ্রের পরাজয় ঘটে।যদিও ঘুরিরা গহাদাবাল রাজ্যের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করতে পারেনি তবে এই বিজয় তাকে এই অঞ্চলের অনেক জায়গায় সামরিক ঘাটি স্থাপনের সুযোগ করে দেয়।[১] অন্যান্য সামরিক অভিযানসমূহ চান্দাওয়ারে বিজয়ের পরে আইবেক কোয়েলে তাঁর অবস্থান সুদৃঢ় করার দিকে মনোনিবেশ করেন।[১০] ১১৯৫-৯৬ সালের দিকে বায়ানার ভাটি শাসক কুমারপালাকে পরাজিত করার সময় গজনি থেকে ভারতে ফিরে আসেন মুয়িজ আদ-দ্বীন। এরপরে তিনি গোয়ালিয়রের দিকে রওনা হন, সেখানে স্থানীয় পরিহর শাসক সল্লাখানা পাল তাঁর অধিনস্থতা স্বীকার করে নেয়। এদিকে, আজমিরের নিকটে বসবাসরত মের আদিবাসীরা ঘুরিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।দক্ষিণে গুজরাত শাসনকারী চৌলুক্য সমর্থিত মেসাররা এই অঞ্চলে আইবেকের নিয়ন্ত্রণের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ আবির্ভূত হয়।[১১] আইবেক তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে আজমিরে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়। পরবর্তীতে ঘুরি রাজধানী গজনী থেকে আজমির স্তানান্তর করা হলে মেসাররা পিছু হটতে বাধ্য হয়। ১১৯৭ সালে আইবেক আবু উপত্যকায় চৌলুক্যা সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে,এভাবে প্রায় দুদশক আগে কাশাহাড়ার যুদ্ধে মুআইজ-আদ-দ্বীনের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া হয়। এরপর আইবেকের সেনাবাহিনী চৌলুক্যের রাজধানী আনহিলওয়ারার দিকে যাত্রা করে। তাদের আগমনে রাজা দ্বিতীয় ভীম শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। মিনহাজ আনহিলওয়ারে আইবেকের এই অভিযানকে গুজরাট বিজয় হিসাবে চিহ্নিত করেছেন,তবে এর ফলে গুজরাট ঘুরি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়নি।[১২] ষোড়শ শতাব্দীর ইতিহাসবিদ ফিরিস্তার ভাষ্য মতে,আইবেক এই অঞ্চলে ঘুরি শক্তি সুসংহত রাখার জন্য একজন মুসলিম অফিসার নিয়োগ করেন, অপরদিকে ইবনে-ই আসির বর্ণনা করেছেন যে আইবাক নতুন দখলকৃত অঞ্চলটিকে হিন্দু সামান্ত রাজার অধীনে রেখেছিলেন।[১১]যাই হোক না কেন, এই অঞ্চলের ঘুরি নিয়ন্ত্রণ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি, কিছু দিনের মধ্যে চৌলুকিয়রা তাদের রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়। ১১৯৭-৯৮ সালে, আইবেক বর্তমান উত্তর প্রদেশের বাডউন জয় করে এবং ঘুরি নিয়ন্ত্রণের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া পূর্ববর্তী গহাদাবালার রাজধানী বারাণসিরও পুনরায় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে।১১৯৮-৯৯ সালে তিনি চান্দ্রবাল(সম্ভবত চান্দাবার)এবং কন্নৌজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেন।পরে তিনি সিরোহক(সম্ভবত রাজস্থানের আধুনিক সিরোহি) দখল করেন।পারসিয়ান কাহিনীকার ফখর-ই মুদব্বির এর মতে, আইবেক ১১৯৯-১২০০ সালে বর্তমান মধ্য প্রদেশে মালওয়াও জয় করেছিলেন,তবে অন্য কোন ঐতিহাসিকের বর্ণনাতে এ জাতীয় বিজয়ের কথার উল্লেখ পাওয়া যায় না, সুতরাং বলা যায় সম্ভবত আইবেক কেবল মালওয়া আক্রমণ করেছিল।১২০২ সালে, আইবেক মধ্য ভারতের চণ্ডেলা রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্গ কালিঞ্জর অবরোধ করেন।চণ্ডেলা শাসক পরমর্দী আইবেকের সাথে আলোচনা শুরু করেছিলেন, তবে চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগেই মৃত্যুবরণ করেন।[১১]এর কিছুদিনপর চণ্ডেলার মুখ্যমন্ত্রী অজয়দেব বিদ্রোহ করে বসে, কিন্তু ঘুরিরা দুর্গে জল সরবরাহ বন্ধ করে দিলে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়।এরই অংশ হিসাবে চান্ডেলরা আজাইগড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।কালীঞ্জরের তাদের পূর্বকেন্দ্র, মহোবা এবং খাজুরাহোর দুর্গগুলি হাসান আরনালের নেতৃতে[১৩] ঘুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।অপরদিকে, ঘুরি সেনাপতি বখতিয়ার খিলজি পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং বিহার অঞ্চলে ক্ষুদ্র গাদ্দাওয়ালার প্রধানদের পরাজিত করে ঘুরি সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ ঘটান।১২০৪ সালে, মুয়িজ আদ-দ্বীন আন্ডখুদে খোয়ারাজমিয়ানদের বিরুদ্ধে পরাজয়ের মুখোমুখি হয়। আইবেক তাকে লাহোর অঞ্চলের খোকর প্রধানদের দ্বারা বিদ্রোহ দমন করতে সহায়তা করেন।১২০৬ সালের ১৫ই মার্চ মুইজ আদ-দ্বীনকে হত্যা করা হয়, বিভিন্ন উৎস তাঁর হত্যাকারী হিসেবে খোকারস বা ইসমাইলি সম্প্রদায়কে অভিযুক্ত করে।[১৪] পূর্ব ভারতে সুলতান মুইজ আদ-দ্বিনের রাজত্বকালে, পূর্ব ভারতের বিহার এবং বাংলা অঞ্চলের কিছু অংশ ঘুরি সেনাপতি বখতিয়ার খিলজির শাসনাধীন ছিল। ১২০৬ সালে দেবকোটে বখতিয়ার খিলজি তাঁর অধস্তন আলী মর্দান খিলজির হাতে হত্যার শিকার হন, একই সময় সুলতান মু’আইজ আদ-দ্বীনকেও হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে বখতিয়ারের আরেক অধস্তন মুহাম্মদ শিরান খিলজি, আলী মর্দানকে আটক করেন এবং পূর্ব ভারতের খলজীদের নেতা বনে যান। এদিকে আলী মর্দান পালিয়ে দিল্লি চলে যায়, সেখানে পৌঁছে আইবেককে খিলজি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে রাজি করায়। খিলজিদের উপর মু‘আইজ-আদ-দ্বিনের প্রভাব না

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...