বজ্রপাতে মানুষের ক্ষতি হয়, মৃত্যু হয় বলে সাধারণত বজ্রপাতকে খারাপ ভাবা হয়। কিন্তু বৈজ্ঞানিক দিক দিয়া বজ্রপাতের বিশেষ কিছু উপকারী দিক রয়েছে। যা বিকল্প দিয়ে মানুষ পূরণ করতে পারবেনা।
আকাশে যখন বজ্রপাত ঘটে তখন উচ্চ ভোল্টেজের বিদ্যুৎ ক্ষরন ঘটে ও তাপের সৃষ্টি হয়। বিদ্যুৎ ক্ষরনের ফলে এবং উচ্চ তাপমাত্রায় বাতাসের নাইট্রোজেন অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে প্রথমে নাইট্রাস অক্সাইড ও পরে তাপে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয়। নাইট্রিক অক্সাইড আবার অধিক অক্সিজেনের উপস্থিতি নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড তৈরি করে। এই নাইট্রিক অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড বৃষ্টির পানির সাথে মিশে যথাক্রমে নাইট্রাস ও নাইট্রিক এসিড উৎপন্ন করে মাটিতে পড়ে। এই এসিড গুলো মাটির খনিজের সাথে বিক্রিয়া করে নাইট্রেট লবণ বা সার তৈরি করে যা উদ্ভিদ মূল দিয়ে শোষণ করে। আমরা জানি নাইট্রোজেন উদ্ভিদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নাইট্রোজেন স্বাভাবিক অবস্থায় কোন বিক্রিয়া করেনা বলে উদ্ভিদ গ্রহণ করতে পারেনা। তাই নাইট্রেট সার হিসাবে উদ্ভিদের গ্রহণ উপযোগী করতে বজ্রপাত অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।