গ্যাস-তরল
ক্রোমাটোগ্রাফি এক
ধরনের পার্টিশন
ক্রোমাটোগ্রাফি,
যেখানে চলমান দশাটি
একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস এবং
স্থির দশাটি কঠিন
পৃষ্ঠদেশের ওপর অধিশোষিত
উচ্চ স্ফুটনাঙ্কবিশিষ্ট তরল।
নমুনাকে গ্যাসীয় দশায়
অন্তঃক্ষেপ (Inject) করা হয়।
যেখানে নমুনা বাষ্পীভূত
হয়ে তরল দশায় (কলামে)
প্রবাহিত হয়। নমুনায় বাষ্প,
গ্যাস এবং তরল দশায়
বিভাজিত হওয়ার কারণে
উপাদানসমূহকে ক্রমবর্ধমান
বণ্টন অনুপাতের ভিত্তিতে
বের করে নিয়ে আসে।
কলামের মধ্যে দিয়ে বাহক
গ্যাস প্রবাহিত করে ইল্যুশন
সম্পন্ন করা হয়। স্থির দশায়
যেসব উপাদানের নগণ্য
দ্রাব্যতা রয়েছে, সেগুলো
কলামের ভিতর দিয়ে দ্রুত
বেরিয়ে আসে, যেসব
উপাদানের বণ্টন সহগ দ্রাবক
তরল দশার প্রতি অনুকূল,
সেগুলো কলাম থেকে
নিম্নগতিতে নিষ্ক্রান্ত
হয়। পৃথককৃত উপাদানসমূহ
কলামের অপরপ্রান্ত দিয়ে
নিষ্ক্রান্ত হয়ে ডিটেক্টরে
পৌঁছায়। উপাদানসমূহ
বিভিন্ন ডিটেক্টর দ্বারা
শনাক্ত করা হয় যা গ্যাসীয়
দশায় উপাদানের
ঘনমাত্রাকে বৈদ্যুতিক
সিগনালে রূপান্তরিত করে।
সিগন্যালসমূহ রেকর্ডার বা
ইন্টিগ্রেটরে লিপিবদ্ধ করা
হয়। পরবর্তীতে পৃথককৃত
উপাদানসমূহের মাত্রিক ও
পরিমাণগত বিশ্লেষণ করা
হয়।