in ইতিহাস ও নিদর্শন by
নাসিরউদ্দিন মাহমুদ সম্পর্কে কিছু লিখ?

2 Answers

0 votes
by
 
Best answer
নাসিরউদ্দিন মাহমুদ দিল্লির সুলতান রাজত্বকাল ১০ জুন ১২৪৬ – ১৮ ফেব্রুয়ারি ১২৬৬ রাজ্যাভিষেক ১০ জুন ১২৪৬, দিল্লি মৃত্যু ১৮ ফেব্রুয়ারি ১২৬৬ পূর্বসূরি আলাউদ্দিন মাসুদ উত্তরসূরি গিয়াসউদ্দিন বলবন রাজবংশ মামলুক পিতা নাসিরউদ্দিন মাহমুদ মাতা ফাতেমা বেগম নাসিরউদ্দিন মাহমুদ, নাসিরউদ্দিন ফিরোজ শাহ (শাসনকাল: ১২৪৬–১২৬৬) ছিলেন দিল্লির মামলুক সালতানাতের ৮ম সুলতান। তিনি নাসিরউদ্দিন মাহমুদের পুত্র ও সুলতান ইলতুতমিশের পৌত্র ছিলেন। ইলতুতমিশ তাকে তার বাবার নাম প্রদান করেছিলেন। আলাউদ্দিন মাসুদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি মসনদে বসেন। মাহমুদ ধার্মিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। নামাজ এবং কুরআন লিপিবদ্ধকরণে তিনি অনেক সময় ব্যয় করতেন। তার শ্বশুর গিয়াসউদ্দিন বলবন মূলত শাসনকাজ তদারক করতেন।[১] ১২৬৬ সালে মাহমুদ নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার পর বলবন মসনদে বসেন। ব্যক্তিজীবন নাসিরউদ্দিন মাহমুদ সহজসরল জীবন যাপন করতেন। নিজের হাতে কুরআন বিক্রি করে তিনি ব্যক্তিগত খরচের ব্যস্থা করতেন। তার কোনো চাকর ছিল না এবং তার স্ত্রী পরিবারের জন্য খাবার রান্না করতেন। নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহ (১৪৩৫-১৪৫৯) বাংলার সুলতান এবং সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ এর বংশধর। ৮৩৯ হিজরিতে (১৪৩৫ খ্রি.) নাসিরুদ্দীন আবুল মুজাফফর মাহমুদ শাহ উপাধি নিয়ে বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁর সিংহাসনারোহণের ফলে প্রায় তেইশ বছর (১৪১২-১৪৩৫ খ্রি.) বিরতির পর ইলিয়াস শাহী বংশ পুনরায় বাংলার শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শান্তিপ্রিয় লোক ছিলেন। তাঁর রাজত্বকালে বাংলা দিল্লি সালতানাতের সাথে কোন যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয় নি। জালালউদ্দীন মুহম্মদ শাহ এর সময় থেকে জৌনপুরের শর্কী সুলতানগণ বাংলার সুলতানদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরা দিল্লির লোদী সুলতানদের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যাপৃত হন। ফলে শর্কী কিংবা দিল্লির সুলতানদের কেউ বাংলার দিকে তাঁদের লোলুপ দৃষ্টি ফেলতে পারেন নি। এ পরিস্থিতিতে নাসিরুদ্দীন মাহমুদ তাঁর রাজ্যের পুনর্গঠন ও উন্নয়নের দিকে সময় ও মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ পান। তদুপরি নাসিরুদ্দীন মাহমুদ বাংলার সামরিক শক্তিও পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হন এবং এর ফলে সামরিক বিজয়ও লাভ করেন। শিলালিপি থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাঁর রাজত্বকালে খান জাহান খুলনা-যশোহর এলাকা জয় করেন। উড়িষ্যার একটি ভূমিদান লিপি থেকে জানা যায় যে, নাসিরুদ্দীন মাহমুদ উড়িষ্যার রাজা কপিলেন্দ্র দেবের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন এবং এ যুদ্ধে নাসিরুদ্দীন মাহমুদ পরাজিত হন। কিন্তু অস্পষ্ট তথ্যাদির উপর প্রতিষ্ঠিত এ ধারণা নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত। এমনও বলা হয়েছে যে, নাসিরুদ্দীন মাহমুদ মিথিলা জয়ের উদ্দেশ্যে মিথিলা অভিমুখে অভিযান করেন। কিন্তু মিথিলারাজ ভৈরব সিংহ তাঁর সে প্রয়াস ব্যর্থ করে দেন। এটি ঘটনার অতিরঞ্জিত বিবরণ বলে মনে হয়। নাসিরুদ্দীন মাহমুদের শিলালিপির প্রাপ্তিস্থল এবং তাঁর মুদ্রায় উল্লিখিত টাকশাল শহরের নাম থেকে বোঝা যায় যে, তিনি পশ্চিমে ভাগলপুর, পূর্বে ময়মনসিংহ ও সিলেট, উত্তরে গৌড়-পান্ডুয়া এবং দক্ষিণে হুগলি পর্যন্ত বিস্তৃত এক বিশাল রাজ্যের অধিকারী ছিলেন। নাসিরুদ্দীন মাহমুদের রাজত্বকালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অগ্রগতি ছিল মুসলিম উপনিবেশের দৃঢ় সম্প্রসারণ এবং বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁদের বসতি স্থাপন। দক্ষিণ বাংলায় মুসলিম বসতি স্থাপনের এ প্রক্রিয়ার পুরোধা ছিলেন খান জাহান। মসজিদ নির্মাণ, পুকুর খনন এবং এ ধরনের আরও বহু জনহিতকর কাজের মাধ্যমে তিনি পুনর্বাসনের একটি সুনিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। রাজ্যের অন্যান্য অংশেও মুসলিম বসতি স্থাপন ও উপনিবেশ সম্প্রসারণের অনুরূপ কাজ চলতে থাকে। নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শিল্প ও স্থাপত্যের একজন বড় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। শিলালিপি থেকে জানা যায় যে, তাঁর রাজত্বকালে বহু মসজিদ, খানকাহ, সেতু ও সমাধিসৌধ নির্মিত হয়। তাঁর রাজত্বকালে নির্মিত মসজিদগুলির মধ্যে বাগেরহাটের খান জাহানের ষাটগম্বুজ মসজিদ, মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুরে সরফরাজ খানের নির্মিত দুটি মসজিদ (১৪৪৩), গৌড়ের নিকটবর্তী এলাকায় জনৈক হিলালী কর্তৃক নির্মিত মসজিদ (১৪৫৫), ঢাকার বখত বিনত মসজিদ (১৪৫৫) এবং ভাগলপুরে খুরশীদ খানের মসজিদ (১৪৪৬) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বাগেরহাটে খান জাহান আলীর সমাধিসৌধ এবং হজরত পান্ডুয়ায় জনৈক আল্লামার সমাধিসৌধ তাঁর রাজত্বকালে নির্মিত হয়। নাসিরুদ্দীন মাহমুদ নিজে গৌড়ে একটি দুর্গ ও প্রাসাদের ভিত্তি স্থাপন করেন। বহু ইমারত দ্বারা তিনি গৌড় শহর সুসজ্জিত করেন। স্থাপত্যকীর্তিসমূহের মধ্যে পাঁচটি খিলানবিশিষ্ট পাথরের সেতু, দুর্গের পুরু দেয়াল এবং কোতোয়ালী দরওয়াজার অস্তিত্ব এখনও বিদ্যমান। উপরিউক্ত ইমারতসমূহ নাসিরুদ্দীন মাহমুদের রাজত্বকালে শান্তি ও সমৃদ্ধির উজ্জ্বল সাক্ষ্য বহন করছে। নিজামউদ্দীন আহমদ ও ফিরিশতা নাসিরুদ্দীন মাহমুদের প্রশংসা করেন। তাঁদের মতে, তিনি একজন আদর্শ সুলতান ছিলেন এবং তাঁর রাজত্বকালে সাধারণ ও অভিজাত, ধনী ও দরিদ্র সর্বস্তরের মানুষ শান্তি ও নিরাপত্তার মধ্যে সুখী ও পরিতৃপ্ত জীবন যাপন করত। গোলাম হোসেইন সলিমও তাঁকে উদার ও ন্যায়পরায়ণ সুলতান বলে বর্ণনা করেন। তিনি আরও বলেন যে, তাঁর সুশাসনে যুবক-বৃদ্ধ সকলেই সন্তুষ্ট ছিলেন এবং পূর্ববর্তী সুলতান সামসুদ্দিন আহমদ শাহের নির্যাতনের ক্ষত নিরাময় হয়েছিল। চবিবশ বছর শান্তিপূর্ণ রাজত্বের পর ৮৬৪ হিজরিতে (১৪৫৯ খ্রি.) সুলতান নাসিরুদ্দিন মাহমুদ এর মৃত্যু হয়।
0 votes
by
নাসিরউদ্দিন মাহমুদ দিল্লির সুলতান রাজত্বকাল ১০ জুন ১২৪৬ – ১৮ ফেব্রুয়ারি ১২৬৬ রাজ্যাভিষেক ১০ জুন ১২৪৬, দিল্লি মৃত্যু ১৮ ফেব্রুয়ারি ১২৬৬ পূর্বসূরি আলাউদ্দিন মাসুদ উত্তরসূরি গিয়াসউদ্দিন বলবন রাজবংশ মামলুক পিতা নাসিরউদ্দিন মাহমুদ মাতা ফাতেমা বেগম নাসিরউদ্দিন মাহমুদ, নাসিরউদ্দিন ফিরোজ শাহ (শাসনকাল: ১২৪৬–১২৬৬) ছিলেন দিল্লির মামলুক সালতানাতের ৮ম সুলতান। তিনি নাসিরউদ্দিন মাহমুদের পুত্র ও সুলতান ইলতুতমিশের পৌত্র ছিলেন। ইলতুতমিশ তাকে তার বাবার নাম প্রদান করেছিলেন। আলাউদ্দিন মাসুদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি মসনদে বসেন। মাহমুদ ধার্মিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। নামাজ এবং কুরআন লিপিবদ্ধকরণে তিনি অনেক সময় ব্যয় করতেন। তার শ্বশুর গিয়াসউদ্দিন বলবন মূলত শাসনকাজ তদারক করতেন।[১] ১২৬৬ সালে মাহমুদ নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার পর বলবন মসনদে বসেন। ব্যক্তিজীবন নাসিরউদ্দিন মাহমুদ সহজসরল জীবন যাপন করতেন। নিজের হাতে কুরআন বিক্রি করে তিনি ব্যক্তিগত খরচের ব্যস্থা করতেন। তার কোনো চাকর ছিল না এবং তার স্ত্রী পরিবারের জন্য খাবার রান্না করতেন। নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহ (১৪৩৫-১৪৫৯) বাংলার সুলতান এবং সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ এর বংশধর। ৮৩৯ হিজরিতে (১৪৩৫ খ্রি.) নাসিরুদ্দীন আবুল মুজাফফর মাহমুদ শাহ উপাধি নিয়ে বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁর সিংহাসনারোহণের ফলে প্রায় তেইশ বছর (১৪১২-১৪৩৫ খ্রি.) বিরতির পর ইলিয়াস শাহী বংশ পুনরায় বাংলার শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শান্তিপ্রিয় লোক ছিলেন। তাঁর রাজত্বকালে বাংলা দিল্লি সালতানাতের সাথে কোন যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয় নি। জালালউদ্দীন মুহম্মদ শাহ এর সময় থেকে জৌনপুরের শর্কী সুলতানগণ বাংলার সুলতানদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরা দিল্লির লোদী সুলতানদের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যাপৃত হন। ফলে শর্কী কিংবা দিল্লির সুলতানদের কেউ বাংলার দিকে তাঁদের লোলুপ দৃষ্টি ফেলতে পারেন নি। এ পরিস্থিতিতে নাসিরুদ্দীন মাহমুদ তাঁর রাজ্যের পুনর্গঠন ও উন্নয়নের দিকে সময় ও মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ পান। তদুপরি নাসিরুদ্দীন মাহমুদ বাংলার সামরিক শক্তিও পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হন এবং এর ফলে সামরিক বিজয়ও লাভ করেন। শিলালিপি থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাঁর রাজত্বকালে খান জাহান খুলনা-যশোহর এলাকা জয় করেন। উড়িষ্যার একটি ভূমিদান লিপি থেকে জানা যায় যে, নাসিরুদ্দীন মাহমুদ উড়িষ্যার রাজা কপিলেন্দ্র দেবের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন এবং এ যুদ্ধে নাসিরুদ্দীন মাহমুদ পরাজিত হন। কিন্তু অস্পষ্ট তথ্যাদির উপর প্রতিষ্ঠিত এ ধারণা নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত। এমনও বলা হয়েছে যে, নাসিরুদ্দীন মাহমুদ মিথিলা জয়ের উদ্দেশ্যে মিথিলা অভিমুখে অভিযান করেন। কিন্তু মিথিলারাজ ভৈরব সিংহ তাঁর সে প্রয়াস ব্যর্থ করে দেন। এটি ঘটনার অতিরঞ্জিত বিবরণ বলে মনে হয়। নাসিরুদ্দীন মাহমুদের শিলালিপির প্রাপ্তিস্থল এবং তাঁর মুদ্রায় উল্লিখিত টাকশাল শহরের নাম থেকে বোঝা যায় যে, তিনি পশ্চিমে ভাগলপুর, পূর্বে ময়মনসিংহ ও সিলেট, উত্তরে গৌড়-পান্ডুয়া এবং দক্ষিণে হুগলি পর্যন্ত বিস্তৃত এক বিশাল রাজ্যের অধিকারী ছিলেন। নাসিরুদ্দীন মাহমুদের রাজত্বকালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অগ্রগতি ছিল মুসলিম উপনিবেশের দৃঢ় সম্প্রসারণ এবং বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁদের বসতি স্থাপন। দক্ষিণ বাংলায় মুসলিম বসতি স্থাপনের এ প্রক্রিয়ার পুরোধা ছিলেন খান জাহান। মসজিদ নির্মাণ, পুকুর খনন এবং এ ধরনের আরও বহু জনহিতকর কাজের মাধ্যমে তিনি পুনর্বাসনের একটি সুনিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। রাজ্যের অন্যান্য অংশেও মুসলিম বসতি স্থাপন ও উপনিবেশ সম্প্রসারণের অনুরূপ কাজ চলতে থাকে। নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শিল্প ও স্থাপত্যের একজন বড় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। শিলালিপি থেকে জানা যায় যে, তাঁর রাজত্বকালে বহু মসজিদ, খানকাহ, সেতু ও সমাধিসৌধ নির্মিত হয়। তাঁর রাজত্বকালে নির্মিত মসজিদগুলির মধ্যে বাগেরহাটের খান জাহানের ষাটগম্বুজ মসজিদ, মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুরে সরফরাজ খানের নির্মিত দুটি মসজিদ (১৪৪৩), গৌড়ের নিকটবর্তী এলাকায় জনৈক হিলালী কর্তৃক নির্মিত মসজিদ (১৪৫৫), ঢাকার বখত বিনত মসজিদ (১৪৫৫) এবং ভাগলপুরে খুরশীদ খানের মসজিদ (১৪৪৬) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বাগেরহাটে খান জাহান আলীর সমাধিসৌধ এবং হজরত পান্ডুয়ায় জনৈক আল্লামার সমাধিসৌধ তাঁর রাজত্বকালে নির্মিত হয়। নাসিরুদ্দীন মাহমুদ নিজে গৌড়ে একটি দুর্গ ও প্রাসাদের ভিত্তি স্থাপন করেন। বহু ইমারত দ্বারা তিনি গৌড় শহর সুসজ্জিত করেন। স্থাপত্যকীর্তিসমূহের মধ্যে পাঁচটি খিলানবিশিষ্ট পাথরের সেতু, দুর্গের পুরু দেয়াল এবং কোতোয়ালী দরওয়াজার অস্তিত্ব এখনও বিদ্যমান। উপরিউক্ত ইমারতসমূহ নাসিরুদ্দীন মাহমুদের রাজত্বকালে শান্তি ও সমৃদ্ধির উজ্জ্বল সাক্ষ্য বহন করছে। নিজামউদ্দীন আহমদ ও ফিরিশতা নাসিরুদ্দীন মাহমুদের প্রশংসা করেন। তাঁদের মতে, তিনি একজন আদর্শ সুলতান ছিলেন এবং তাঁর রাজত্বকালে সাধারণ ও অভিজাত, ধনী ও দরিদ্র সর্বস্তরের মানুষ শান্তি ও নিরাপত্তার মধ্যে সুখী ও পরিতৃপ্ত জীবন যাপন করত। গোলাম হোসেইন সলিমও তাঁকে উদার ও ন্যায়পরায়ণ সুলতান বলে বর্ণনা করেন। তিনি আরও বলেন যে, তাঁর সুশাসনে যুবক-বৃদ্ধ সকলেই সন্তুষ্ট ছিলেন এবং পূর্ববর্তী সুলতান সামসুদ্দিন আহমদ শাহের নির্যাতনের ক্ষত নিরাময় হয়েছিল। চবিবশ বছর শান্তিপূর্ণ রাজত্বের পর ৮৬৪ হিজরিতে (১৪৫৯ খ্রি.) সুলতান নাসিরুদ্দিন মাহমুদ এর মৃত্যু।

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...