in ইতিহাস ও নিদর্শন by
শামসউদ্দিন ইলতুতমিশ সম্পর্কে কিছু লিখ?

2 Answers

0 votes
by
 
Best answer
রাজত্বকাল ১২১১– ৩০ এপ্রিল ১২৩৬ পূর্ণ নাম শামসউদ্দিন ইলতুতমিশ মৃত্যু ৩০ এপ্রিল ১২৩৬ মৃত্যুস্থান দিল্লি সমাধিস্থল কুতুব কমপ্লেক্স, মেহরাউলি, দিল্লি পূর্বসূরি আরাম শাহ উত্তরসূরি রুকনউদ্দিন ফিরোজ সন্তানাদি নাসিরউদ্দিন মাহমুদ, রাজিয়া সুলতানা, রুকনউদ্দিন ফিরোজ, মুইজউদ্দিন বাহরাম রাজবংশ মামলুক ধর্মবিশ্বাস ইসলাম জীবনী তার ভাইয়েরা তার রুপ ও যোগ্যতায় ইর্ষান্বিত হয়ে তাকে এক দাস ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়। বিক্রির পর তাকে বুখারার কাজী সদর জং কিনে নেন। বুখারায় তিনি ভাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পান। এর পরে তাকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়, সেখানে তাকে কুতুবউদ্দিন আইবেক কিনে নেন। কুতুবউদ্দিন আইবেক তার যোগ্যতা খুশি হয়ে তাকে সার-জান্দার ( প্রধান প্রহরী ) হিসেবে নিয়োগ দেন। কঠোর প্ররিশ্রমের দ্বারা তিনি আমির-ই-শিকার এবং পরে গোয়ালিয়রের আমির হিসেবে উন্নিত হন। আইবেক তার কন্যাকে ইলতুতমিশের সাথে বিয়ে দেন। কুতুবউদ্দিন আইবেকের মৃত্যুর পর তার পুত্র শাসনভার গ্রহণের অযোগ্য প্রমাণিত হলে তুর্কিরা তাকে সুলতান হিসেবে মনোনিত করে। ইলতুতমিশ একজন যোগ্য শাসক ছিলেন। তিনি জ্ঞানী, প্রশাসক ও উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তাদের দেশে নিয়ে আসেন যারা মঙ্গল আক্রমণের সময় চলে গিয়েছিল। এদের নিয়ে ইলতুতমিশ এক শক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। ধর্মপ্রান ইলতুতমিশ তিনি ধর্মপ্রান ছিলেন এবং দরবেশদের গভীরভাবে শ্রদ্ধা করতেন। কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকি তার সময়ের একজন বিখ্যাত দরবেশ। স্থাপত্য কুতুবউদ্দিন আইবেকের শুরু করা কুতুব মিনারের কাজ ইলতুতমিশের সময় শেষ হয়। তিনি আজমিরে একটি বিখ্যাত মসজিদ তৈরি করেন। অর্থনীতি ইলতুতমিশ দিল্লীর সুলতানদের মধ্যে সর্বপ্রথম খাঁটি আরবি মুদ্রার প্রবর্তন করেন ভারতবর্ষে আরবি খচিত রৌপ্য মুদ্রা রূপাইয়া নামে অভিহিত হত। তার সময়ে বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফা মুনতানজির বিল্লাহ ১২২৯ সালে ভারতে বিপুল বিনিয়োগ করেন। সাম্রাজ্যের বিদ্রোহ দমন ও বিস্তার ইলতুতমিশ একজন মহান শাসক ছিলেন। তিনি নতুন বিজিত অঞ্চলগুলোর বিদ্রোহ থেকে সাম্রাজ্যকে রক্ষা করেন। ঘুরি বংশের নাসিরউদ্দিন কুবাচাহ নিজ রাজ্যের স্বাধীনতা ঘোষণা করে উচ, মুলতান এবং লাহোর দখল করে নেন। অন্যদিকে, তুর্কি বংশোদ্ভূত তাজউদ্দিন ইলদিজ গজনীতে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ইলতুতমিশ দ্রুত পরিস্থিতি সামলে নিয়ে তাদের উভয়কে পরাজিত করেন। ১২২৫ সালে তিনি বাংলার খিলজী বংশের শাসক হুসামউদ্দিন ইয়াজকে পরাজিত করে বাংলা দখল করে নেন। তিনি সিন্ধুর সুম্রা শাসকের পরাজিত করেণ। ১২৩১ সালে ইলতুতমিশ গোয়ালিয়রের কেল্লা অবরুদ্ধ করেণ। গোয়ালিয়রের শাসক মঙ্গল দেব একবছর পর পলায়ন করলে ইলতুতমিশ গোয়ালিয়র শহর দখল করেন। ইলতুতমিশ মালওয়া, বিলসা, উজ্জান দখল করেন এবং দক্ষিণে তার সাম্রাজ্য নারবাদ পর্যন্ত বিস্তৃত করেন। বৈদেশিক সম্পর্ক ইলতুতমিশের আমলে চেঙ্গিস খান জালালউদ্দিন খোয়ারিজমিকে পরাজিত করে আতুকের নিকটে চলে আসে। জালালউদ্দিন ইলতুতমিশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। কিন্তু ইলতুতমিশ চেঙ্গিস খানের বিরুদ্ধে যেতে চান নাই, ফলে জালালউদ্দিনকে চিঠি লিখে জানান দিল্লি আবহাওয়া ভাল নয়, এই আবহাওয়া জালালউদ্দিন সহ্য করতে পারবেন না। তখন জালালউদ্দিন সিন্ধু হয়ে ইরান চলে যান। এভাবে ইলতুতমিশ তার নব্য মুসলিম সম্রাজ্যকে মঙ্গল আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন। উপাধি সুলতান-ই-আজম এই ধরণের প্রশ্ন যেগুলো একটু কষ্ট করে গুগলে সার্চ দিলেই বিশদভাবে জানা যায় তা কোরায় দেখলে বেশ অবাকই লাগে। আমি সচরাচর এই টাইপ প্রশ্নের উত্তর দেই না তবে এক্ষেত্রে দিচ্ছি কারণ ইলতুৎমিশের সাথে দুইজন ব্যক্তির চমকপ্রদ জীবন কাহিনী জড়িয়ে আছে, জানতে হলে পড়তে থাকুন। ইলতুৎমিশ ছিলেন তুর্কী বংশোদ্ভূত দিল্লি সালতানাতের তৃতীয় সুলতান। কথিত আছে তার রূপে-গুণে ঈর্ষান্বিত হয়ে তার ভাইয়েরা তাকে ক্রীতদাস হিসেবে বেচে দেয়। বহু হাত ঘুরে তিনি কুতুবউদ্দিন আইবেকের ক্রীতদাস হন যিনি পরবর্তীতে দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা হবেন। ১২১০ সালে কুতুবউদ্দিন আইবেকের মৃত্যু হলে আরাম শাহ দিল্লির মসনদে আরোহন করেন, তবে অনেক তুর্কি রাজ সভাসদ তাকে সুলতান হিসেবে মেনে নিতে পারেননি। তারা তখন ইলতুৎমিসকে প্রস্তাব পাঠায় আরাম শাহকে হত্যা করে দিল্লির সিংহাসন দখল করার। ইলতুৎমিশ প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং সৈন্য জড়ো করে দিল্লি অভিমুখে রওনা দেন। দিল্লির নিকটে তিনি আরাম শাহের সৈন্যদলকে যুদ্ধে পরাজিত করেন। যুদ্ধে আরাম শাহের মৃত্যু হলে দিল্লির ক্ষমতা ভার ইলতুৎমিশের হাতে চলে আসে। অনেক ইতিহাসবিদ তাকে দিল্লি সুলতানের প্রথম কার্যকরী প্রতিষ্ঠাতা সুলতান হিসেবে অভিহিত করেন কারণ তিনিই প্রথম দিল্লি সালতানাতকে গজনির প্রভাবমুক্ত করেন। সেই সাথে তিনি ক্ষমতা দখল করার সময় দিল্লি সালতানাত সিন্ধু, দিল্লি, লখনৌতি এবং লাহোর নামে যে চারটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে তা তিনি ধীরে ধীরে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। এছাড়াও ইলতুৎমিশই প্রথম দিল্লি সুলতান যিনি দীর্ঘ সময় ধরে দিল্লি সালতানাত শাসন করেছিলেন। কুতুবউদ্দিন আইবেক যে কুতুবমিনার কমপ্লেক্স তৈরির কাজে হাত দেন তিনি তা সম্পন্ন করেন। এই কুতুব মিনার কম্প্লেক্স বর্তমানে একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট যা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক আকৃষ্ট করে। সুলতান ইলতুৎমিশ সূফী সাধক, দরবেশদেরও খুব সম্মান করতেন। মোঙ্গলদের ধ্বংসযজ্ঞে যখন সমগ্র ইসলামিক বিশ্ব জ্বলছিল তখন তিনি দক্ষ রাজ সভাসদ, কবি, দরবেশ, জ্ঞানতাপসদের নিজ রাজ্যে নিয়ে আসেন। এতে করে ভারত বর্ষ খুব দ্রুতই বিশ্বে ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠতম কেন্দ্রগুলির একটিতে রূপান্তরিত হয় এবং ভারতবর্ষে ইসলামের প্রচলন শুরু হয়। দীর্ঘ ২৫ বছর শাসন করার পর ১১৩৬ সালে এই মহান শাসক মৃত্যুবরণ করেন।
0 votes
by
রাজত্বকাল ১২১১– ৩০ এপ্রিল ১২৩৬ পূর্ণ নাম শামসউদ্দিন ইলতুতমিশ মৃত্যু ৩০ এপ্রিল ১২৩৬ মৃত্যুস্থান দিল্লি সমাধিস্থল কুতুব কমপ্লেক্স, মেহরাউলি, দিল্লি পূর্বসূরি আরাম শাহ উত্তরসূরি রুকনউদ্দিন ফিরোজ সন্তানাদি নাসিরউদ্দিন মাহমুদ, রাজিয়া সুলতানা, রুকনউদ্দিন ফিরোজ, মুইজউদ্দিন বাহরাম রাজবংশ মামলুক ধর্মবিশ্বাস ইসলাম জীবনী তার ভাইয়েরা তার রুপ ও যোগ্যতায় ইর্ষান্বিত হয়ে তাকে এক দাস ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়। বিক্রির পর তাকে বুখারার কাজী সদর জং কিনে নেন। বুখারায় তিনি ভাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পান। এর পরে তাকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়, সেখানে তাকে কুতুবউদ্দিন আইবেক কিনে নেন। কুতুবউদ্দিন আইবেক তার যোগ্যতা খুশি হয়ে তাকে সার-জান্দার ( প্রধান প্রহরী ) হিসেবে নিয়োগ দেন। কঠোর প্ররিশ্রমের দ্বারা তিনি আমির-ই-শিকার এবং পরে গোয়ালিয়রের আমির হিসেবে উন্নিত হন। আইবেক তার কন্যাকে ইলতুতমিশের সাথে বিয়ে দেন। কুতুবউদ্দিন আইবেকের মৃত্যুর পর তার পুত্র শাসনভার গ্রহণের অযোগ্য প্রমাণিত হলে তুর্কিরা তাকে সুলতান হিসেবে মনোনিত করে। ইলতুতমিশ একজন যোগ্য শাসক ছিলেন। তিনি জ্ঞানী, প্রশাসক ও উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তাদের দেশে নিয়ে আসেন যারা মঙ্গল আক্রমণের সময় চলে গিয়েছিল। এদের নিয়ে ইলতুতমিশ এক শক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। ধর্মপ্রান ইলতুতমিশ তিনি ধর্মপ্রান ছিলেন এবং দরবেশদের গভীরভাবে শ্রদ্ধা করতেন। কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকি তার সময়ের একজন বিখ্যাত দরবেশ। স্থাপত্য কুতুবউদ্দিন আইবেকের শুরু করা কুতুব মিনারের কাজ ইলতুতমিশের সময় শেষ হয়। তিনি আজমিরে একটি বিখ্যাত মসজিদ তৈরি করেন। অর্থনীতি ইলতুতমিশ দিল্লীর সুলতানদের মধ্যে সর্বপ্রথম খাঁটি আরবি মুদ্রার প্রবর্তন করেন ভারতবর্ষে আরবি খচিত রৌপ্য মুদ্রা রূপাইয়া নামে অভিহিত হত। তার সময়ে বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফা মুনতানজির বিল্লাহ ১২২৯ সালে ভারতে বিপুল বিনিয়োগ করেন। সাম্রাজ্যের বিদ্রোহ দমন ও বিস্তার ইলতুতমিশ একজন মহান শাসক ছিলেন। তিনি নতুন বিজিত অঞ্চলগুলোর বিদ্রোহ থেকে সাম্রাজ্যকে রক্ষা করেন। ঘুরি বংশের নাসিরউদ্দিন কুবাচাহ নিজ রাজ্যের স্বাধীনতা ঘোষণা করে উচ, মুলতান এবং লাহোর দখল করে নেন। অন্যদিকে, তুর্কি বংশোদ্ভূত তাজউদ্দিন ইলদিজ গজনীতে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ইলতুতমিশ দ্রুত পরিস্থিতি সামলে নিয়ে তাদের উভয়কে পরাজিত করেন। ১২২৫ সালে তিনি বাংলার খিলজী বংশের শাসক হুসামউদ্দিন ইয়াজকে পরাজিত করে বাংলা দখল করে নেন। তিনি সিন্ধুর সুম্রা শাসকের পরাজিত করেণ। ১২৩১ সালে ইলতুতমিশ গোয়ালিয়রের কেল্লা অবরুদ্ধ করেণ। গোয়ালিয়রের শাসক মঙ্গল দেব একবছর পর পলায়ন করলে ইলতুতমিশ গোয়ালিয়র শহর দখল করেন। ইলতুতমিশ মালওয়া, বিলসা, উজ্জান দখল করেন এবং দক্ষিণে তার সাম্রাজ্য নারবাদ পর্যন্ত বিস্তৃত করেন। বৈদেশিক সম্পর্ক ইলতুতমিশের আমলে চেঙ্গিস খান জালালউদ্দিন খোয়ারিজমিকে পরাজিত করে আতুকের নিকটে চলে আসে। জালালউদ্দিন ইলতুতমিশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। কিন্তু ইলতুতমিশ চেঙ্গিস খানের বিরুদ্ধে যেতে চান নাই, ফলে জালালউদ্দিনকে চিঠি লিখে জানান দিল্লি আবহাওয়া ভাল নয়, এই আবহাওয়া জালালউদ্দিন সহ্য করতে পারবেন না। তখন জালালউদ্দিন সিন্ধু হয়ে ইরান চলে যান। এভাবে ইলতুতমিশ তার নব্য মুসলিম সম্রাজ্যকে মঙ্গল আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন। উপাধি সুলতান-ই-আজম এই ধরণের প্রশ্ন যেগুলো একটু কষ্ট করে গুগলে সার্চ দিলেই বিশদভাবে জানা যায় তা কোরায় দেখলে বেশ অবাকই লাগে। আমি সচরাচর এই টাইপ প্রশ্নের উত্তর দেই না তবে এক্ষেত্রে দিচ্ছি কারণ ইলতুৎমিশের সাথে দুইজন ব্যক্তির চমকপ্রদ জীবন কাহিনী জড়িয়ে আছে, জানতে হলে পড়তে থাকুন। ইলতুৎমিশ ছিলেন তুর্কী বংশোদ্ভূত দিল্লি সালতানাতের তৃতীয় সুলতান। কথিত আছে তার রূপে-গুণে ঈর্ষান্বিত হয়ে তার ভাইয়েরা তাকে ক্রীতদাস হিসেবে বেচে দেয়। বহু হাত ঘুরে তিনি কুতুবউদ্দিন আইবেকের ক্রীতদাস হন যিনি পরবর্তীতে দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা হবেন। ১২১০ সালে কুতুবউদ্দিন আইবেকের মৃত্যু হলে আরাম শাহ দিল্লির মসনদে আরোহন করেন, তবে অনেক তুর্কি রাজ সভাসদ তাকে সুলতান হিসেবে মেনে নিতে পারেননি। তারা তখন ইলতুৎমিসকে প্রস্তাব পাঠায় আরাম শাহকে হত্যা করে দিল্লির সিংহাসন দখল করার। ইলতুৎমিশ প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং সৈন্য জড়ো করে দিল্লি অভিমুখে রওনা দেন। দিল্লির নিকটে তিনি আরাম শাহের সৈন্যদলকে যুদ্ধে পরাজিত করেন। যুদ্ধে আরাম শাহের মৃত্যু হলে দিল্লির ক্ষমতা ভার ইলতুৎমিশের হাতে চলে আসে। অনেক ইতিহাসবিদ তাকে দিল্লি সুলতানের প্রথম কার্যকরী প্রতিষ্ঠাতা সুলতান হিসেবে অভিহিত করেন কারণ তিনিই প্রথম দিল্লি সালতানাতকে গজনির প্রভাবমুক্ত করেন। সেই সাথে তিনি ক্ষমতা দখল করার সময় দিল্লি সালতানাত সিন্ধু, দিল্লি, লখনৌতি এবং লাহোর নামে যে চারটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে তা তিনি ধীরে ধীরে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। এছাড়াও ইলতুৎমিশই প্রথম দিল্লি সুলতান যিনি দীর্ঘ সময় ধরে দিল্লি সালতানাত শাসন করেছিলেন। কুতুবউদ্দিন আইবেক যে কুতুবমিনার কমপ্লেক্স তৈরির কাজে হাত দেন তিনি তা সম্পন্ন করেন। এই কুতুব মিনার কম্প্লেক্স বর্তমানে একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট যা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক আকৃষ্ট করে। সুলতান ইলতুৎমিশ সূফী সাধক, দরবেশদেরও খুব সম্মান করতেন। মোঙ্গলদের ধ্বংসযজ্ঞে যখন সমগ্র ইসলামিক বিশ্ব জ্বলছিল তখন তিনি দক্ষ রাজ সভাসদ, কবি, দরবেশ, জ্ঞানতাপসদের নিজ রাজ্যে নিয়ে আসেন। এতে করে ভারত বর্ষ খুব দ্রুতই বিশ্বে ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠতম কেন্দ্রগুলির একটিতে রূপান্তরিত হয়।

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...