আজ থেকে প্রায় দু’শ বছর আগেকার কথা। ব্রিটেনে তখন চলছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের দারুণ এক সময়। নানা রকম গবেষণা প্রতিনিয়ত গবেষকদের কাছে সম্ভাবনার নানা দুয়ার খুলে দিচ্ছে। কিন্তু তারপরও একটি সমস্যা থেকেই গেলো। আর তা হলো আইনসম্মত মৃতদেহের অভাব। যতই দিন যাচ্ছিলো, মৃতদেহ পাওয়া ততই দুষ্কর হয়ে উঠছিলো। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উৎস ছিলো অপরাধীদের মৃতদেহ, যা কিনা মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকরের পর মেডিকেল স্কুলগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হতো। কিন্তু দিন দিন এ উৎস থেকে আগত দেহের সংখ্যাও কমে যেতে লাগলো। ফলে ডাক্তাররাও মরিয়া হয়ে উঠলেন (দয়া করে ডাক্তারদের দোষ দিতে যাবেন না)। শিক্ষার্থীদেরকে অ্যানাটমিক্যাল ডিসেকশন সম্পর্কে হাতে-কলমে জ্ঞান দেওয়ার জন্য দরকারী মৃতদেহ সংগ্রহে তারা যেকোনো পথ বেছে নেওয়ার কথা চিন্তা করতে লাগলেন। আর তাদের এ চিন্তাই পরবর্তীতে জন্ম দেয় এমন একগুচ্ছ খুনের ঘটনার যা এতদিন পরেও যে কাউকে রোমাঞ্চিত করে তুলতে পারবে অনায়াসেই… ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানো যাক। এক ধাক্কায় চলুন যাওয়া যাক ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে। সেই বছরেরই কোনো এক সময়ে উইলিয়াম বার্ক উত্তর আয়ারল্যান্ডের আর্নি শহর ছেড়ে ভাগ্যান্বেষণে পাড়ি জমান স্কটল্যান্ডে, কাজ করতে থাকেন ইউনিয়ন ক্যানালে একজন নেভিগেশনাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। এখানেই তার পরিচয় হয় হেলেন ম্যাকডোগালের সাথে, পরবর্তীতে তাদের এ সম্পর্কটি বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। 1-william-burke