সকলের স্বার্থের দিকেই দৃষ্টি দেওয়া উচিত, নইলে মনুষ্যত্ব থাকে না। কেতাবে আছে বলে পুরুষের স্বার্থের কথাও কিছু বলছি।
বহু মহামনীষীদের অভিমত হলাে যে বিধবা এবং যে নারীর আগের স্বামীর সন্তান আছে, একান্ত না ঠেকলে তাকে বিয়ে করাে না। কারণ অমন নারীকে নিয়ে ঘর-সংসার করাতে বড় বেশী সুখ পাওয়া যায় না। তাদের সহবাসেও পুরােপুরী সাধ মেটে না; কারণ আগের স্বামীর চেয়ে বর্তমান স্বামীর আর্থিক অবস্থা যদি কিছু মন্দ হয়, কামশক্তি কম হয়, রূপ-গৌরব যদি কম থাকে, তবে বর্তমান স্বামীর সহবাসে তার মন মজে কম, তাই তাতে সাধও পাওয়া যায় নেহাত কম। আর পূর্ব স্বামীর সন্তান থাকলে তার জন্য মনটা সদাই উন্মাদনা থাকে। তাতে স্বামী সম্ভোগ রস তার মধ্যে কম পয়দা হয়। তাই তার মিলনে সাধ মেটে না।
তুমি গাভীর দুধ দোহন কখনও দেখেছ কি? দুধ দোহন কালে গাই যেমন পেট খিচিয়ে কিছু দুধ চুরি করে রাখে- বিধবা হলে নারীদের প্রকৃতিও অনেকটা তেমনি হয়ে পড়ে। পূর্ব স্বামী ও সন্তানের দিকে মনের কতক অংশ ভেঙ্গে ছুটে যায়। তাই বর্তমান স্বামীর প্রতি পুরােপুরি মন মজে না। প্রথম স্বামীর কাছে মেয়েরা যেমন একেবারে আত্মসমর্পন করে, দ্বিতীয় স্বামীর কাছে তেমন আত্মসমর্পন করতে পারে না । এটা হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার। সধবা স্ত্রী অল্প খেয়ে অল্প পরেই সন্তুষ্ট থাকে। কিন্তু বিধবা স্ত্রী লােক প্রায়ই খুব খেয়ে পরেও হায়আফসােস করে বেড়ায়।