যৌবনে উপনিত হবার পরিচয়
এতটুকু ক্ষুদ্র বীজের ভিতরে যেমন অত বড় গাছটা লুকিয়ে থাকে, তা মাটি, পানি ও সূর্যের আলাে পেলেই গজিয়ে উঠে। এরপর আস্তে-আস্তে ডালপালা ও ফল হয়- গাছ হয়। শিশুর মানষিকতাও তেমনি, প্রথমে উহা ঘুমিয়ে থাকে। এরপর শরীর বৃদ্ধির সঙ্গে-সঙ্গে শিশুর মনে নানা প্রকার খেয়াল ও নানা ভাবের উদয় হয়। শিশুর হৃদয়ের সঙ্গে যে সরু রগগুলাের সংযােগ রয়েছে, সেগুলাে কম্পিউটারের সংযােগের মত। হৃদয়ের মধ্যে যে খেয়াল বা প্রবৃত্তির উদয় হয়, তা ঐ তার দিয়ে বিদ্যুতের মত খুব দ্রুতবেগে শরীরে সঞ্চারিত হয়। এতেই বীজের যেমন- মাটি, পানি ও আলাে দেবার মত করে কাজ হয়। এতেই অঙ্গ প্রতঙ্গ বৃদ্ধির সাথে। সাথে লিঙ্গাদিও পূর্ণতা প্রাপ্ত হতে থাকে। এভাবে মানুষের যৌবনকাল দেখা দিয়ে থাকে। যৌবনকাল নারী পুরুষ সকলের জীবনের এক অমূল্য সম্পদ। এর প্রতি অবহেলা করলে মানুষের জীবন ব্যর্থায় পর্যবসিত হয়।
ফুল যেমন না ফুটলে তার গন্ধ সুবাস পাওয়া যায় না, আর ফুটলেই বেশ উহা পাওয়া যায়। তেমনি অপ্রাপ্ত বয়সে ছেলে - মেয়েদের মণি বা ধাতু সাধারণতঃ দেখা যায় না। আর যৌবন প্রাপ্তি। হলেই উহা দেখা যায়। ঠিক মানুষও বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়া মানে যেন সে অবাঞ্ছিত ফুলটি ফুটল আর কি!
ফুল ফুটলে আগে যেমন তার পাঁপড়ী খােলে, মানুষ বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তেমনি তার কতকগুলাে চিহ্ন দেখা যায়। এগুলাে যৌবন চিহ্নত বলে ছেলরা বয়ঃপ্রাপ্ত হলে শরীরের গঠন মােতাবেক তাদের যৌবনচিহ্ন বীর্যপাত, গর্ভোৎপাদন ও স্বপ্নদোষ। আর মেয়েরা বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তার যৌবনে চিহ্ন হল বীর্যপাত, গর্ভধারণ, ঋতু ও স্বপ্নদোয়। আর যদি এগুলাের কোন লক্ষ্যণই পাওয়া না যায়, তবে ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে পনের বছর পূর্ণ হলে, বয়ঃপ্রাপ্ত ধরা হয়ে থাকে। এছাড়া তাদের যৌবনের আরাে কতকগুলাে সাধারণ লক্ষণ আছে। পুরুষের জন্য যেমন- গোঁফ, দাড়ি এবং মহিলাদের জন্য স্তনের উচ্চতা ও স্থূলতা, বগল ও গুপ্তস্থানের লােমাদি ইত্যাদি।