in যৌনশিক্ষা by
মাসিক কি? মাসিক কেন হয়?

2 Answers

0 votes
by
মাসিক কি? মাসিক কেন হয়? মাসিক কেন হয় তার জানার আগ্রহ অনেক মেয়েদের মনেই থাকে। বিশেষ করে আধুনিক যুগের মেয়েদের মনে মাসিক কেন হয় সে সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রবল থাকে। মাসিক কেন হয় তা জানা প্রয়জন কারণ পৃথিবীর সকল নারীকেই এই প্রাকৃতিক পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমাদের মা-খালারাও উঠতি বয়সে মাসিক বা ঋতুচক্রের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। একজন নারীকে ভবিষ্যতে সন্তান সম্ভবা হতে শারীরিক ভাবে প্রস্তুত করে এই মাসিক প্রক্রিয়া। একজন কিশোরীর জন্য এটি প্রথম সংকেত যা বলে দেয় যে সে তার বাড়ন্ত কৈশোরে পা রাখতে যাচ্ছে।কিশোরীর বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন কি? যখন একটি মেয়ে ১০-১২ বছর বয়সে পৌঁছে, তখন তার শারীরিক পরিবর্তন শুরু হয়। যেমন- উচ্চতা বাড়ে, মাসিক শুরু হয়, স্তন বড় হয়, বগলে ও যৌনাঙ্গে লোম গজায়। কোমর সরু হয়, উরু ও নিত্মদ ভারি হয়, জরায়ু ও ডিম্বাশয় বড় হয়। এই পরিবর্তন গুলোই হচ্ছে মেয়েদের বড় হওয়ার লক্ষণ। মাসিক একটি মেয়ের শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা সাধারণত ১০-১৩ বছর বয়সে শুরু হয় এবং স্বাভাবিক নিয়মে ৪৫-৪৯ বছর বয়স পর্যন্ত চলে। তবে কারও ৯ বছর বয়স থেকেও মাসিক স্রাব শুরু হতে পারে । মাসিক স্রাব শুরু হওয়ার প্রথম বছর গুলোতে কিছুটা অনিয়ম হতে পারে এবং তলপেটে ব্যথা হতে পারে । যদিও এ বয়স থেকেই মেয়েরা গর্ভবতী হতে পারে, তবুও ২০ বছর বয়সের আগে শরীরের বৃদ্ধি পুরোপুরি না হওয়ার কারণে কম বয়সে গর্ভধারণ একটি মেয়ের ও তার গর্ভের শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।ঋতুস্রাব বা মাসিক কেন হয়? স্বাভাবিক ভাবেই মনে প্রশ্ন আসতে পারে মেয়েদের মাসিক কেন হয় ? যে জিনিসটা মেয়েদের প্রতি মাসেই হয় সেটা সম্পর্কে জানাটা জরুরী। আসলে মাসিক বা ঋতুস্রাব মেয়েদের দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে ওঠার লক্ষণ। সাধারণত ০৯-১৩ বছর বয়সে যে কোন সময় মাসিক শুরু হয় এবং ৪৫-৪৯ বছর বয়সে স্বাভাবিক নিয়মেই মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মাসেই মাসিক হয়ে থাকে এবং তা ৩ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়। মেয়েদের প্রতি ২৪ থেকে ৩২ দিন অর্থাত্ গড়ে ২৮ দিন পর-পর মাসিক হয়। একে মাসিকচক্র বলে। কারো-কারো ক্ষেত্রে এ ২৮ দিনের চক্রটি কম বা বেশি হতে পারে। মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকেই মাসিকচক্র শুরু হয়।মেয়েরা যখন বড় হয় তখন প্রতি মাসে ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বাণু বের হয়ে ডিম্ববাহী নালীতে আসে। একই সময় জরায়ুতে রক্তে ভরা নরম পর্দা তৈরি হয়। যদি এ সময় যৌনমিলন হয় তাহলে শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণু মিলিত হয়ে ভ্রুণ তৈরি হয়। এই ভ্রুণ রক্তে ভরা নরম পর্দায় গিয়ে বসে ও ধীরে-ধীরে বড় হয়ে শিশুতে পরিণত হয়। যদি শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণুর মিলন না হয়, তাহলে এই পর্দার আর প্রয়োজন হয় না। তখন এই রক্তে ভরা পর্দা ডিম্বাণুসহ মাসিক হিসেবে যোনিপথ দিয়ে বেরিয়ে আসে। কোনো আঘাত বা অসুখের কারণে এই রক্ত পড়ে না। এ বয়সে একটি মেয়ে যে স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠছে এবং সন্তান ধারণের ক্ষমতা লাভ করেছে, মাসিক তারই প্রমাণ । ঋতুচক্রের তিনটি অংশ, প্রথমটি চারদিন স্থায়ী হয় (৪-৭ দিন) এবং একে মিনস্ট্রাল ফেজ, দ্বিতীয়টি ১০ দিন (৮-১০ দিন) একে প্রলিফারেটিভ ফেজ এবং তৃতীয়টি ১৪ দিন (১০-১৪ দিন) স্থায়ী হয় একে সেক্রেটরি ফেজ বলা হয়। *মিনস্ট্রাল ফেজ ৪-৭ দিন স্থায়ী হয়। এবং এই রক্তপাতে ভেঙ্গে যাওয়া রক্তকনিকা ছাড়াও এর সাথে শ্বেত কনিকা, জরায়ুমুখের মিউকাস, জরায়ুর নিঃসৃত আবরনি, ব্যাকটেরিয়া, প্লাজমিন, প্রস্টাগ্লানডিন এবং অনিষিক্ত ডিম্বানু থেকে থাকে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের যৌথ ক্রিয়ার এই পর্বটি ঘটে। *প্রলিফারেটিভ ফেজ ৮-১০ দিন স্থায়ী হতে পারে। শুধু ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে এটি হয়। এই সময় জরায়ু নিষিক্ত ডিম্বানুকে গ্রহন করার জন্য প্রস্ততি নেয়। *সেক্রেটরি ফেজ টা সবচেয়ে দীর্ঘ, প্রায় ১০ থেকে ১৪ দিন। একে প্রজেস্টেরন বা লুটিয়াল ফেজ ও বলা হয়। এটিও ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন উভয় হরমোনের যৌথ কারনে হয়। এই সময় নিষিক্ত ডিম্বানুর বৃদ্ধির জন্য জরায়ু সর্বোচ্চ প্রস্ততি নিয়ে থাকে। ডিম্বাশয়ের কোনো ডিম্বানু শুক্রানু দ্বারা নিষিক্ত না হলে জরায়ু আবার মিনস্ট্রাল ফেজে চলে যায়। এভাবেই পূর্ন বয়স্ক মেয়েদের ঋতুচক্র চলতে থাকে। মাসিকের প্রথম দিন থেকেই ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু তৈরি হতে শুরু করে। মাসিক হওয়ার পরে মেয়েরা প্রজননক্ষম অর্থাত্ সন্তান ধারণের ক্ষমতা লাভ করে। মাসিক নিয়ে ভয় বা লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। মেয়েদের মাসিক কেন হয় এই বিষয়ে জানা থাকলে যেকোন মেয়ের মনে মাসিক বিষয়ে অযাচিত ভয় দূর হবে।
0 votes
by
মাসিক কি? মাসিক কেন হয়? মাসিক কেন হয় তার জানার আগ্রহ অনেক মেয়েদের মনেই থাকে। বিশেষ করে আধুনিক যুগের মেয়েদের মনে মাসিক কেন হয় সে সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রবল থাকে। মাসিক কেন হয় তা জানা প্রয়জন কারণ পৃথিবীর সকল নারীকেই এই প্রাকৃতিক পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমাদের মা-খালারাও উঠতি বয়সে মাসিক বা ঋতুচক্রের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। একজন নারীকে ভবিষ্যতে সন্তান সম্ভবা হতে শারীরিক ভাবে প্রস্তুত করে এই মাসিক প্রক্রিয়া। একজন কিশোরীর জন্য এটি প্রথম সংকেত যা বলে দেয় যে সে তার বাড়ন্ত কৈশোরে পা রাখতে যাচ্ছে।কিশোরীর বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন কি? যখন একটি মেয়ে ১০-১২ বছর বয়সে পৌঁছে, তখন তার শারীরিক পরিবর্তন শুরু হয়। যেমন- উচ্চতা বাড়ে, মাসিক শুরু হয়, স্তন বড় হয়, বগলে ও যৌনাঙ্গে লোম গজায়। কোমর সরু হয়, উরু ও নিত্মদ ভারি হয়, জরায়ু ও ডিম্বাশয় বড় হয়। এই পরিবর্তন গুলোই হচ্ছে মেয়েদের বড় হওয়ার লক্ষণ। মাসিক একটি মেয়ের শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা সাধারণত ১০-১৩ বছর বয়সে শুরু হয় এবং স্বাভাবিক নিয়মে ৪৫-৪৯ বছর বয়স পর্যন্ত চলে। তবে কারও ৯ বছর বয়স থেকেও মাসিক স্রাব শুরু হতে পারে । মাসিক স্রাব শুরু হওয়ার প্রথম বছর গুলোতে কিছুটা অনিয়ম হতে পারে এবং তলপেটে ব্যথা হতে পারে । যদিও এ বয়স থেকেই মেয়েরা গর্ভবতী হতে পারে, তবুও ২০ বছর বয়সের আগে শরীরের বৃদ্ধি পুরোপুরি না হওয়ার কারণে কম বয়সে গর্ভধারণ একটি মেয়ের ও তার গর্ভের শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।ঋতুস্রাব বা মাসিক কেন হয়? স্বাভাবিক ভাবেই মনে প্রশ্ন আসতে পারে মেয়েদের মাসিক কেন হয় ? যে জিনিসটা মেয়েদের প্রতি মাসেই হয় সেটা সম্পর্কে জানাটা জরুরী। আসলে মাসিক বা ঋতুস্রাব মেয়েদের দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে ওঠার লক্ষণ। সাধারণত ০৯-১৩ বছর বয়সে যে কোন সময় মাসিক শুরু হয় এবং ৪৫-৪৯ বছর বয়সে স্বাভাবিক নিয়মেই মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মাসেই মাসিক হয়ে থাকে এবং তা ৩ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়। মেয়েদের প্রতি ২৪ থেকে ৩২ দিন অর্থাত্ গড়ে ২৮ দিন পর-পর মাসিক হয়। একে মাসিকচক্র বলে। কারো-কারো ক্ষেত্রে এ ২৮ দিনের চক্রটি কম বা বেশি হতে পারে। মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকেই মাসিকচক্র শুরু হয়।মেয়েরা যখন বড় হয় তখন প্রতি মাসে ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বাণু বের হয়ে ডিম্ববাহী নালীতে আসে। একই সময় জরায়ুতে রক্তে ভরা নরম পর্দা তৈরি হয়। যদি এ সময় যৌনমিলন হয় তাহলে শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণু মিলিত হয়ে ভ্রুণ তৈরি হয়। এই ভ্রুণ রক্তে ভরা নরম পর্দায় গিয়ে বসে ও ধীরে-ধীরে বড় হয়ে শিশুতে পরিণত হয়। যদি শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণুর মিলন না হয়, তাহলে এই পর্দার আর প্রয়োজন হয় না। তখন এই রক্তে ভরা পর্দা ডিম্বাণুসহ মাসিক হিসেবে যোনিপথ দিয়ে বেরিয়ে আসে। কোনো আঘাত বা অসুখের কারণে এই রক্ত পড়ে না। এ বয়সে একটি মেয়ে যে স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠছে এবং সন্তান ধারণের ক্ষমতা লাভ করেছে, মাসিক তারই প্রমাণ । ঋতুচক্রের তিনটি অংশ, প্রথমটি চারদিন স্থায়ী হয় (৪-৭ দিন) এবং একে মিনস্ট্রাল ফেজ, দ্বিতীয়টি ১০ দিন (৮-১০ দিন) একে প্রলিফারেটিভ ফেজ এবং তৃতীয়টি ১৪ দিন (১০-১৪ দিন) স্থায়ী হয় একে সেক্রেটরি ফেজ বলা হয়। *মিনস্ট্রাল ফেজ ৪-৭ দিন স্থায়ী হয়। এবং এই রক্তপাতে ভেঙ্গে যাওয়া রক্তকনিকা ছাড়াও এর সাথে শ্বেত কনিকা, জরায়ুমুখের মিউকাস, জরায়ুর নিঃসৃত আবরনি, ব্যাকটেরিয়া, প্লাজমিন, প্রস্টাগ্লানডিন এবং অনিষিক্ত ডিম্বানু থেকে থাকে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের যৌথ ক্রিয়ার এই পর্বটি ঘটে। *প্রলিফারেটিভ ফেজ ৮-১০ দিন স্থায়ী হতে পারে। শুধু ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে এটি হয়। এই সময় জরায়ু নিষিক্ত ডিম্বানুকে গ্রহন করার জন্য প্রস্ততি নেয়। *সেক্রেটরি ফেজ টা সবচেয়ে দীর্ঘ, প্রায় ১০ থেকে ১৪ দিন। একে প্রজেস্টেরন বা লুটিয়াল ফেজ ও বলা হয়। এটিও ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন উভয় হরমোনের যৌথ কারনে হয়। এই সময় নিষিক্ত ডিম্বানুর বৃদ্ধির জন্য জরায়ু সর্বোচ্চ প্রস্ততি নিয়ে থাকে। ডিম্বাশয়ের কোনো ডিম্বানু শুক্রানু দ্বারা নিষিক্ত না হলে জরায়ু আবার মিনস্ট্রাল ফেজে চলে যায়। এভাবেই পূর্ন বয়স্ক মেয়েদের ঋতুচক্র চলতে থাকে। মাসিকের প্রথম দিন থেকেই ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু তৈরি হতে শুরু করে। মাসিক হওয়ার পরে মেয়েরা প্রজননক্ষম অর্থাত্ সন্তান ধারণের ক্ষমতা লাভ করে। মাসিক নিয়ে ভয় বা লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই।

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...