বয়ঃসন্ধি কাল থেকে ছেলেদের যৌনাঙ্গের অন্ডথলিতে জননকোষ তথা শুক্রাণু উৎপাদন শুরু হয়।
এই শুক্রাণু উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রতিনিয়ত চলতে থাকে। উৎপন্ন শুক্রাণু পূর্ণতা প্রাপ্তির পর অন্ডথলিতে জমা থাকে। এই শুক্রাণুগুলোর একটা নির্দিষ্ট আয়ু আছে। আয়ু শেষে এরা নষ্ট হয়ে যায় বা মারা যায়।
তখন এই নষ্ট শুক্রাণু গুলো অন্ডথলি থেকে বের করে দেহের বাইরে নিষ্কাশনের দরকার হয়। তা না হলে দেহের ক্ষতি হতে পারে।
কিন্তু শুক্রাণু বের হবার একটাই পথ ও প্রক্রিয়া। তাই নির্দিষ্ট সময় পর শুক্রাণু নষ্ট হলে ছেলেদের ঘুমের মাঝে যৌনাঙ্গে উত্তেজনা আসে। এই উত্তেজনা মস্তিষ্ক নির্দেশে সৃষ্টি হয়। ফলে উত্তেজনার সাথে নষ্ট শুক্রাণু উৎক্ষিপ্ত হয়ে শিশ্ন দিয়ে বের হয়ে আসে। একে স্বপ্নদোষ বলা হয়।
অশিক্ষিত সমাজে আগের প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী একে বিশেষ রোগ বলা হত। এজন্য যারা জানেনা তারা একটু বেশি স্বপ্নদোষ ঘটলে চিন্তিত হয়ে পড়েন। নানা কবিরাজের কাছে যান, টোটকা চিকিৎসা নেন যা একেবারেই ঠিক নয়।
একজন সুস্থ্য সবল মানুষের জন্য স্বপ্নদোষ স্বাভাবিক ও আবশ্যক।
কারও স্বপ্নদোষ না হলেই বরং ধরা যেতে পারে যৌন সমস্যা রয়েছে। সম্ভবত শুক্রাণু তৈরি হয়না। তাই এরা পিতা হবার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হতে পারেন না।
যদিও বিবাহিতদের স্বপ্নদোষ খুব কম হয়। কেননা দাম্পত্য জীবনের জন্য শুক্রাণু ব্যবহার হয়ে যায়। অন্ডথলিতে নষ্ট হয়না বললেই চলে।