in যৌনশিক্ষা by
পেটের মধ্যে সন্তান কিভাবে জন্ম হয়?

2 Answers

0 votes
by
মেয়েলােকদের তলপেটের ডান পাশে সন্তান সৃষ্টি হবার একটি থলি আছে। তার আকার প্রায় মধ্যম রকমের লম্বা। লাউয়ের মতই- তবে কিছু বাকা। গর্ভ সঞ্চারের আগে সেটা ফুটবলের ব্লাডারের খালি চামড়াটার মত ‘বিজলী’ পানিতে ভরা থাকে। গর্ভ-থলির মুখখানি কেবল সরু, কিন্তু ভিতরের দিকটা খুব বড়। আর শামুকের ভিতরেও সেই রকম তিনটা পেঁচ বা থাক আছে। ঐ গর্ভ থলির মুখের সাথে যৌনিপথের এই তৃতীয় থাকটা লাগা ।

সঙ্গম কালে গর্ভ থলির মুখ খুলে যায়, তখন স্বামী-স্ত্রীর মণি একত্র হয়ে ঐ থলিতে গিয়ে পড়ে-তাতেই গর্ভ সঞ্চার হয়। কেউ-কেউ বলে স্বামীর মণি যৌনিপথের এই প্রথম থাকে পড়লে তাতে সন্তান হয় না পড়ে যায়। দ্বিতায় থাকে পড়লে তাতে প্রায়ই কন্যা সন্তান জন্মে, আর তৃতীয় থাকে পড়লে তাতে পুত্র-সন্তান হয়ে থাকে।

সঙ্গম করলেই যে গর্ভ হয়, তা নয়। সঙ্গমের পর স্বামী-স্ত্রীর মনি প্রায়ই পড়ে যায়। সহবাস কালে যদি স্বামীর পুরাে কামভাব আসে আর ৱাে সাধ মেটে, তাহলে স্বামীর মণি একেবারে গর্ভথলির মুখে যেয়ে পড়ে। তা প্রায়ই নিস্ফল হয় না- তাতেই নিখুঁত পুত্র-সন্তান জন্ম হয়া

মেয়েদের মাসিক হয়ে পবিত্র হয়ে গেলে, পর গর্ভথলিটি কেমন হয়?- যেমন সদ্য ফোটা ফুলটি। তখন সঙ্গম করলে গর্ভ হবার খুবই সম্ভাবনা থাকে। মাসিক থেকে পাক হলে সপ্তাহ দুই পর গভথলির মুখখানি ফুলের কলির মত কুঞ্চিত হয়ে বুজে থাকে। তখন সঙ্গম করলে সহজে গর্ভ হয় না। মাসিকের সময় সঙ্গম করা হারাম, মহাপাপ। করলেও তাতে গর্ভ হয় না। ঝরনার পানির উপর প্রসাব করে দিলে যেমন ভেসে যায়, হায়েয অবস্থায় সহবাস করলেও তেমনি হায়েযের খুনে স্বামীর মণি ভেসে বেরিয়ে যায়। এতে কখনই গর্ভ সঞ্চারণ হতে পারে না।

গভের চিহ্ন:-

গর্ভ হলে প্রথম মেয়েদের শরীর খুব দুর্বল লাগে, হাত পা যেন ভেঙ্গে পড়তে চায়। খেতে কিছুই ভাল লাগে না। খেয়েও যেন পেট ভরে না। মাছের গন্ধ, ভাতের গন্ধ, শুধু-শুধু বমি আসে। কোন। রােগ বলে বােধ হয় না। তবুও শরীর শুকিয়ে যায়। হায়েয বন্ধ হয়ে যায়। ক্রমে স্তনের বােটা কালাে হয়- স্তন খুব বড় ও উচু হয়ে ওঠে। তারপর তিন মাসের মধ্যে স্তন টনটনে মােটা আর পেট ভারি হয়ে উঠে। চার মাসের কালে ঢেকে ঢুকে খুব সামলিয়ে চললেও পেট উচু দেখা যায়। দূর থেকে অনেকেই উহা টের পেয়ে যায়।

স্তনে দুগ্ধের জন্মকথা:-

গর্ভ সঞ্চার হলে মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। সেই বন্ধ রক্তের কতক অংশ সর্বশরীরে ছড়িয়ে গর্ভবতীর শরীর হৃষ্টপুষ্ট দেখায়। আর কত রক্ত স্তনে গিয়ে ঘনীভূত হয়ে স্তন মােটা ও ভারী হয়, আর তাতে সন্তানের পানের জন্য ধীরে-ধীরে দুধ জন্মে।

খালি গর্ভ:-

ঋতুকালে অতি ঠাণ্ডা লাগালে,বরফ খেলে কিংবা অতিরিক্ত স্বামী সঙ্গম করলে অথবা অন্য কোন রােগ থাকলে, দুচার মাস পর্যন্ত ঋতু বন্ধ থাকে। তাতে পেটটি গর্ভের মতাে ভারী হয়। জরায়ুতে রক্ত জমে উদরী হলে কিংবা উদরে পানির সঞ্চার হলেও অনেকের পেট গর্ভের মত ভারি দেখা যায় এ কিন্তু গর্ভ নয়। এই কৃত্রিম গর্ভও প্রকৃত গর্ভের মত অনেক চিহ্ন দেখা যায়; যথা- ঋতু বন্ধ হয়, স্তনের বােটা কালাে হয়, রক্তের চাকা পেটের মধ্যে সন্তানের মত নাড়াচাড়া করে ইত্যাদি। কিন্তু উহা শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে থাকে।

গর্ভস্থ শিশুর দেহ কিরূপে গঠন হয়:-

গর্ভ সঞ্চার হলে প্রথমে মা, বাপের মনি গর্ভ-থলির মধ্যে একটি বিন্দুর মত ভাসতে থাকে। চল্লিশ দিনের মধ্যে ঐ মণি একটি রক্তের পিণ্ডের মত হয়। দুই চল্লিশ বা ৮০ দিনে এ রক্তের পিণ্ড মাংস হয়ে দেহ তৈরি হয়ে যায়। তিন চল্লিশ দিনে অর্থাৎ চার মাসে ঐ দেহে প্রাণ আসে। বাপের মণিতে সন্তানের হাড়, রগ, মণি, মজ্জা আর মায়ের মিণতে রক্ত, মাংস, চামড়া ও লােম পয়দা হয়। সঙ্গমের কালে মায়ের মণি আগে বেরুলে সন্তানের শরীরের রং হয় মায়ের মত-শরীরও নরম হয় মায়ের শরীরের মত। বাপের মণি আগে বেরুলে শিশুর দেহের বর্ণ হয় বাপের মত আর তেমনি একটু শক্ত হয়।

পুত্র কন্যার লক্ষণ:-

পুত্র সন্তান হলে মেয়েদের প্রায়ই ডান স্তনে আগে দুধ জন্মে, আর দুধ খুব ঘন হয়। গর্ভবতীর চলতে ফিরতে খুব বেশী কষ্ট মালুম হয়। চেহারা ধলা হয়ে উঠে এবং ডান উরু একটু বেশী ভারী-ভারী মনে হয়। মেয়ে সন্তান হলে, প্রায়ই এর উলটা নিশানা সকল দেখা যায়। আর মাথা ঘােরে, শরীর ভারি-ভারি লাগে, গা বমি-বমি করে, খেলে বমি আসে। মেয়ের প্রসব বেদনা অনেকক্ষণ থাকে। পুত্র প্রসব করতে বিলম্ব হয় না।
0 votes
by
মেয়েলােকদের তলপেটের ডান পাশে সন্তান সৃষ্টি হবার একটি থলি আছে। তার আকার প্রায় মধ্যম রকমের লম্বা। লাউয়ের মতই- তবে কিছু বাকা। গর্ভ সঞ্চারের আগে সেটা ফুটবলের ব্লাডারের খালি চামড়াটার মত ‘বিজলী’ পানিতে ভরা থাকে। গর্ভ-থলির মুখখানি কেবল সরু, কিন্তু ভিতরের দিকটা খুব বড়। আর শামুকের ভিতরেও সেই রকম তিনটা পেঁচ বা থাক আছে। ঐ গর্ভ থলির মুখের সাথে যৌনিপথের এই তৃতীয় থাকটা লাগা । সঙ্গম কালে গর্ভ থলির মুখ খুলে যায়, তখন স্বামী-স্ত্রীর মণি একত্র হয়ে ঐ থলিতে গিয়ে পড়ে-তাতেই গর্ভ সঞ্চার হয়। কেউ-কেউ বলে স্বামীর মণি যৌনিপথের এই প্রথম থাকে পড়লে তাতে সন্তান হয় না পড়ে যায়। দ্বিতায় থাকে পড়লে তাতে প্রায়ই কন্যা সন্তান জন্মে, আর তৃতীয় থাকে পড়লে তাতে পুত্র-সন্তান হয়ে থাকে। সঙ্গম করলেই যে গর্ভ হয়, তা নয়। সঙ্গমের পর স্বামী-স্ত্রীর মনি প্রায়ই পড়ে যায়। সহবাস কালে যদি স্বামীর পুরাে কামভাব আসে আর ৱাে সাধ মেটে, তাহলে স্বামীর মণি একেবারে গর্ভথলির মুখে যেয়ে পড়ে। তা প্রায়ই নিস্ফল হয় না- তাতেই নিখুঁত পুত্র-সন্তান জন্ম হয়া মেয়েদের মাসিক হয়ে পবিত্র হয়ে গেলে, পর গর্ভথলিটি কেমন হয়?- যেমন সদ্য ফোটা ফুলটি। তখন সঙ্গম করলে গর্ভ হবার খুবই সম্ভাবনা থাকে। মাসিক থেকে পাক হলে সপ্তাহ দুই পর গভথলির মুখখানি ফুলের কলির মত কুঞ্চিত হয়ে বুজে থাকে। তখন সঙ্গম করলে সহজে গর্ভ হয় না। মাসিকের সময় সঙ্গম করা হারাম, মহাপাপ। করলেও তাতে গর্ভ হয় না। ঝরনার পানির উপর প্রসাব করে দিলে যেমন ভেসে যায়, হায়েয অবস্থায় সহবাস করলেও তেমনি হায়েযের খুনে স্বামীর মণি ভেসে বেরিয়ে যায়। এতে কখনই গর্ভ সঞ্চারণ হতে পারে না। গভের চিহ্ন:- গর্ভ হলে প্রথম মেয়েদের শরীর খুব দুর্বল লাগে, হাত পা যেন ভেঙ্গে পড়তে চায়। খেতে কিছুই ভাল লাগে না। খেয়েও যেন পেট ভরে না। মাছের গন্ধ, ভাতের গন্ধ, শুধু-শুধু বমি আসে। কোন। রােগ বলে বােধ হয় না। তবুও শরীর শুকিয়ে যায়। হায়েয বন্ধ হয়ে যায়। ক্রমে স্তনের বােটা কালাে হয়- স্তন খুব বড় ও উচু হয়ে ওঠে। তারপর তিন মাসের মধ্যে স্তন টনটনে মােটা আর পেট ভারি হয়ে উঠে। চার মাসের কালে ঢেকে ঢুকে খুব সামলিয়ে চললেও পেট উচু দেখা যায়। দূর থেকে অনেকেই উহা টের পেয়ে যায়। স্তনে দুগ্ধের জন্মকথা:- গর্ভ সঞ্চার হলে মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। সেই বন্ধ রক্তের কতক অংশ সর্বশরীরে ছড়িয়ে গর্ভবতীর শরীর হৃষ্টপুষ্ট দেখায়। আর কত রক্ত স্তনে গিয়ে ঘনীভূত হয়ে স্তন মােটা ও ভারী হয়, আর তাতে সন্তানের পানের জন্য ধীরে-ধীরে দুধ জন্মে। খালি গর্ভ:- ঋতুকালে অতি ঠাণ্ডা লাগালে,বরফ খেলে কিংবা অতিরিক্ত স্বামী সঙ্গম করলে অথবা অন্য কোন রােগ থাকলে, দুচার মাস পর্যন্ত ঋতু বন্ধ থাকে। তাতে পেটটি গর্ভের মতাে ভারী হয়। জরায়ুতে রক্ত জমে উদরী হলে কিংবা উদরে পানির সঞ্চার হলেও অনেকের পেট গর্ভের মত ভারি দেখা যায় এ কিন্তু গর্ভ নয়। এই কৃত্রিম গর্ভও প্রকৃত গর্ভের মত অনেক চিহ্ন দেখা যায়; যথা- ঋতু বন্ধ হয়, স্তনের বােটা কালাে হয়, রক্তের চাকা পেটের মধ্যে সন্তানের মত নাড়াচাড়া করে ইত্যাদি। কিন্তু উহা শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে থাকে। গর্ভস্থ শিশুর দেহ কিরূপে গঠন হয়:- গর্ভ সঞ্চার হলে প্রথমে মা, বাপের মনি গর্ভ-থলির মধ্যে একটি বিন্দুর মত ভাসতে থাকে। চল্লিশ দিনের মধ্যে ঐ মণি একটি রক্তের পিণ্ডের মত হয়। দুই চল্লিশ বা ৮০ দিনে এ রক্তের পিণ্ড মাংস হয়ে দেহ তৈরি হয়ে যায়। তিন চল্লিশ দিনে অর্থাৎ চার মাসে ঐ দেহে প্রাণ আসে। বাপের মণিতে সন্তানের হাড়, রগ, মণি, মজ্জা আর মায়ের মিণতে রক্ত, মাংস, চামড়া ও লােম পয়দা হয়। সঙ্গমের কালে মায়ের মণি আগে বেরুলে সন্তানের শরীরের রং হয় মায়ের মত-শরীরও নরম হয় মায়ের শরীরের মত। বাপের মণি আগে বেরুলে শিশুর দেহের বর্ণ হয় বাপের মত আর তেমনি একটু শক্ত হয়। পুত্র কন্যার লক্ষণ:- পুত্র সন্তান হলে মেয়েদের প্রায়ই ডান স্তনে আগে দুধ জন্মে, আর দুধ খুব ঘন হয়। গর্ভবতীর চলতে ফিরতে খুব বেশী কষ্ট মালুম হয়। চেহারা ধলা হয়ে উঠে এবং ডান উরু একটু বেশী ভারী-ভারী মনে হয়। মেয়ে সন্তান হলে, প্রায়ই এর উলটা নিশানা সকল দেখা যায়। আর মাথা ঘােরে, শরীর ভারি-ভারি লাগে, গা বমি-বমি করে, খেলে বমি আসে। মেয়ের প্রসব বেদনা অনেকক্ষণ থাকে। পুত্র প্রসব

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...