কেমন স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করলে কেমন ফল হয়
নারী শুধু নিজের স্বার্থের দিকে চাইলে মনুষ্যত্বের হানি হয়, তাই পুরুষের স্বার্থের কথাও কিছু না বলে পারছি না।
তরুণী দেখলে, তার সঙ্গে থাকলে, বুড়াে স্বামীও তরুণ হয়ে উঠে তরুণীর সহবাসে স্বামীর গায়ের বল, মনের বল সবই বাড়ে। যুবতীর সাধ মিটানাে সহজ নয়। তাকে বুঝ দিয়ে কুল পাও দায়। তাই যুবতীর স্বামী অনেক সময় শক্তি বল হারিয়ে আধ হয়ে পড়ে। কিন্তু কয়টা দিন রয়ে সয়ে মধ্যে-মধ্যে বাদ দিয়ে সঙ্গম করলে আর কোন ভয় নেই। বরং নিজের শক্তি-বল বুঝে যুবতীর সঙ্গে সহবাস করলে বুড়াে স্বামীও যােয়ান হয়। বুড়ির সঙ্গে সহবাস করলে জোয়ান স্বামীও অসময়ে বুড়াে হয়ে যায়। শরীর তার নেহাত দুর্বল হয়। পাকা বুড়ির সঙ্গে সহবাস করতে গেলে তরুণ স্বামীকেও হঠাৎ বুড়াে রােগে ধরে বসে; আর তাকে বুড়াে না করে ছাড়ে না। তাই বাধ্য হয়ে তাকে বলহীন, শক্তিহীন, স্ফূর্তিহীন ও নির্জীব হতে হয়। যৌবন কালেই যৌবন হারায়ে কবরের পথে পা বাড়ায়।
প্রশ্ন:- আচ্ছা, যদি এমনি গরমিল হয়ে পড়েযে, যদি হাতীর খােরাক মশাকে যােগাতে হয়, তবে উপায় কি? অর্থাৎ নারী সবল এবং পুরুষ দুর্বল হয়, তখন কি করতে হবে?
উত্তর:- যুবকই হােক, আর বুড়ােই হােক, কিংবা বিধবাই হােক, স্বামী-স্ত্রী দু’জন সমান হও খুবই দরকার। নইলে কোনাে মতেই সুখ নেই, শান্তি নেই, স্বামী স্ত্রী দুয়ে মিলে হয় একটা ঘর। এর দুটা অংশ। (দুটা মন) দু\'রকমের হলে সংসারে সুখ-শান্তি আসতে পারে না। তবে কপাল দোষে বুড়াে-জোয়ানে বিয়ে হয়ে পড়লে এই নিয়ম পালন করতে হবে। তাতে উভয় দিক রক্ষা হবে। যথা-
তরুণীর সঙ্গে বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য ও ভাদ্র, আশ্বিনে,\10 যুবতীর সঙ্গে পৌষ মাসে,বুড়ির সঙ্গে আষাঢ়, শ্রাবণ, ফাল্গুন ও চৈত্রে,সহবাস কর- সব দিক বজায় থাকবে।
আর বুড়ির সঙ্গে খায়েশ হলে দু’চার মাসে একবার মাত্র সহবাস করবে। এই নিয়ম পালন করলে শরীরের কোন ক্ষতি হবে না। যে স্ত্রীকে দেখতে ভাল লাগে না, পছন্দ হয় না, তার সঙ্গে সহবাস করলে আস্তে-আস্তে ধাতু ক্ষীণ হয়ে অসময়ে যৌবন হারাতে হয় এবং তা যে স্বামীকে দেখলে খায়েশ বা ভক্তি জন্মে না, তার সহবাসে সাধ মেটে না, বরং শরীর দুর্বল হয়, সােনার তনু ছাই হয়ে যায়, সংসারে শান্তি থাকে না। আর যার জন্য পরাণ কাঁদে যাকে না দেখলে পরাণ ফেটে যায়, সে ছাড়া যদি অন্যের সঙ্গে বিয়ে হয়, তবে তার সহবাসেও ধাতু ক্ষীণ হয়, মনটা স্ফুর্তিহীন ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
বিয়ের আগে যার সঙ্গে প্রণয় হয়, তার সঙ্গে বিয়ে হলে- আশেক মাশুকের মিলন হলে তাদের সংসারে সুখ বাসা বাধে । মন মাতােয়ারা হয়, দুঃখ-তাপ দূরে যায়। মনােমত স্বামী পেলে মনে যে কত আনন্দ হয়, আর সংসারে যে কত সুখ পাওয়া যায়, তা লিখে বা মুখে বর্ণনা করে বুঝান দায় । সে শুধু উপভােগের বস্তু ও উপলদ্ধি করার বিষয়।
আর যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা নেই, দু’জনার মন দু’রকমঝগড়া, বিবাদ ও মনকষাকষিতে দিন কাটে, তাদের সংসার হয় যেন দোযখ । মােট কথা, সহবাস জিনিসটা মনের আনন্দের জিনিস। মনে আনন্দ না থাকলে সহবাস ভাল লাগে না। তাতে শরীর ও মনের কোন উপকার হয় না, বরং অপকার হয়।
প্রশ্ন:- আপনার কথায় বুঝা যায় যে, মেয়েদের কালাে হওয়া বড় দোষের কথা। কারণ, কাল হলে কেউ আর সে স্ত্রী গ্রহণ করতে চায় না। কালােকে নিয়ে ঘর সংসার করে কেউ সুখ পায় না- মনের সাধও মেটে না।
উত্তর:- এ তােমার ভুল ধারণা। তােমার রং কিন্বা চামড়া কালাে বা সুন্দর, সে কথা আমি বলছি না; আমি বলছি মন সুন্দরের কথা। মন যাকে পছন্দ করে, সেই সুন্দর তার সঙ্গে মিলন হই সুখ হয়। কারণ যে যাকে ভালবাসে সে তাকে সুন্দর দেখে।