জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক একবার মেক্সিকোর কাম্পেচেতে মায়া সভ্যতার শহর উক্সুলে খননে ব্যস্ত ছিলেন। খুঁড়তে খুঁড়তেই হঠাৎ তারা এমন এক জায়গার সন্ধান পেয়ে যান, যা ছিলো পিলে চমকে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। তারা মনুষ্যনির্মিত একটি গুহার সন্ধান পেয়ে যান যা এককালে জলাধার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সেই গুহার ভেতরে তারা ২৪টি কঙ্কাল খুঁজে পান, সবই ছিলো মানুষের। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, সবগুলো কঙ্কালেরই মূল দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা ছিলো। অর্থাৎ শিরশ্ছেদের মাধ্যমে তাদের হত্যা করা হয়েছিলো। সেই সাথে মৃত্যুর পর তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোও কেটে এদিক-সেদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিয়েছিলো মায়া সভ্যতার সেই লোকেরা! সারা গুহা জুড়েই ছড়ানো ছিলো সেসব হাড়গোড়। অনেকগুলো কঙ্কালের মাথা আর মূল শরীর কাছাকাছি ছিলো না। কিছু কিছু কঙ্কালের আবার মাথা আর চোয়াল আলাদা হয়ে গিয়েছিলো। মৃত্যুর সময় নিহতদের বয়স ছিলো ১৮-৪২ বছরের মাঝে। ২৪ জনের মাঝে ২ জন ছিলো নারী ও ১৩ জন পুরুষ। বাকিদের লিঙ্গ নির্ণয় করা সম্ভব হয় নি। 9