মাসিকচক্র ব্যবস্থাপনা মাসিকের সময়ে রক্ত যাতে বাইরে গড়িয়ে না পড়ে সেজন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন বা প্যাড, পরিষ্কার কাপড় বা তুলা ব্যবহার করতে হয়। এগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে কয়েকবার বদলাতে হয়। এছাড়া নানা মাপের জাংগিয়া বা প্যান্টি পাওয়া যায়। কাপড় বা তুলার সাথে এগুলো ব্যবহার করা যায়। এসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে, যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখতে হবে। পরিচ্ছন্ন শুকনা কাপড় পরতে হবে, তা না হলে একই কাপড় যদি বারবার ব্যবহার করা হয় তবে সেগুলো সাবান দিয়ে ধুয়ে রোদে বাতাসে শুকাতে হবে। মাসিক চলাকালীন সময়ে নিয়মিত গোসল করতে হবে, পরিষ্কার জামা-কাপড় পরতে হবে, পুষ্টিকর সব ধরনের খাবার খেতে হবে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে হবে।মাসিকের সময় বেশি-বেশি পুষ্টিকর খাবার বিশেষ করে, আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তা না হলে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। লেবু, কমলা, তেঁতুল, আমলকি, জলপাই ইত্যাদি টক জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরে আয়রন-এর শ্বসন ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। কোনো খাবারই মাসিকের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে না। কৈশর বয়স শরীর গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। আর শরীর গঠনে সাহায্য করে পরিমাণমত সুষম ও পুষ্টিকর খাবার। সুতরাং এ বয়সে বিশেষ করে মাসিকের কারণে কোনো খাবার বেছে খাওয়া বা বাদ দেয়া উচিত নয়। মাসিক কেন হয় শুধু এটা জেনে বসে থাকলেই হবেনা মাসিকের সময় অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। মাসিকের সময় কারো-কারো কোমরে বা পেটে অল্প-অল্প ব্যথা হতে পারে। শরীরের এক বিশেষ হরমোনের জন্য মাসিকের সময় জরায়ুর সংকোচন (ছোট হওয়া) ও প্রসারণ (বড় হওয়া) ঘটে। ফলে তলপেটে বা কোমরে ব্যথা অনুভূত হয়। তাছাড়া প্রথম-প্রথম মাসিক হলে মেয়েরা অস্বস্তিতে ভুগতে পারে। এ সময় বিশ্রাম, হালকা ব্যায়াম বা গরম সেক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তবে স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজকর্ম চালিয়ে যেতে কোনো অসুবিধা হলে, বেশি ব্যথা হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে। আশা করি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন মাসিক কেন হয় ।