in ধর্ম ও আধ্যাত্মিক বিষয় by
বনু মুছত্বালিক্ব যুদ্ধ সম্পর্কে কিছু লিখ?

1 Answer

0 votes
by
 
Best answer
৬ষ্ঠ হিজরীর ৩রা শা‘বান) মদীনা থেকে একদিনের পথের দূরত্বে অবস্থিত (যাদুল মা‘আদ ৩/২২৯ টীকা-২) মুরাইসী‘ নামক ঝর্ণাধারার নিকট উপনীত হওয়ার পর উভয় পক্ষে যুদ্ধ শুরু হয়। মুসলমানগণ সহজে বিজয় অর্জন করেন। কাফের পক্ষের ১০ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়। মুসলিম পক্ষে একজন নিহত হন। জনৈক আনছার তাকে শত্রু ভেবে ভুলক্রমে হত্যা করেন। গোত্রনেতা হারেছ কন্যা জুওয়াইরিয়া (جُوَيْرِيَة)-এর সঙ্গে রাসূল (সাঃ)-এর বিবাহ হয়। ফলে শ্বশুর গোত্রের লোক হওয়ায় বিজিত দলের একশ’ পরিবারকে মুক্তি দিলে তারা সবাই ইসলাম কবুল করে। ওহুদ যুদ্ধের পর সর্বপ্রথম মুনাফিকদের একটি দলকে এই সময় রাসূল (সাঃ)-এর সাথে যুদ্ধে যাবার অনুমতি দেওয়া হয় এবং তারা যথারীতি মুনাফেকী করে। যুদ্ধ হতে ফেরার পথে ইফকের ঘটনা ঘটে এবং এদেরই চক্রান্তে তাতে নানা ডালপালা বিস্তার করে। এই সময় সূরা মুনাফিকূন নাযিল হয় এবং পরে হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর পবিত্রতা বর্ণনায় সূরা নূর ১১-২০ পর্যন্ত ১০টি আয়াত নাযিল হয়।[ইবনু হিশাম ২/২৯৭; যাদুল মা‘আদ ৩/২৩৭] বিস্তারিত বিবরণ নিম্নরূপ।- যুদ্ধের কারণ : ━━━━━━━━ মদীনায় এ মর্মে খবর পৌঁছে যে, বনু মুছত্বালিক্ব গোত্রের সর্দার হারেছ বিন আবু যিরার(الحارث بنُ أبي ضِرَار) রাসূল (সাঃ)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য নিজ গোত্র এবং সমমনা অন্যান্য আরব বেদুঈনদের সাথে নিয়ে মদীনা অভিমুখে যাত্রা করেছেন। বুরাইদা আসলামীকে পাঠিয়ে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) উক্ত খবরের সত্যতা যাচাই করলেন। তিনি সরাসরি গোত্রনেতা হারেছ-এর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে রাসূল (সাঃ)-কে উক্ত বিষয়ে অবহিত করেন। অতঃপর আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ৩রা শা‘বান তারিখে মদীনা হতে সসৈন্যে রওয়ানা হন। সৈন্যসংখ্যা সম্পর্কে কোন তথ্য জানা যায়নি। তবে ওহুদ যুদ্ধ থেকে পিছু হটার পর এ যুদ্ধেই প্রথম মুনাফিকদের একটি দল রাসূল (সাঃ)-এর সঙ্গে যুদ্ধে গমন করে। এ সময় মদীনার দায়িত্ব যায়েদ বিন হারেছাহ অথবা আবু যার গেফারী অথবা নামীলাহ বিন আব্দুল্লাহ লায়ছীর উপরে অর্পণ করা হয়। যাত্রা পথে গোত্রনেতা হারেছ প্রেরিত একজন গুপ্তচর আটক হয় ও নিহত হয়। এ খবর জানতে পেরে হারেছ বাহিনীতে আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং তার সঙ্গে থাকা আরব বেদুঈনরা সব পালিয়ে যায়। ফলে বনু মুছত্বালিকের সাথে কুদাইদ(قُدَيْد) এর সন্নিকটে সাগর তীরবর্তী মুরাইসী‘ নামক ঝর্ণার পার্শ্বে মুকাবিলা হয় এবং তাতে সহজ বিজয় অর্জিত হয়। উক্ত যুদ্ধ সম্পর্কে জীবনীকারগণের বক্তব্য উক্ত রূপ। তবে হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম বলেন যে, উক্ত বর্ণনা ভ্রমাত্মক (وَهْمٌ)। কেননা প্রকৃত প্রস্তাবে বনু মুছত্বালিকের সাথে মুসলিম বাহিনীর কোন যুদ্ধই হয়নি। বরং মুসলিম বাহিনী তাদের উপরে আকস্মিক হামলা চালালে তারা সব পালিয়ে যায় ও তাদের নারী-শিশুসহ বহু লোক বন্দী হয়।[যাদুল মা‘আদ ৩/২৩০-৩১; বুখারী হা/২৫৪১] বনদীদের মধ্যে গোত্রনেতা হারেছ বিন যিরারের কন্যা জুওয়াইরিয়া (جُوَيْرِيَةُ) ছিলেন। যিনি সাবেত বিন ক্বায়েস-এর ভাগে পড়েন। সাবেত তাকে ‘মুকাতিব’ হিসাবে চুক্তিবদ্ধ করেন। মুকাতিব ঐ দাস বা দাসীকে বলা হত, যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ স্বীয় মনিবকে দেয়ার শর্তে চুক্তি সম্পাদন করে এবং উক্ত অর্থ পরিশোধ করার পর সে স্বাধীন হয়ে যায়। নবী করীম (সাঃ) তার পক্ষ থেকে চুক্তি পরিমাণ অর্থ প্রদান পূর্বক তাকে মুক্ত করেন এবং গোত্র নেতার কন্যা হিসাবে তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেন। এই বিবাহের ফলশ্রুতিতে মুসলমানগণ বনু মুছত্বালিক গোত্রের বন্দী একশত পরিবারের সবাইকে মুক্ত করে দেন এবং তারা সবাই মুসলমান হয়ে যায়। এর ফলে তারা ‘রাসূল (সাঃ)-এর শ্বশুর গোত্রের লোক’(أَصْهَارُ رَسُولِ اللهِ) বলে পরিচিতি পায়’ (আবুদাঊদ হা/৩৯৩১, সনদ হাসান)। মুনাফিকদের অপতৎপরতা : ━━━━━━━━━━━━━━━━━ বদর, ওহুদ, খন্দক প্রভৃতি যুদ্ধের এবং সর্বোপরি মুনাফিকদের সবচেয়ে বড় সহযোগী ইহূদী গোত্রগুলিকে মদীনা থেকে বিতাড়নের পর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হয়ত ভেবেছিলেন যে, মুনাফিকদের স্বভাবে এখন পরিবর্তন আসবে। কিন্তু কারু অন্তরে একবার কপটতা দানা বাঁধলে তা থেকে নিস্তার পাওয়া যে নিতান্তই অবাস্তব ব্যাপার, মুনাফিকদের আচরণে আবারো তা প্রমাণিত হল। বনু মুছত্বালিক্ব যুদ্ধে এসে মুনাফিকদের স্বভাবে কোন পরিবর্তন

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...