in ধর্ম ও আধ্যাত্মিক বিষয় by
ওহুদ যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ সম্পর্কে লিখ?

1 Answer

0 votes
by
 
Best answer
ক) কুরায়েশ বাহিনীর পতাকাবাহী বনু ‘আব্দিদ্দার-এর নিহত ১০জন পতাকাবাহীর প্রথম ৬ জনের সকলেই ছিল আব্দুল্লাহ বিন উসমান ইবনু ‘আব্দিদ্দারের পুত্র অথবা পৌত্র। (খ) কুরায়েশ তীরন্দায বাহিনীর অধিনায়ক ছিল বদর যুদ্ধে নিহত উৎবাহর ভাই আব্দুল্লাহ বিন রাবী‘আহ। (গ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর উপরে সরাসরি আঘাতকারী তিনজন কাফের সৈন্যের দ্বিতীয় জন ছিল আব্দুল্লাহ ইবনে শিহাব যুহরী, যার আঘাতে রাসূল (সাঃ)-এর ললাট রক্তাক্ত হয়। ইনি ছিলেন পরবর্তীকালে বিখ্যাত তাবেঈ মুহাম্মাদ ইবনে শিহাব যুহরী (৫০-১২৪ হি.)-এর দাদা (আল-ইছাবাহ, ক্রমিক ৪৭৫৫)। তৃতীয় জন ছিল আব্দুল্লাহ বিন ক্বামিআহ লায়ছী, যার আঘাতে শিরস্ত্রাণের দু’টি কড়া রাসূল (সাঃ)-এর চোখের নীচে হাঁড়ের মধ্যে ঢুকে যায়। শেষোক্ত ব্যক্তি একই সময়ে মুহাজিরগণের পতাকাবাহী মুছ‘আব বিন ওমায়েরকে হত্যা করে এবং চেহারায় মিল থাকার কারণে তাকেই রাসূল ভেবে ‘মুহাম্মাদ নিহত হয়েছেন’ বলে সে সর্বত্র রটিয়ে দেয়। মুছ‘আব শহীদ হওয়ার পরে রাসূল (সাঃ) যুদ্ধের পতাকা হযরত আলী (রাঃ)-এর হাতে অর্পণ করেন। (ঘ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন তাঁর সৈন্যদের শিবিরে ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন, তখন তাঁর উপরে হামলাকারী প্রথম কাফের সৈন্যটির নাম ছিল উসমান বিন আব্দুল্লাহ বিন মুগীরাহ। দ্বিতীয় কাফির সৈন্যটির নাম ছিল আব্দুল্লাহ বিন জাবের। প্রথমজন হারেছ ইবনুছ ছিম্মাহর আঘাতে এবং দ্বিতীয় জন আবু দুজানার হাতে নিহত হয়। এইসব আব্দুল্লাহগণ আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও এরা আল্লাহর বিধান মানতে ও রিসালাত-এর উপরে ঈমান আনতে রাজি ছিল না। এক কথায় তারা তাওহীদে রুবূরিয়াতে বিশ্বাসী ছিল। কিন্তু তওহীদে ইবাদতে বিশ্বাসী ছিল না। মুমিন হওয়ার জন্য যা অপরিহার্য শর্ত। এ যুগেও এমন আব্দুল্লাহদের অভাব নেই। ২. পিতা ও পুত্র পরস্পরের বিপক্ষে : ━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━ হিজরতের পূর্বে মদীনার আউস গোত্রের সর্দার ও ধর্মযাজক ছিলেন আবু ‘আমের আর-রাহেব’। হিজরতের পরে তিনি মক্কায় চলে যান এবং কুরায়েশদের পক্ষে ওহুদ যুদ্ধে যোগদান করেন। সেজন্য রাসূল (সাঃ) তার লকব দেন আবু ‘আমের আল-ফাসেক্ব’। পক্ষান্তরে তার পুত্র ‘হানযালা’ ছিলেন মুসলিম বাহিনীর সেই তরুণ সৈন্য যিনি সবেমাত্র বিয়ে করে বাসর যাপন করছিলেন। অতঃপর যুদ্ধের ঘোষণা শুনেই নাপাক অবস্থায় ময়দানে চলে আসেন এবং ভীষণ তেজে যুদ্ধ করে শহীদ হন। ফেরেশতাগণ তাকে গোসল দেন। এজন্য তাঁকে ‘গাসীলুল মালায়েকাহ’ বলা হয়’।[ইবনু হিশাম ২/৭৫; যাদুল মা‘আদ ৩/১৭২; আর-রাহীক্ব ২৮১ পৃঃ] ৩. দুই ভাই পরস্পরের বিপক্ষে : ━━━━━━━━━━━━━━━━━━━ ওহুদ যুদ্ধে রাসূল (সাঃ)-এর উপরে হামলাকারী তিন জনের প্রথম জন ছিল উৎবাহ বিন আবু ওয়াকক্বাছ। তার নিক্ষিপ্ত পাথরের আঘাতেই রাসূল (সাঃ)-এর ডান দিকের নীচের রুবাঈ দাঁত ভেঙ্গে যায়। এই উৎবাহর ভাই ছিলেন ‘ইসলামে প্রথম রক্ত প্রবাহিতকারী’ এবং মুসলিম বাহিনীর খ্যাতনামা বীর ও পরবর্তীকালে ইরাক বিজেতা সেনাপতি হযরত সা‘দ বিন আবু ওয়াকক্বাছ (রাঃ)। ৪. ওহুদ যুদ্ধে কুরায়েশ মহিলাদের তৎপরতা : ━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━ (ক) কুরায়েশ পক্ষে প্রধান সেনাপতি আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দ বিনতে উৎবাহ ১৫ জনের মহিলা দলের নেতৃত্ব দেন। তারা নেচে গেয়ে তাদের সৈন্যদের উত্তেজিত করেন। যুদ্ধে আবু দুজানার তরবারির হাত থেকে হিন্দা বেঁচে যান তার হায় হায় শব্দে তাকে নারী হিসাবে চিনতে পারার কারণে।[ইবনু হিশাম ২/৬৯; আর-রাহীক্ব ২৬১ পৃঃ] (খ) পলায়নপর কুরায়েশ বাহিনী যখন পুনরায় অরক্ষিত গিরিপথ দিয়ে ময়দানে আবির্ভূত হয়, তখন কুরায়েশ বাহিনীর ভূলুণ্ঠিত যুদ্ধ পতাকা ‘আমরাহ বিনতে ‘আলক্বামাহ নাম্মী এক কুরায়েশ মহিলা অসীম বীরত্বের সাথে দ্রুত উঁচু করে তুলে ধরেন। যা দেখে বিক্ষিপ্ত ও ভীত-সন্ত্রস্ত কুরায়েশ বাহিনী পুনরায় যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে আসে ও গণীমত কুড়ানোয় ব্যস্ত মুসলিম বাহিনীকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে’ (আর-রাহীক্ব ২৬৪ পৃঃ)। ৫. ওহুদ যুদ্ধে মুসলিম মহিলাদের ভূমিকা :

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...