বানী কুরাইযা ও বানী গাতফা ছিল মদিনার দুইটি ইহুদি গোত্র, যারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং বিশ্বাসঘাতকতার জন্য পরিচিত। তারা বানী নাধিরের সাহায্যে আসার কিছু কারণ ছিল:
১. সাধারণ শত্রুতা:
মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের সাধারণ শত্রুতার কারণে বানী নাধির, বানী কুরাইযা ও বানী গাতফার মধ্যে একটি স্বার্থপর জোট গঠন হয়েছিল। তারা মনে করেছিল যে, ইসলামের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারা তাদের শত্রুকে পরাজিত করতে সক্ষম হবে।
২. প্রত্যক্ষ সহযোগিতা:
বানী নাধিরকে যখন মদিনা থেকে বের করে দেওয়া হয়, তখন তারা বানী কুরাইযা ও বানী গাতফার কাছে সাহায্যের জন্য আসে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মুসলিমদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হওয়া এবং মদিনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা।
৩. সুবিধা নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা:
বানী কুরাইযা ও বানী গাতফার নেতারা ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে এবং মদিনায় তাদের প্রভাব বজায় রাখতে চেয়েছিল। তারা আশা করেছিল যে বানী নাধিরের সাহায্যে তারা মুসলিমদের ওপর নতুন আক্রমণ চালাতে সক্ষম হবে।
৪. আগের অভিজ্ঞতা:
বানী নাধির ছিল একটি অভিজ্ঞ ও শক্তিশালী গোত্র। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বানী কুরাইযা ও বানী গাতফা আশাবাদী ছিল যে, তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে।
এই কারণে, বানী কুরাইযা ও বানী গাতফা বানী নাধিরকে সাহায্য করতে এসেছিল এবং তারা মদিনায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। তবে, নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী এই ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করে সফলভাবে তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে।