রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওমরা পালনের সময় তাঁর চাচা আব্বাস (রা.) তাঁকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দেন, যা বিশেষত কুরাইশদের সাথে সম্পর্কিত ছিল। এই ঘটনা ৬১২ খ্রিস্টাব্দের দিকে, যখন রাসূল (সা.) মক্কায় ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে সফর করেন এবং কুরাইশরা তাদের প্রবেশে বাধা দেয়।
আব্বাস (রা.)-এর প্রস্তাব:
1. সুরক্ষা ও নিরাপত্তা:
আব্বাস (রা.) রাসূল (সা.)-কে জানিয়ে দেন যে কুরাইশরা তাঁর আগমন নিয়ে চিন্তিত এবং তাঁকে মক্কায় ঢুকতে দেবে না। তিনি রাসূলকে উপদেশ দেন যে, তিনি যেন তাদের সাথে আলোচনার চেষ্টা করেন এবং নিরাপত্তার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেন।
2. প্রস্তাবিত আলোচনা:
আব্বাস (রা.) রাসূল (সা.)-কে বলেন যে, কুরাইশদের কিছু নেতার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা যেতে পারে। এতে ইসলাম ও মুসলিমদের সম্মান বজায় থাকবে এবং কোনো সংঘর্ষ এড়ানো যাবে।
3. নিজের পরিচয় ব্যবহার:
আব্বাস (রা.) রাসূল (সা.)-কে বলেন যে, তাঁর অবস্থান ও মর্যাদা ব্যবহার করে কুরাইশদের সঙ্গে কথা বললে হয়তো তারা তাঁকে সম্মান দেখাবে এবং মক্কায় প্রবেশের অনুমতি দেবে। তিনি নিজেও কুরাইশদের একজন সদস্য হিসেবে রাসূল (সা.)-এর পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত ছিলেন।
ফলস্বরূপ:
আব্বাস (রা.)-এর এই প্রস্তাবের পর, রাসূল (সা.) তাঁর সফর অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন এবং কুরাইশদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত, হুদাইবিয়ার সন্ধি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা মুসলিমদের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে মক্কায় প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে।
আব্বাস (রা.)-এর এই সহযোগিতা এবং পরামর্শ মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এটি ইসলামের প্রচারের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।