মদিনায় ফিরে এসে আয়েশা (রা) প্রথমে একটি গভীর মানসিক সংকটের মধ্যে পড়েন, কারণ তার বিরুদ্ধে গুজব রটানো হয়েছিল। তিনি অনেক দিন ধরে অত্যন্ত দুঃখ ও শোকের মধ্যে ছিলেন এবং তার পরিবার এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
এ ঘটনার পর, আল্লাহ তাআলা আয়েশা (রা)-এর পক্ষে সূরা আনুরের মাধ্যমে একটি বিশেষ ওহী নাজিল করেন, যা তার নির্দোষতা প্রমাণ করে এবং অপবাদকারীদের কঠোর শাস্তির ঘোষণা করে। এই ওহীর ফলে আয়েশা (রা) কিছুটা স্বস্তি পান এবং আল্লাহর প্রতি তার বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়।
এরপর, তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের ধৈর্য, সহানুভূতি ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেন। তিনি এই ঘটনার পর শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং ইসলামের প্রচার ও সমাজে মহিলাদের অধিকার নিয়ে আরও সচেতনতা ছড়িয়ে দেন।
আয়েশা (রা) পরবর্তীতে ইসলামের একজন গুরুত্বপূর্ণ স্কলার ও শিক্ষিকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন এবং ইসলামী হাদিসের অনেক অংশের সূত্র হিসেবে পরিচিত হন।