in সাধারণ জিজ্ঞাসা by
কমলার পুষ্টিগুণ: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: কমলা আপনার প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করে। একই সঙ্গে এ ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান। এ পুষ্টি উপাদানসমূহ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ছোটবড় নানা ব্যাধি ও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। ত্বকের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকও দ্রুত বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। ভিটামিন সি ছাড়াও কমলায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমূহ ত্বককে সতেজ ও সজীব রাখতে সাহায্য করে। বার্ধক্যেও ত্বককে অনেকটাই মসৃণ রাখে, সহজে বলিরেখা পড়ে না। কারণ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিস সি ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে বহু বছর। হার্ট সুস্থ রাখে: কমলায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান যা হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ উপাদানগুলো শরীরে সোডিয়ামের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কমলার চর্বিহীণ আঁশ, সোডিয়াম মুক্ত এবং কোলেস্টেরল মুক্ত উপাদানগুলো হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে। শর্করা নিয়ন্ত্রণ: কমলার খোসায় চিনির পরিমাণ নেই বললেই চলে, তাই এটা রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলে। ডায়াবেটিস ও মেটাবলিক সিন্ড্রম রোগীদের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রেণ রাখতে হয়। তাই কমলার পুষ্টিগুণ ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারী। ওষুধ শোষণ: শরীরে ওষুধ গ্রহণে সাহায্য করে কমলা। এই ফলের রস ওষুধের বায়োকেমিক্যাল ও সাইকলজিকাল প্রভাব শরীরে গ্রহণের মাধ্যমে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে: কমলা ‘ক্যালরি ফ্রি’ ফল হিসেবে পরিচিত, আর এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই কমলার পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। মানুষের জন্য অত্যাবশ্যক পুষ্টি যেমন থিয়ামাইন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি সিক্স, ম্যাগনেশিয়াম এবং কপার রয়েছে কমলায়। ১. কমলা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। ২. কমলায় ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে থাকায় “রাতকানা” রোগ নিরাময়ে কমলা বেশ উপযোগী। ৩. কমলা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। ৪. কমলায় থাকা আলফা ও বিটা ক্যারোটিনের মত ফ্ল্যাভনয়েড ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ৫. কমলা দাঁতের ক্যাভিটি রোধ করতে সাহায্য করে। ৬.কমলার চর্বিহীন আঁশ, সোডিয়াম ও কোলেস্টেরল মুক্ত উপাদান গুলি হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে। কমলার ঔষধি গুণাগুন: ১. কমলা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বর্তমানে বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কমলা অন্যতম একটি পছন্দের খাবারের চাহিদায় থাকছে। ২.ছোটবড় নানারকম চর্মরোগ ব্যাধি ও সংক্রমণ থেকে কমলা সুরক্ষা দেয়। ৩.ভিটামিন সি এর অভাবে মুখে সৃষ্ট ঘা নিরাময়ে ভিটামিন সি এর আধার কমলার ব্যবহার অত্যন্ত উপযোগী। ৪.কমলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ৫.কমলার বিটা ক্যারোটিন কোষের অবাঞ্ছিত ধ্বংস বন্ধ করে। ৬.কমলায় উপস্থিত ক্যালসিয়াম দেহের হাড় ও দাঁতের বৃদ্ধিতে ও ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। ৭. কমলা হজমশক্তি বাড়ায়। ৮. সর্দিকাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তশূন্যতা সারাতে কমলা ভূমিকা রাখে। এছাড়াও কমলা রমণীদের রুপচর্চাতেও অন্যতম ভূমিকা পালন করে। কমলার খোসাও ফেলে দেয়ার নয়। কমলার খোসায় থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়াতে ও ত্বককে সজীব রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের বলিরেখা দূর করে। এছাড়াও ত্বকের ব্রণের সমস্যা ও ত্বকের কালো দাগ কমলা দূর করে। কমলায় পুষ্টি উপাদান: ১০০ গ্রাম কমলায় রয়েছে- ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম। প্রতিদিন যতটুকু ভিটামিন সি প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই একটি কমলা থেকে সরবরাহ হতে পারে। কমলায় আছে শক্তি সরবরাহকারী চর্বিমুক্ত ৮০ ক্যালোরি, যা শক্তির ধাপগুলোর জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। কমলায় আছে প্রচুর ভিটামিন-সি, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক, স্বাস্থ্যকর, রক্ত প্রস্ততকারক এবং ক্ষত আরোগ্যকারী হিসেবে খুবই উপকারী। কমলা -বি- ভিটামিন ফোলেটের খুব ভালো উৎস, যা জন্মগত ত্রুটি এবং হৃদরোগের জন্য ভালো কাজ করে।

2 Answers

0 votes
by
কমলার পুষ্টিগুণ: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: কমলা আপনার প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করে। একই সঙ্গে এ ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান। এ পুষ্টি উপাদানসমূহ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ছোটবড় নানা ব্যাধি ও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। ত্বকের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকও দ্রুত বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। ভিটামিন সি ছাড়াও কমলায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমূহ ত্বককে সতেজ ও সজীব রাখতে সাহায্য করে। বার্ধক্যেও ত্বককে অনেকটাই মসৃণ রাখে, সহজে বলিরেখা পড়ে না। কারণ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিস সি ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে বহু বছর। হার্ট সুস্থ রাখে: কমলায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান যা হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ উপাদানগুলো শরীরে সোডিয়ামের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কমলার চর্বিহীণ আঁশ, সোডিয়াম মুক্ত এবং কোলেস্টেরল মুক্ত উপাদানগুলো হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে। শর্করা নিয়ন্ত্রণ: কমলার খোসায় চিনির পরিমাণ নেই বললেই চলে, তাই এটা রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলে। ডায়াবেটিস ও মেটাবলিক সিন্ড্রম রোগীদের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রেণ রাখতে হয়। তাই কমলার পুষ্টিগুণ ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারী। ওষুধ শোষণ: শরীরে ওষুধ গ্রহণে সাহায্য করে কমলা। এই ফলের রস ওষুধের বায়োকেমিক্যাল ও সাইকলজিকাল প্রভাব শরীরে গ্রহণের মাধ্যমে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে: কমলা ‘ক্যালরি ফ্রি’ ফল হিসেবে পরিচিত, আর এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই কমলার পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। মানুষের জন্য অত্যাবশ্যক পুষ্টি যেমন থিয়ামাইন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি সিক্স, ম্যাগনেশিয়াম এবং কপার রয়েছে কমলায়। ১. কমলা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। ২. কমলায় ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে থাকায় “রাতকানা” রোগ নিরাময়ে কমলা বেশ উপযোগী। ৩. কমলা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। ৪. কমলায় থাকা আলফা ও বিটা ক্যারোটিনের মত ফ্ল্যাভনয়েড ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ৫. কমলা দাঁতের ক্যাভিটি রোধ করতে সাহায্য করে। ৬.কমলার চর্বিহীন আঁশ, সোডিয়াম ও কোলেস্টেরল মুক্ত উপাদান গুলি হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে। কমলার ঔষধি গুণাগুন: ১. কমলা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বর্তমানে বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কমলা অন্যতম একটি পছন্দের খাবারের চাহিদায় থাকছে। ২.ছোটবড় নানারকম চর্মরোগ ব্যাধি ও সংক্রমণ থেকে কমলা সুরক্ষা দেয়। ৩.ভিটামিন সি এর অভাবে মুখে সৃষ্ট ঘা নিরাময়ে ভিটামিন সি এর আধার কমলার ব্যবহার অত্যন্ত উপযোগী। ৪.কমলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ৫.কমলার বিটা ক্যারোটিন কোষের অবাঞ্ছিত ধ্বংস বন্ধ করে। ৬.কমলায় উপস্থিত ক্যালসিয়াম দেহের হাড় ও দাঁতের বৃদ্ধিতে ও ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। ৭. কমলা হজমশক্তি বাড়ায়। ৮. সর্দিকাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তশূন্যতা সারাতে কমলা ভূমিকা রাখে। এছাড়াও কমলা রমণীদের রুপচর্চাতেও অন্যতম ভূমিকা পালন করে। কমলার খোসাও ফেলে দেয়ার নয়। কমলার খোসায় থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়াতে ও ত্বককে সজীব রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের বলিরেখা দূর করে। এছাড়াও ত্বকের ব্রণের সমস্যা ও ত্বকের কালো দাগ কমলা দূর করে। কমলায় পুষ্টি উপাদান: ১০০ গ্রাম কমলায় রয়েছে- ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম। প্রতিদিন যতটুকু ভিটামিন সি প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই একটি কমলা থেকে সরবরাহ হতে পারে। কমলায় আছে শক্তি সরবরাহকারী চর্বিমুক্ত ৮০ ক্যালোরি, যা শক্তির ধাপগুলোর জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। কমলায় আছে প্রচুর ভিটামিন-সি, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক, স্বাস্থ্যকর, রক্ত প্রস্ততকারক এবং ক্ষত আরোগ্যকারী হিসেবে খুবই উপকারী। কমলা -বি- ভিটামিন ফোলেটের খুব ভালো উৎস, যা জন্মগত ত্রুটি এবং হৃদরোগের জন্য ভালো কাজ করে।
0 votes
by
কমলার পুষ্টিগুণ: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: কমলা আপনার প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করে। একই সঙ্গে এ ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান। এ পুষ্টি উপাদানসমূহ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ছোটবড় নানা ব্যাধি ও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। ত্বকের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকও দ্রুত বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। ভিটামিন সি ছাড়াও কমলায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমূহ ত্বককে সতেজ ও সজীব রাখতে সাহায্য করে। বার্ধক্যেও ত্বককে অনেকটাই মসৃণ রাখে, সহজে বলিরেখা পড়ে না। কারণ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিস সি ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে বহু বছর। হার্ট সুস্থ রাখে: কমলায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান যা হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ উপাদানগুলো শরীরে সোডিয়ামের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কমলার চর্বিহীণ আঁশ, সোডিয়াম মুক্ত এবং কোলেস্টেরল মুক্ত উপাদানগুলো হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে। শর্করা নিয়ন্ত্রণ: কমলার খোসায় চিনির পরিমাণ নেই বললেই চলে, তাই এটা রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলে। ডায়াবেটিস ও মেটাবলিক সিন্ড্রম রোগীদের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রেণ রাখতে হয়। তাই কমলার পুষ্টিগুণ ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারী। ওষুধ শোষণ: শরীরে ওষুধ গ্রহণে সাহায্য করে কমলা। এই ফলের রস ওষুধের বায়োকেমিক্যাল ও সাইকলজিকাল প্রভাব শরীরে গ্রহণের মাধ্যমে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে: কমলা ‘ক্যালরি ফ্রি’ ফল হিসেবে পরিচিত, আর এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই কমলার পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। মানুষের জন্য অত্যাবশ্যক পুষ্টি যেমন থিয়ামাইন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি সিক্স, ম্যাগনেশিয়াম এবং কপার রয়েছে কমলায়। ১. কমলা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। ২. কমলায় ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে থাকায় “রাতকানা” রোগ নিরাময়ে কমলা বেশ উপযোগী। ৩. কমলা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। ৪. কমলায় থাকা আলফা ও বিটা ক্যারোটিনের মত ফ্ল্যাভনয়েড ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ৫. কমলা দাঁতের ক্যাভিটি রোধ করতে সাহায্য করে। ৬.কমলার চর্বিহীন আঁশ, সোডিয়াম ও কোলেস্টেরল মুক্ত উপাদান গুলি হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে। কমলার ঔষধি গুণাগুন: ১. কমলা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বর্তমানে বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কমলা অন্যতম একটি পছন্দের খাবারের চাহিদায় থাকছে। ২.ছোটবড় নানারকম চর্মরোগ ব্যাধি ও সংক্রমণ থেকে কমলা সুরক্ষা দেয়। ৩.ভিটামিন সি এর অভাবে মুখে সৃষ্ট ঘা নিরাময়ে ভিটামিন সি এর আধার কমলার ব্যবহার অত্যন্ত উপযোগী। ৪.কমলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ৫.কমলার বিটা ক্যারোটিন কোষের অবাঞ্ছিত ধ্বংস বন্ধ করে। ৬.কমলায় উপস্থিত ক্যালসিয়াম দেহের হাড় ও দাঁতের বৃদ্ধিতে ও ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। ৭. কমলা হজমশক্তি বাড়ায়। ৮. সর্দিকাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তশূন্যতা সারাতে কমলা ভূমিকা রাখে। এছাড়াও কমলা রমণীদের রুপচর্চাতেও অন্যতম ভূমিকা পালন করে। কমলার খোসাও ফেলে দেয়ার নয়। কমলার খোসায় থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়াতে ও ত্বককে সজীব রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের বলিরেখা দূর করে। এছাড়াও ত্বকের ব্রণের সমস্যা ও ত্বকের কালো দাগ কমলা দূর করে। কমলায় পুষ্টি উপাদান: ১০০ গ্রাম কমলায় রয়েছে- ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম। প্রতিদিন যতটুকু ভিটামিন সি প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই একটি কমলা থেকে সরবরাহ হতে পারে। কমলায় আছে শক্তি সরবরাহকারী চর্বিমুক্ত ৮০ ক্যালোরি, যা শক্তির ধাপগুলোর জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। কমলায় আছে প্রচুর ভিটামিন-সি, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক, স্বাস্থ্যকর, রক্ত প্রস্ততকারক এবং ক্ষত আরোগ্যকারী হিসেবে খুবই উপকারী। কমলা -বি- ভিটামিন ফোলেটের খুব ভালো উৎস, যা জন্মগত ত্রুটি এবং হৃদরোগের জন্য ভালো কাজ কর থাকে।

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...