2 Answers

0 votes
by
 
Best answer
বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন একবার আপেক্ষিকতা তত্ত্বকে সাধারণের কাছে সহজবোধ্য করার জন্য বেশ মজার একটি উদাহরণ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন-“আমি যদি একজন সুন্দরী রমণীর সামনে ৫ ঘণ্টা ধরে বসে থাকি, তবে আমার মনে হবে যেন আমি মাত্র ৫ মিনিট ধরে বসে আছি। কিন্তু যদি একটি জ্বলন্ত উনুনের সামনে আমি ৫ মিনিটও বসে থাকি, তাহলে আমার মনে হবে যেন আমি অনন্তকাল ধরে বসে আছি!” অতএব, সময় পরম বা ধ্রুব নয়, সময় হচ্ছে আপেক্ষিক। আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের একটি বিশেষ রূপ হচ্ছে বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব(Special Theory of Relativity)। বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বে কেবল পরস্পরের সাপেক্ষে সমান বেগে গতিশীল বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এই তত্ত্ব দুইটি স্বীকার্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত- ১। পদার্থবিজ্ঞানের সুত্রসমূহ সকল জড় প্রসঙ্গ কাঠামোতে একই রূপে বলবৎ থাকবে। ২।আলোর গতিবেগ সকল জড় প্রসঙ্গ কাঠামোতে একই রূপে বলবৎ থাকবে। প্রকৃতপক্ষে সমস্ত বিশ্বসংসারে পরম বলতে কিছুই নেই, যা কিছুকে আমরা পরম বলে মনে করি, তা আপাতদৃষ্টিতে পরম বা ধ্রুব। কিন্তু সত্যিকার অর্থে বিশ্বের সবকিছুই আপেক্ষিক। গতি এবং স্থিতির কথাই ধরা যাক। যখন আমরা দেখি একটা ট্রেন তার গন্তব্যের দিকে ছুটে যাচ্ছে, তখন আমরা বলি ট্রেনটি গতিশীল। আবার যখন আমরা দেখি যে একটা ট্রেন তার জায়গাতে ঠায় দাড়িয়ে আছে, তখন আমরা বলি যে ট্রেনটি স্থির। কিন্তু কেন? কীভাবে?? আমরা কীভাবে বুঝতে পারি যে ট্রেনটি গতিশীল নাকি স্থির? আমরা বুঝতে পারি, কারণ আমরা পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে ট্রেনের অবস্থা বিবেচনা করি। ট্রেনের আশেপাশে কোনো একটি প্রসঙ্গ বস্তুর সাপেক্ষে যদি ট্রেনটি তার অবস্থান পরিবর্তন করে, তবে বলা যায় যে ট্রেনটি ঐ প্রসঙ্গ বস্তুর সাপেক্ষে গতিশীল।
0 votes
by
বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন একবার আপেক্ষিকতা তত্ত্বকে সাধারণের কাছে সহজবোধ্য করার জন্য বেশ মজার একটি উদাহরণ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন-“আমি যদি একজন সুন্দরী রমণীর সামনে ৫ ঘণ্টা ধরে বসে থাকি, তবে আমার মনে হবে যেন আমি মাত্র ৫ মিনিট ধরে বসে আছি। কিন্তু যদি একটি জ্বলন্ত উনুনের সামনে আমি ৫ মিনিটও বসে থাকি, তাহলে আমার মনে হবে যেন আমি অনন্তকাল ধরে বসে আছি!” অতএব, সময় পরম বা ধ্রুব নয়, সময় হচ্ছে আপেক্ষিক। আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের একটি বিশেষ রূপ হচ্ছে বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব(Special Theory of Relativity)। বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বে কেবল পরস্পরের সাপেক্ষে সমান বেগে গতিশীল বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এই তত্ত্ব দুইটি স্বীকার্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত- ১। পদার্থবিজ্ঞানের সুত্রসমূহ সকল জড় প্রসঙ্গ কাঠামোতে একই রূপে বলবৎ থাকবে। ২।আলোর গতিবেগ সকল জড় প্রসঙ্গ কাঠামোতে একই রূপে বলবৎ থাকবে। প্রকৃতপক্ষে সমস্ত বিশ্বসংসারে পরম বলতে কিছুই নেই, যা কিছুকে আমরা পরম বলে মনে করি, তা আপাতদৃষ্টিতে পরম বা ধ্রুব। কিন্তু সত্যিকার অর্থে বিশ্বের সবকিছুই আপেক্ষিক। গতি এবং স্থিতির কথাই ধরা যাক। যখন আমরা দেখি একটা ট্রেন তার গন্তব্যের দিকে ছুটে যাচ্ছে, তখন আমরা বলি ট্রেনটি গতিশীল। আবার যখন আমরা দেখি যে একটা ট্রেন তার জায়গাতে ঠায় দাড়িয়ে আছে, তখন আমরা বলি যে ট্রেনটি স্থির। কিন্তু কেন? কীভাবে?? আমরা কীভাবে বুঝতে পারি যে ট্রেনটি গতিশীল নাকি স্থির? আমরা বুঝতে পারি, কারণ আমরা পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে ট্রেনের অবস্থা বিবেচনা করি। ট্রেনের আশেপাশে কোনো একটি প্রসঙ্গ বস্তুর সাপেক্ষে যদি ট্রেনটি তার অবস্থান পরিবর্তন করে, তবে বলা যায় যে ট্রেনটি ঐ প্রসঙ্গ বস্তুর সাপেক্ষে গতিশীল।

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...