শুচিবায়ুঃ শুচিবায় বলতে বোঝায় খুব খুতখুতে স্বভাবের পরিপাটি। যেকোন বিষয়ে খুতখুতে মন। খারাপ দিক খুটে খুটে বের করা। অতি সামান্যতম মন্দও খুদে খুদে বের করে ঝামেলা করে যারা তাদের শুচিবায়ু স্বভাবের লোক বলে।
এই ধরনের শুচিবায়ু স্বভাবের লোকদের কখনো কোন কিছুতেই সন্তষ্ট বা খুশি করানো যায়না।
এদের নিয়া সাধারণ স্বভাবের মানুষরা ঝামেলায় পড়ে। বিরক্তবোধ করে।
কেন শুচিবায়ু হয়ঃ যদিও সাইকিয়াট্রিক ভাবে এটি একটি মানসিক বিষয়।
তবুও কিছু মানুষের খুব ছোট বেলা থেকে পরিপাটি শিক্ষা দিলে এবং কোন রকম ভূলভ্রান্তি বা পান থেকে চুন খসলেই শাস্তি দিয়ে আবার তা ভাল করে করতে বলে শিক্ষা দেওয়া হয়। তারা বড় হয়ে শুচিবায়ু স্বভাবের হয়।
আবার অনেক ক্ষেত্রে এই মনমানসিকতার বিষয়টি জেনেটিক্যালি আসে। জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ফলে ব্যক্তিকে যতই সামান্য কিছু ইগনর করে অন্যদের মত হতে বলা হয়না কেন তা সে কখনোই শুনবেনা।
এটি এক প্রকার এলার্জিক হিসাবে কাজ করে যে সে সামান্য বিচ্যুতি সহ্য করতে পারেনা। এরুপ সামান্য বিচ্যুতি ঘটলে তার প্রকৃতি স্বভাবগত ভাবে রাগ চলে আসে।
তাই শুচিবায়ুকে অনেক সাইকিয়াট্রিস্ট মানসিক রোগ বলে আখ্যায়িত করে থাকেন যার সাথে জেনেটিক সম্পর্ক রয়েছে।
ছোটবেলায় শাসনগত শুচিবাইগ্রস্ত হলে তা বড় হলে কিছুটা কমে যায়। কারন মানুষের বিরক্ত ও অপছন্দের সাথে তাল মেলাতে না পেরে চেষ্টার দ্বারা লব্দ জ্ঞান দিয়ে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে। কিন্ত যেটি একেবারে জিনের সম্পর্কযুক্ত শুচিবাই তাদের এটি থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায়ই অদম্ভব হয়।
কারণ এদের ক্ষেত্রে জিন দ্বারা মস্তিষ্ক নির্দেশনা করে তাই তারা নিজেদের আলাদা করে রাখে কিন্ত মেনে নেয়না।