বাতাস একটি পদার্থ কারণ
১। বাতাসের ভর আছে। বাতাসের ভর প্রমাণের জন্য দুটো বেলুন ফুলিয়ে একটি কাঠির দুপ্রান্তে বেধে দাড়ি পাল্লার মত বানিয়ে নিশ্চুপ বাতাস প্রবাহহীন ঘরে ঝুলিয়ে খুব আস্তে একটি বেলুন ছিদ্র করে দিলে দেখবেন দাড়িপাল্লা মত বেলুনের অপর পাশ নিচে নামবে ভারি হওয়ার জন্য কারণ অপর বেলুন ছিদ্র দিয়ে বাতাস বেরিয়ে যাবে।
২। বাতাসকে সংকুচিত করে তরলে রুপান্তর করা যায়। আরও সংকুচিত ও ঠান্ডা করলে কঠিন হয় যদিও আয়তনে তখন খুবই ক্ষুদ্র হয়।
৩। বাতাস বল প্রয়োগে বাধার সৃষ্টি করে। দেখবেন ঝড় বাতাসে বাতাসের দিকে হাটতে গেলে বেশি বল দিতে হবে না হলে পড়ে যাবেন। যারা বাতাসের প্রতিমুখে সাইকেল চালিয়েছেন তারাই বুঝতে পারবেন বাতাসের বাধায় সাইকেল সামনে এগুতেই চাইনা, বেশি শক্তি লাগে।
৪। বাতাসের কাজ করার ক্ষমতা আছে। অতি সিম্পল প্রমাণ ঘুড়ি ওড়া। বাতাস প্রবাহের সময় তির্যক বলের প্রভাবে ঘুড়ি উপরের দিকেই ওঠে অভিকর্ষ বলে বিরুদ্ধে কাজ করে।
সমস্ত বিমান, হেলিকপ্টার বাতাসের প্রবাহজনিত বল ও চাপজনিত বলকে কাজে লাগিয়েই আকাশে ওড়ে।
৫। বাতাস মিশ্র পদার্থ। বাতাসের উপাদান গুলো বিক্রিয়া করে যেমন অক্সিজেন বিভিন্ন ধাতুর সাথে অক্সাইড তৈরি করে
এসব কারণে বাতাস পদার্থ।