1 Answer

0 votes
by
এলার্জি একটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা, এবং এটি পুরোপুরি চিরতরে ভালো হয়ে যায় এমন কোনো চিকিৎসা সাধারণত নেই। তবে এলার্জির উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও আরাম পেতে কিছু ঔষধ সহায়ক হতে পারে। এখানে কিছু সাধারণ এলার্জির চিকিৎসা ও ঔষধের নাম দেওয়া হলো, তবে মনে রাখবেন যে, কোনো ঔষধ ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত:

এলার্জির সাধারণ চিকিৎসা ও ঔষধ:

১. অ্যান্টিহিস্টামিন:

অ্যান্টিহিস্টামিন হলো এলার্জির সাধারণ উপসর্গ যেমন: হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখের চুলকানি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকর।

উদাহরণ:

Cetirizine (Setrizin): দিনে ১টি খাওয়ার উপযোগী। এটি ঘুমের সমস্যা কম করে।

Loratadine (Loratadin): এটি ঘুমের প্রভাব ছাড়াই এলার্জি নিয়ন্ত্রণ করে।

Fexofenadine (Allegra): শক্তিশালী অ্যান্টিহিস্টামিন, যা অনেকক্ষণ ধরে এলার্জির উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রাখে।


২. ন্যাজাল ডিকনজেস্ট্যান্ট:

নাক বন্ধ থাকলে বা শ্বাসকষ্ট হলে ন্যাজাল স্প্রে বা ডিকনজেস্ট্যান্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।

উদাহরণ:

Oxymetazoline (Afrin): এটি নাকের অবরুদ্ধতা কমাতে সাহায্য করে। তবে এটি ৩ দিন বা তার বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এর ফলে রিবাউন্ড কনজেস্টশন হতে পারে।

Pseudoephedrine (Sudafed): এটি সাইনাসের চাপ ও নাক বন্ধ হওয়া কমাতে কার্যকর।


৩. স্টেরয়েড ন্যাজাল স্প্রে:

এলার্জি থেকে দীর্ঘমেয়াদী আরাম পেতে স্টেরয়েড ন্যাজাল স্প্রে ব্যবহার করা হয়। এটি শ্বাসনালীতে প্রদাহ কমিয়ে দেয়।

উদাহরণ:

Fluticasone (Flonase): নাকে স্প্রে করা হয় এবং এটি নাকের অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করে।

Budesonide (Rhinocort): এটি শ্বাসনালীর প্রদাহ কমিয়ে দেয়।


৪. লিউকোট্রিয়েন রিসেপ্টর ব্লকার (Leukotriene Receptor Antagonists):

কিছু ক্ষেত্রে, এলার্জির উপসর্গ দূর করতে লিউকোট্রিয়েন ব্লকার ব্যবহার করা যেতে পারে।

উদাহরণ:

Montelukast (Singulair): এটি মূলত হাঁপানি ও এলার্জি উভয়ের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।


৫. ইমিউনোথেরাপি (Immunotherapy):

যদি এলার্জি অনেক বেশি তীব্র হয় এবং ঔষধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হয়, তবে ইমিউনোথেরাপি বা "এলার্জি শট" পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। এতে এলার্জির কারণবস্তু ধীরে ধীরে শরীরে প্রবেশ করানো হয়, যাতে শরীরটি এটির সাথে অভ্যস্ত হয়ে যায়।

এটি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী উপশম দিতে পারে, তবে এটি সময়সাপেক্ষ এবং চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে করা হয়।

৬. জীবনধারার পরিবর্তন:

এলার্জির উৎস এড়িয়ে চলা: ধুলা, পশুর লোম, ফুলের পরাগ, নির্দিষ্ট খাবার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা।

ঘরে পরিস্কার রাখা: বালিশ, বিছানা, এবং ঘরের ধুলাময় স্থান নিয়মিত পরিস্কার রাখা।

বায়ু পরিশোধক ব্যবহার করা: ঘরের বাতাস পরিস্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।

ডাক্তারের পরামর্শ কেন জরুরি?

দীর্ঘদিনের এলার্জির জন্য চিকিৎসা করলে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার (এলার্জিস্ট) বা ইমিউনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। তারা বিস্তারিত পরীক্ষা করে আপনাকে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ নির্ধারণ করবেন।

এলার্জি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা, তবে সঠিক চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্ভব।

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...