1 Answer

0 votes
by
জৈব রসায়নের প্রথম দিকে প্রতিটি নতুন যৌগকে একটি স্বতন্ত্র নাম দেয়া হতো। সে সময় প্রাচীন রসায়নবিদগণ যৌগের নামকরণে উৎস, ধর্ম ইত্যাদির উপর নির্ভর করতেন। অধুনা অধিক সংখ্যক জৈব যৌগ আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে উৎস কিংবা ধর্মভিত্তিক নামকরণ দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই, জৈব যৌগের নামকরণে কয়েকটি বিধিবদ্ধ পদ্ধতি অনুসৃত হয়।
১. সাধারণ বা (Trivial) পদ্ধতি।
২. উদ্ভূত বা জাত পদ্ধতি (Derived System)।
৩. আন্তর্জাতিক বা আইউপ্যাক (IUPAC = International Union of Pure and Applied Chemistry) পদ্ধতি।
নিম্নে সাধারণ পদ্ধতি ও IUPAC পদ্ধতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হল।
১. সাধারণ বা ট্রিভিয়াল পদ্ধতি :
i. এই পদ্ধতিতে সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনের নামের শেষে ‘এন’ (–ane) যুক্ত হয়।
ii. মিথেন থেকে বিউটেন পর্যন্ত চারটি যৌগের নাম এদের সমসংখ্যক কার্বন পরমাণু বিশিষ্ট অ্যালকোহলের নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে।
iii. পঞ্চম থেকে উচ্চতর হাইড্রোকার্বনের ক্ষেত্রে অণুতে উপস্থিত কার্বন পরমাণুর সংখ্যাসূচক গ্রীক শব্দের শেষে ‘এন’ যুক্ত করে নামকরণ করা হয় : (Greek “penta” = five)। যেমন– পেন্টেন (Pentane), অকটেন (Octane) ইত্যাদি।
iv. কার্বন শিকলের গঠন সরল (normal) হলে নামের পূর্বে ‘n’ বসাতে হয়। যেমন– n-পেন্টেন।
v. যৌগের প্রান্তে তিনটি কার্বন সম্বলিত মূলক থাকলে নামের পূর্বে iso যোগ করতে হয়। যেমন- আইসোপেন্টেন (iso pentane)।
vi. যৌগের প্রান্তে চারটি কার্বন সম্বলিত মূলক থাকলে নামের পূর্বে tert যোগ করতে হয়।

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...