রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর স্বপ্রেরণামূলক কথা শুনে সাহাবীরা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন, যা ইসলামের প্রচার এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের শক্তিশালীকরণের জন্য সহায়ক ছিল। তাদের পরিকল্পনাগুলো ছিল:
1. ইসলামের দাওয়াতের জন্য সফর: সাহাবীরা বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলামের বার্তা পৌঁছানোর জন্য সফরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তারা আশপাশের গাঁয়ে এবং শহরে ইসলামের দাওয়াত দিতে যান।
2. একতা ও সহযোগিতার বৃদ্ধি: মুসলমানদের মধ্যে একতা ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য তারা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারা পরস্পরের সহায়তা এবং সহযোগিতা করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
3. নতুন মুসলিমদের শিক্ষা: নবাগত মুসলমানদের জন্য শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সাহাবীরা নতুন মুসলমানদের ইসলামের মৌলিক শিক্ষা এবং নীতিমালা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করেন।
4. মক্কায় মুসলিমদের নিরাপত্তা: কোরাইশদের অত্যাচার থেকে মুসলিমদের সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা করা হয়। তারা নিরাপত্তা এবং সহায়তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাতে নতুন মুসলিমরা নিরাপদে ইসলাম গ্রহণ করতে পারেন।
5. দলবদ্ধ অভিযানের পরিকল্পনা: তারা রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর নেতৃত্বে কোরাইশদের বিরুদ্ধে একটি সংগঠিত আক্রমণের পরিকল্পনা করে। বিশেষ করে, মুসলিমদের উপর কোরাইশদের অত্যাচারের প্রতিশোধ নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়।
6. সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা: সাহাবীরা নিজেদেরকে সামরিকভাবে প্রশিক্ষিত করার উদ্যোগ নেয়। তারা যুদ্ধ কৌশল এবং আত্মরক্ষার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
7. মদিনায় ইসলামের ভিত্তি স্থাপন: মদিনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের ভিত্তি স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সেখানে একটি শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে তারা রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর নির্দেশনায় কাজ করেন।
এসব পরিকল্পনার মাধ্যমে সাহাবীরা ইসলামের প্রসার ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।