কোরাইশরা মুসলমানদেরকে প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল, বিশেষ করে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর নবুওয়াতের শুরু থেকে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের প্রসার এবং মুসলিমদের শক্তি বৃদ্ধি রোধ করা। নিচে উল্লেখ করা হলো কোরাইশদের কিছু প্রধান পদক্ষেপ:
1. সামাজিক নিষেধাজ্ঞা: কোরাইশরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সামাজিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তারা মুসলমানদের সঙ্গে বাণিজ্য, বিবাহ, ও সম্পর্ক সবই বন্ধ করে দেয়। এটি মুসলমানদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাকে দুর্বল করতে সহায়ক ছিল।
2. অত্যাচার ও নির্যাতন: কোরাইশরা মুসলমানদের ওপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছিল। আবু জেহেলের নেতৃত্বে মুসলমানদের ওপর শারীরিক নির্যাতন, মানসিক চাপ ও নিপীড়ন চালানো হয়েছিল। যেমন, বিলাল (রাঃ) এবং ইয়াসির (রাঃ) এর মতো সাহাবীদের নির্মম অত্যাচার করা হয়।
3. গোপন ষড়যন্ত্র: কোরাইশরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গোপনে ষড়যন্ত্র করেছিল। তারা রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে হামলা করার চেষ্টা করেছিল।
4. হিজরত প্রতিরোধ: যখন মুসলমানরা মদিনায় হিজরত করতে শুরু করে, কোরাইশরা তাদের প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করেছিল। তারা হিজরতকারীদের ধরে ফেলার জন্য অভিযান চালিয়েছিল।
5. যুদ্ধের প্রস্তুতি: কোরাইশরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুদ্ধে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। বদর, উহুদ, ও খন্দক যুদ্ধের সময় তারা মুসলমানদেরকে পরাস্ত করার চেষ্টা করে।
6. বক্তৃতা ও প্রচারণা: কোরাইশরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা ও অশালীন মন্তব্য করে, যাতে সাধারণ জনগণের মধ্যে ইসলামের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হয়।
এসব পদক্ষেপ সত্ত্বেও, ইসলামের বার্তা এবং মুসলমানদের একতা ও দৃঢ়তার কারণে কোরাইশরা তাদের উদ্দেশ্যে সফল হতে পারেনি। মুসলমানদের দৃঢ় আত্মবিশ্বাস ও আল্লাহর সাহায্যে তারা ক্রমশ শক্তিশালী হতে থাকে এবং অবশেষে মক্কা বিজয় করে।