রাত হয়ে যাওয়ার কারণে মুসলিম সৈন্যদের যাত্রা বিরতির সময় একাধিক ঘটনা ঘটেছে, তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো খন্দকের যুদ্ধের সময়ের একটি ঘটনা। এই যুদ্ধে মুসলিমরা মদিনা শহরকে রক্ষা করার জন্য একটি খন্দক (পরিখা) খনন করেছিল। যুদ্ধের কিছু দিন পরে শত্রুরা একটি বড় আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল, এবং এই সময় মুসলিমরা সারাদিন রক্ষণাত্মক অবস্থায় থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।
এমন অবস্থায়, এক রাতে শত্রুর আক্রমণের আশঙ্কা থাকায় হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর সাহাবিরা সতর্ক অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু শত্রুরা আক্রমণ না করে অপেক্ষা করছিল। এই সময় মুসলিম বাহিনীকে তাদের ইবাদতের জন্য নামাজ আদায় করতেও সমস্যা হচ্ছিল, কারণ তারা সতর্ক অবস্থায় ছিল এবং আক্রমণের অপেক্ষায় ছিল। এজন্য কিছু নামাজ পিছিয়ে যায়, বিশেষ করে আসর নামাজ, যা সূর্যাস্তের আগে আদায় করা উচিত ছিল। তবে পরে এই নামাজ আদায় করা হয় এবং এই সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
এছাড়া হুনাইনের যুদ্ধের সময়ও মুসলিম বাহিনী রাতে অবস্থান করে তাদের কৌশলগত পরিকল্পনা সাজিয়েছিল। রাতে তারা নিরাপদ অবস্থানে থেকে প্রস্তুতি নেয় এবং পরের দিন শত্রুদের উপর আক্রমণ চালায়।
রাতে মুসলিম বাহিনীর এই ধরনের বিরতি কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ, শত্রুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, এবং পরবর্তী দিনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার একটি সুযোগ হিসেবে ব্যবহৃত হত।