তাবুক অভিযানের সময় রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর পরিকল্পনা ছিল রোমান সাম্রাজ্যের সম্ভাব্য আগ্রাসন মোকাবিলা করা এবং তাদের সীমান্তের নিকটবর্তী আরব গোত্রদের সাথে মুসলিমদের প্রভাব প্রতিষ্ঠা করা। খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, বাইজেন্টাইন (রোমান) সম্রাট হেরাক্লিয়াস আরব উপদ্বীপে একটি বড় আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এজন্য রাসূলুল্লাহ (সঃ) মুসলিম বাহিনীকে রোমানদের মোকাবিলা করার জন্য তাবুকের দিকে অগ্রসর হতে আহ্বান জানান।
তাবুক অভিযানটি ছিল একটি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ। প্রধান পরিকল্পনা ছিল:
1. রোমানদের সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধ করা: মুসলিম বাহিনী তাবুকে পৌঁছালে তারা রোমানদের কোনো সক্রিয় বাহিনী পায়নি। রোমানরা মুসলিম বাহিনীর উপস্থিতি ও শক্তি সম্পর্কে জানতে পেরে পিছিয়ে গিয়েছিল। এতে রোমানদের মনোবল ভেঙে যায় এবং মুসলিমদের সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়।
2. প্রতিপক্ষকে কৌশলগতভাবে দুর্বল করা: রাসূলুল্লাহ (সঃ) আরব অঞ্চলে রোমান প্রভাব কমাতে চেয়েছিলেন। তিনি আরব গোত্রদের মধ্যে মুসলিম প্রভাব বিস্তার করার জন্য এবং ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য তাবুকে পৌঁছান। বেশ কিছু গোত্র রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর সাথে মিত্রতা করে।
3. মুসলিমদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন: এটি মুসলিমদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অভিযান ছিল, যেখানে তারা নিজেদের শক্তি ও ঐক্য প্রদর্শন করে। যদিও সরাসরি কোনো যুদ্ধ হয়নি, তবে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনীর কৌশলগত অবস্থান রোমানদের এবং অন্যান্য শত্রুদের সতর্ক ও দূরে রাখে।
তাবুক অভিযানের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সঃ) রোমানদের আক্রমণ থেকে মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেন এবং ইসলামের প্রভাবকে বিস্তৃত করেন।