হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) যেসব উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন, বিশেষ করে বানী নাধির গোত্রের বিতাড়ন, খায়বার বিজয়, এবং তাবুক অভিযানের পর, তাঁর পরবর্তী কার্যক্রমগুলি হলো:
1. খায়বার বিজয়ের পর:
রাসূল (সঃ) খায়বারের বিজয়ের পর সেখানকার মুসলিম ও ইয়াহুদিদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মুসলিমদের জন্য সেখানে কিছু জমি এবং সম্পদ বরাদ্দ করেন, যা তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিতে সাহায্য করে।
2. মদিনার সঙ্গী-সংশ্লিষ্টদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন:
রাসূল (সঃ) মদিনার অন্যান্য গোত্র ও সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক স্থাপন ও সুদৃঢ় করার চেষ্টা করেন। তিনি মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে শান্তি ও সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
3. মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা:
তিনি মুসলমানদের মধ্যে শৃঙ্খলা, একতা এবং সহানুভূতি বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী হন। তিনি উম্মাহর জন্য একটি মজবুত ভিত্তি তৈরি করতে তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন।
4. দাওয়াত ও ধর্ম প্রচার:
রাসূল (সঃ) বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করতে নবী ও প্রচারকদের পাঠাতে থাকেন। তিনি মানুষকে ইসলাম গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন এবং ইসলামের মূলনীতি সম্পর্কে শিক্ষা দেন।
5. হজের বিধান প্রতিষ্ঠা:
তিনি ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে হজের বিধান প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চম স্তম্ভ, যা মুসলমানদের ধর্মীয় জীবনে একটি বিশাল স্থান রাখে।
6. ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার প্রতিষ্ঠা:
ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার উৎসবের উদ্ভাবন এবং প্রচলন করেন, যা মুসলমানদের মধ্যে উৎসবের পরিবেশ এবং ঐক্যের বন্ধন তৈরি করে।
7. শান্তির প্রতিষ্ঠা:
রাসূল (সঃ) মদিনায় একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেন, যেখানে সবাই সমান অধিকার এবং সুযোগ পায়।
এই সব কার্যক্রম ইসলাম ধর্মের প্রসার, মুসলিম সমাজের উন্নয়ন, এবং মানবতার কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।