যে সকল ধাতু পানির সাথে বিক্রিয়া করে তীব্র ক্ষার
গঠন করে তাদেরকে ক্ষার ধাতু বলে। পর্যায় সারণির
গ্রুপ-১ এ এদের অবস্থান। ক্ষার ধাতু মোট ৬টি। এগুলো
হলো– লিথিয়াম (Li),
সোডিয়াম (Na), পটাশিয়াম
(K), রুবিডিয়াম (Rb),সিজিয়াম (Cs), এবং ফ্রান্সিয়াম(Fr)।
ইলেকট্রন বিন্যাস করলে এদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরের s-অরবিটালে একটি ইলেকট্রন থাকে। ক্ষার ধাতুসমূহ অধাতুর সাথে
বিক্রিয়া করে আয়নিক লবণ
গঠন করে। ক্ষার ধাতুগুলির আয়নিকরণ শক্তি, ইলেকট্রন
আসক্তি, তড়িৎ ঋণাত্মকতা যেকোনো পর্যায়ের অন্য
মৌল গুলির চেয়ে কম হয়। ক্ষার ধাতু সমূহ সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তর থেকে একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে একক
ধনাত্মক আয়ন গঠন করে এবং এদের নিকটতম নিষ্ক্রিয়
গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে স্থিতিশীলতা লাভ করে। ক্ষার ধাতুসমূহ অধিক সক্রিয় হয়।