in অবিশ্বাস্য অজানা by
ইকারাস সম্পর্কে কিছু লিখ?

2 Answers

0 votes
by
 
Best answer
অনেক অনেক দিন আগে ডিডালাস নামে এক গ্রীক শিল্পী ছিল। দেশে দেশে সবাই তার সৃষ্টিকর্মের প্রশংসায় ছিল পঞ্চমুখ। তার ছিল এক মা হারা ছেলে নাম ইকারাস। ডিডালাস এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করতো আর এভাবেই রাত সৃষ্টিকর্ম ছড়িয়ে পড়তো দেশ থেকে দেশান্তরে। এইভাবে দেশ ঘুরতে ঘুরতে ডিডালাস আর ইকারাস এসে পৌছায় ক্রিট রাজ্যে। ক্রিট রাজ্যের রাজা তখন মাইনোস। মাইনোস ছিল অত্যন্ত বদরাগি ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ। কিন্তু ডিডালাসকে সে অনেক সমীহ করে খুশি মনে আমন্ত্রন জানায় তার রাজ্যে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডিডালাস তার শিল্পের সুনাম ছড়াতে থাকে। ক্রিট রাজ্যের অভিশাপ ছিল অর্ধ মানব অর্ধ ষাঁড় এক ভয়ংকর জন্তু। এটা ছিল প্রকান্ড আকৃতির, হিংস্র আর ক্ষুদার্থ নরমাংস খেকো। তার মাথায় ছিল একহাত লম্বা তীক্ষ্ণ ধারাল শিং। এই শিং দিয়ে সে শিকার কে ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলত তারপর সেটার রক্ত মাংস খেত। যেকোন মুল্যে এই রাক্ষসকে শান্ত রাখতে না পারলে সে রাজ্যের প্রজাদের ধরে ধরে হত্যা করে খেতে শুরু করত। তাই ক্রিটের রাজা মাইনোস একটা বুদ্ধি বের করল এই রাক্ষসকে শান্ত রাখার জন্যে। সে প্রত্যেক বছর এথেন্স থেকে রাজস্ব হিসেবে সাত জন পুরুষ ও সাত জন নারী প্রজা চাইত। তাদের জীবন দিয়ে সেই রাক্ষসের ক্ষুধা মেটানো হত। এর পরে রাজা ডিডালাসকে দিয়ে একটি গোলকধাঁধা তৈরি করে আর সেই গোলকধাঁধার মধ্যে রাক্ষসটাকে আটকে রাখা হয়। এর পরে একজন একজন করে মানুষকে জোর করে ঠেলে দেয়া হত গোলকধাঁধা এর মধ্যে তারপর ভারি দরজা বন্ধ করে দেয়া হত। তারপর সেই মানুষ গুলো অন্ধের মত দিশেহারা হয়ে ঘুরতে থাকত সেই অন্ধকার গুহার ভেতরে। যেখানে তাদের জন্যে অপেক্ষা করতো ভয়ঙ্কর রাক্ষস। তারপর একদিন এথেন্স এর রাজা অগাস এর ছেলে থিসাস অনেক অনুরোধ করে রাজা অগাসকে রাজি করেন যে এবার সাতজন পুরুষ এর সাথে সেও একজন হয়ে যাবে। তারপর সেই রাক্ষসকে হত্যা করে তার নিজ রাজ্যে ফিরে আসবে। তারপর থিসাস এর জাহাজ ক্রিট এর বন্দরে নোংগর করে। ঠিক সেই সময় ক্রিট এর রাজকন্যা অরিডনি থিসাসকে দেখে। আর তাকে দেখেই প্রেমে পড়ে যায় থিসাস এর। এরপর আর একমুহুর্ত থিসাস কে ভুলতে পারে না অরিডনি। কিছুদিন এর মাঝেই থিসাসকে যেতে হবে ঐ রাক্ষসের মুখে এটা চিন্তা করে অরিডনি শিউরে উঠছিল, থিসিস এর চিন্তায় ঠিকমত খেতে পারে না, ঘুমাতে পারে না। তারপর সে সাহায্যের জন্যে গেল গোলকধাঁধার শিল্পী কারিগর ডিডালাস এর কাছে। ডিডালাস সব শুনে তাকে একটা সুতার গোল্লা দিল, আর বলল থিসাস যখন গোলকধাঁধার মধ্যে ঢুকবে তখনই দরজার এক প্রান্তে এই সুতার গোল্লাটা বেঁধে রাখতে। তারপর সুতার গোল্লা থেকে সুতা ছাড়তে ছাড়তে এগিয়ে যেতে। এতে করে ফিরে আসার সময় এই সুতা ধরে ফিরে আসতে পারবে। আর অরিডনিকে সাবধান করে দিয়ে বলল খুব সাবধানে কারন যদি রাজা জানতে পারে তাহলে আমার ও প্রান যাবে আর তোমাদের দুজনেরও। এরপরে অরিডনি থিসাস এর সাথে গোপনে দেখা করে সব কথা বুঝিয়ে দেয় আর সুতার গোল্লাটা দেয়। এরপরে থিসাসকে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় গোলকধাঁধার। থিসাস অরিডনির কথা মত দরজায় সুতার একপ্রান্ত বেঁধে এগুতে থাকে। এরপর বেশকিছুদুর যাওয়ার পরে রাক্ষসটার সাথে দেখা হয় থিসাস এর। অন্ধকারে দীর্ঘ সময় প্রচন্ড মারমারি হয় দুইজন এর মধ্যে। অবশেষে থিসাস সক্ষম হয় রাক্ষসটিকে মেরে ফেলতে। তারপর সেই সুতা ধরে আবার ফিরে আসে গোলকধাঁধার মুখে। এবার অরিডনিকে সাথে করে নিয়ে থিসাস তার জাহাজে করে ফিরে যায় এথেন্সে। এই খবর কানে যাবার পরে রাজা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন। লোক পাঠান ডিডালাসকে ধরে আনার জন্যে। এই সব কিছুর জন্যে তাকে দোষী করে রাজা, আর এর শাস্তি হিসেবে ডিডালাস আর ইকারাসকে গোলকধাঁধার মধ্যে ছুড়ে ফেলার আদেশ দেন। রাজার আদেশ পালন করা হয় আর আটকিয়ে দেয়া হয় গুহার ভারি দরজা। গুহার ভেতরের গাঢ় অন্ধকারে ডিডালাস আর ইকারাস তাদের নিজেদের হাতটাও দেখতে পারছিল না। কোন মানুষের পক্ষ্যেই এই দুর্ভেদ্য গুহা থেকে বের হওয়া সম্ভব না। কিন্তু ডিডালাস এর কথা ছিল ভিন্ন। সেই এই দুর্ভেদ্য গোলকধাঁধার মহান শিল্পী। তাই এর সব গোপন রাস্তা সেই একমাত্র জানে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডিডালাস ও ইকারাস গুহার আরেক মাথায় চলে আসল। কিন্তু ক্রিট রাজ্য থেকে তাদেরকে পালাতে হবে নইলে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত। কিন্তু ক্রিট রাজ্য থেকে বের হওয়ার কোন সহজ উপায় ছিল না কারন রাজ্যের চারিদিকে ছিল সমুদ্র। আর সমুদ্রের সব যানই রাজা মিনোস নিয়ন্ত্রন করে। ডিডালাস এবার নতুন বুদ্ধি আটলো। সে তার সকল চিন্তা, বুদ্ধি আর শ্রম একসাথে করে বিরাট আকৃতির দুইজোড়া পাখা বানালো। তার হাতের কাছে ছিল মোম আর পাখির পালক। কয়েকশত পাখির পালক মোম দিয়ে জুড়ে পাখা বানানোর কাজ শেষ করল। এবার ইকারাসকে সাথে নিয়ে ওড়ার পালা। ডিডালাস আর ইকারাস দুজনে দুইটা পাখা পড়ে ওড়ার প্রস্তুতি নিল। আর ওড়ার আগে বার বার ইকারাসকে সাবধান করে দিল যেন কিছুতেই খুব বেশি উপরে না যায় উড়তে উড়তে। এরপর তারা উড়তে থাকল। তাদের উপরে নীল আকাশ আর নিচে আজিয়ান সাগর চকমক করছে। ডিডালাস চিন্তিত মনে উড়তে থাকে আর বার বার তার ডানার দিকে তাকাতে থাকে। কিন্তু ইকারাস ছিল খুবই উৎফুল্ল, আকাশে ওড়ার আনন্দে আর উত্তেজনায় সে সব কিছু ভুলে যায়। ডানা মেলে পাখির সাথে উড়তে আর খেলা করতে থাকে। মনের আনন্দে উড়তে উড়তে উপরে উঠতে থাকে ইকারাস। ডিডালাস তাকে ডাকতে থাকে, কিন্তু শুনতে পারে না ইকারাস তার বাবার ডাক। আরো উপরে উঠতে উঠতে সূর্যের কাছাকাছি চলে যায় ইকারাস। হঠাত বুঝতে পারে তার পাখার মোম গলতে শুরু করেছে প্রচন্ড সূর্যের তাপে। তখনই তার মনে পরে বাবার সাবধান বাণী। কিন্তু ততক্ষন্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। পাখার মোম গলে পালকগুলো আলগা হয়ে পড়তে থাকে সমুদ্রে। আর ইকারাসও পড়তে থাকে সমুদ্রে দিকে। ডিডালাস তখনো অনেক দূরে। চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না ডিডালাস। কয়েক মূহুর্তের মাঝেই সমুদ্রের বুকে হারিয়ে যায় ইকারাস। পড়ার সময় ইকারাস শুধু চিতকার করে একটা কথাই বলে “বাব আমাকে বাঁচাও!!” এই কয়েক মূহুর্ত ডিডালাস এর কাছে মনে হয় কয়েক যুগ ধরে তার ছেলে বলছে “বাবা আমাকে বাঁচাও!!” কিন্তু ডিডালাস পারে না তার ছেলেকে বাঁচাতে। এর পরে যতদিন সে বেঁচেছিল সে সমুদের পাশে একটা দ্বীপে বাস করত আর সমুদ্রের প্রখর গর্জনের মাঝেও সে শুনতে পারত ইকারাসের করুন চিৎকার “বাবা আমাকে বাঁচাও!!”
0 votes
by
অনেক অনেক দিন আগে ডিডালাস নামে এক গ্রীক শিল্পী ছিল। দেশে দেশে সবাই তার সৃষ্টিকর্মের প্রশংসায় ছিল পঞ্চমুখ। তার ছিল এক মা হারা ছেলে নাম ইকারাস। ডিডালাস এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করতো আর এভাবেই রাত সৃষ্টিকর্ম ছড়িয়ে পড়তো দেশ থেকে দেশান্তরে। এইভাবে দেশ ঘুরতে ঘুরতে ডিডালাস আর ইকারাস এসে পৌছায় ক্রিট রাজ্যে। ক্রিট রাজ্যের রাজা তখন মাইনোস। মাইনোস ছিল অত্যন্ত বদরাগি ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ। কিন্তু ডিডালাসকে সে অনেক সমীহ করে খুশি মনে আমন্ত্রন জানায় তার রাজ্যে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডিডালাস তার শিল্পের সুনাম ছড়াতে থাকে। ক্রিট রাজ্যের অভিশাপ ছিল অর্ধ মানব অর্ধ ষাঁড় এক ভয়ংকর জন্তু। এটা ছিল প্রকান্ড আকৃতির, হিংস্র আর ক্ষুদার্থ নরমাংস খেকো। তার মাথায় ছিল একহাত লম্বা তীক্ষ্ণ ধারাল শিং। এই শিং দিয়ে সে শিকার কে ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলত তারপর সেটার রক্ত মাংস খেত। যেকোন মুল্যে এই রাক্ষসকে শান্ত রাখতে না পারলে সে রাজ্যের প্রজাদের ধরে ধরে হত্যা করে খেতে শুরু করত। তাই ক্রিটের রাজা মাইনোস একটা বুদ্ধি বের করল এই রাক্ষসকে শান্ত রাখার জন্যে। সে প্রত্যেক বছর এথেন্স থেকে রাজস্ব হিসেবে সাত জন পুরুষ ও সাত জন নারী প্রজা চাইত। তাদের জীবন দিয়ে সেই রাক্ষসের ক্ষুধা মেটানো হত। এর পরে রাজা ডিডালাসকে দিয়ে একটি গোলকধাঁধা তৈরি করে আর সেই গোলকধাঁধার মধ্যে রাক্ষসটাকে আটকে রাখা হয়। এর পরে একজন একজন করে মানুষকে জোর করে ঠেলে দেয়া হত গোলকধাঁধা এর মধ্যে তারপর ভারি দরজা বন্ধ করে দেয়া হত। তারপর সেই মানুষ গুলো অন্ধের মত দিশেহারা হয়ে ঘুরতে থাকত সেই অন্ধকার গুহার ভেতরে। যেখানে তাদের জন্যে অপেক্ষা করতো ভয়ঙ্কর রাক্ষস। তারপর একদিন এথেন্স এর রাজা অগাস এর ছেলে থিসাস অনেক অনুরোধ করে রাজা অগাসকে রাজি করেন যে এবার সাতজন পুরুষ এর সাথে সেও একজন হয়ে যাবে। তারপর সেই রাক্ষসকে হত্যা করে তার নিজ রাজ্যে ফিরে আসবে। তারপর থিসাস এর জাহাজ ক্রিট এর বন্দরে নোংগর করে। ঠিক সেই সময় ক্রিট এর রাজকন্যা অরিডনি থিসাসকে দেখে। আর তাকে দেখেই প্রেমে পড়ে যায় থিসাস এর। এরপর আর একমুহুর্ত থিসাস কে ভুলতে পারে না অরিডনি। কিছুদিন এর মাঝেই থিসাসকে যেতে হবে ঐ রাক্ষসের মুখে এটা চিন্তা করে অরিডনি শিউরে উঠছিল, থিসিস এর চিন্তায় ঠিকমত খেতে পারে না, ঘুমাতে পারে না। তারপর সে সাহায্যের জন্যে গেল গোলকধাঁধার শিল্পী কারিগর ডিডালাস এর কাছে। ডিডালাস সব শুনে তাকে একটা সুতার গোল্লা দিল, আর বলল থিসাস যখন গোলকধাঁধার মধ্যে ঢুকবে তখনই দরজার এক প্রান্তে এই সুতার গোল্লাটা বেঁধে রাখতে। তারপর সুতার গোল্লা থেকে সুতা ছাড়তে ছাড়তে এগিয়ে যেতে। এতে করে ফিরে আসার সময় এই সুতা ধরে ফিরে আসতে পারবে। আর অরিডনিকে সাবধান করে দিয়ে বলল খুব সাবধানে কারন যদি রাজা জানতে পারে তাহলে আমার ও প্রান যাবে আর তোমাদের দুজনেরও। এরপরে অরিডনি থিসাস এর সাথে গোপনে দেখা করে সব কথা বুঝিয়ে দেয় আর সুতার গোল্লাটা দেয়। এরপরে থিসাসকে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় গোলকধাঁধার। থিসাস অরিডনির কথা মত দরজায় সুতার একপ্রান্ত বেঁধে এগুতে থাকে। এরপর বেশকিছুদুর যাওয়ার পরে রাক্ষসটার সাথে দেখা হয় থিসাস এর। অন্ধকারে দীর্ঘ সময় প্রচন্ড মারমারি হয় দুইজন এর মধ্যে। অবশেষে থিসাস সক্ষম হয় রাক্ষসটিকে মেরে ফেলতে। তারপর সেই সুতা ধরে আবার ফিরে আসে গোলকধাঁধার মুখে। এবার অরিডনিকে সাথে করে নিয়ে থিসাস তার জাহাজে করে ফিরে যায় এথেন্সে। এই খবর কানে যাবার পরে রাজা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন। লোক পাঠান ডিডালাসকে ধরে আনার জন্যে। এই সব কিছুর জন্যে তাকে দোষী করে রাজা, আর এর শাস্তি হিসেবে ডিডালাস আর ইকারাসকে গোলকধাঁধার মধ্যে ছুড়ে ফেলার আদেশ দেন। রাজার আদেশ পালন করা হয় আর আটকিয়ে দেয়া হয় গুহার ভারি দরজা। গুহার ভেতরের গাঢ় অন্ধকারে ডিডালাস আর ইকারাস তাদের নিজেদের হাতটাও দেখতে পারছিল না। কোন মানুষের পক্ষ্যেই এই দুর্ভেদ্য গুহা থেকে বের হওয়া সম্ভব না। কিন্তু ডিডালাস এর কথা ছিল ভিন্ন। সেই এই দুর্ভেদ্য গোলকধাঁধার মহান শিল্পী। তাই এর সব গোপন রাস্তা সেই একমাত্র জানে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডিডালাস ও ইকারাস গুহার আরেক মাথায় চলে আসল। কিন্তু ক্রিট রাজ্য থেকে তাদেরকে পালাতে হবে নইলে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত। কিন্তু ক্রিট রাজ্য থেকে বের হওয়ার কোন সহজ উপায় ছিল না কারন রাজ্যের চারিদিকে ছিল সমুদ্র। আর সমুদ্রের সব যানই রাজা মিনোস নিয়ন্ত্রন করে। ডিডালাস এবার নতুন বুদ্ধি আটলো। সে তার সকল চিন্তা, বুদ্ধি আর শ্রম একসাথে করে বিরাট আকৃতির দুইজোড়া পাখা বানালো। তার হাতের কাছে ছিল মোম আর পাখির পালক। কয়েকশত পাখির পালক মোম দিয়ে জুড়ে পাখা বানানোর কাজ শেষ করল। এবার ইকারাসকে সাথে নিয়ে ওড়ার পালা। ডিডালাস আর ইকারাস দুজনে দুইটা পাখা পড়ে ওড়ার প্রস্তুতি নিল। আর ওড়ার আগে বার বার ইকারাসকে সাবধান করে দিল যেন কিছুতেই খুব বেশি উপরে না যায় উড়তে উড়তে। এরপর তারা উড়তে থাকল। তাদের উপরে নীল আকাশ আর নিচে আজিয়ান সাগর চকমক করছে। ডিডালাস চিন্তিত মনে উড়তে থাকে আর বার বার তার ডানার দিকে তাকাতে থাকে। কিন্তু ইকারাস ছিল খুবই উৎফুল্ল, আকাশে ওড়ার আনন্দে আর উত্তেজনায় সে সব কিছু ভুলে যায়। ডানা মেলে পাখির সাথে উড়তে আর খেলা করতে থাকে। মনের আনন্দে উড়তে উড়তে উপরে উঠতে থাকে ইকারাস। ডিডালাস তাকে ডাকতে থাকে, কিন্তু শুনতে পারে না ইকারাস তার বাবার ডাক। আরো উপরে উঠতে উঠতে সূর্যের কাছাকাছি চলে যায় ইকারাস। হঠাত বুঝতে পারে তার পাখার মোম গলতে শুরু করেছে প্রচন্ড সূর্যের তাপে। তখনই তার মনে পরে বাবার সাবধান বাণী। কিন্তু ততক্ষন্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। পাখার মোম গলে পালকগুলো আলগা হয়ে পড়তে থাকে সমুদ্রে। আর ইকারাসও পড়তে থাকে সমুদ্রে দিকে। ডিডালাস তখনো অনেক দূরে। চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না ডিডালাস। কয়েক মূহুর্তের মাঝেই সমুদ্রের বুকে হারিয়ে যায় ইকারাস। পড়ার সময় ইকারাস শুধু চিতকার করে একটা কথাই বলে “বাব আমাকে বাঁচাও!!” এই কয়েক মূহুর্ত ডিডালাস এর কাছে মনে হয় কয়েক যুগ ধরে তার ছেলে বলছে “বাবা আমাকে বাঁচাও!!” কিন্তু ডিডালাস পারে না তার ছেলেকে বাঁচাতে। এর পরে যতদিন সে বেঁচেছিল সে সমুদের পাশে একটা দ্বীপে বাস করত আর সমুদ্রের প্রখর গর্জনের মাঝেও সে শুনতে পারত ইকারাসের করুন চিৎকার “বাবা আমাকে বাঁচাও।

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...