in ধর্ম ও আধ্যাত্মিক বিষয় by
কুরআনের মু‘জেযা হওয়ার প্রমাণ সম্পর্কে কিছু লিখ?

1 Answer

0 votes
by
 
Best answer
কুরআনের অপরিবর্তনীয়তা (عدم تغيير القرآن) : ━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━ কুরআন তার অবতরণকাল থেকে এযাবত একইভাবে অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। দেড় হাযার বছর পূর্বে যে কুরআন পাঠ করা হত, এখনো সেই কুরআনই পাঠ করা হয়। যার একটি শব্দ ও বর্ণ পরিবর্তিত হয়নি বা মুছে যায়নি। অথচ তাওরাত, যবূর, ইনজীল প্রভৃতির মূল গ্রন্থের অস্তিত্ব দুনিয়াতে নেই। ২. বিশ্বময়তা (عالمية القرآن) : ━━━━━━━━━━━━━━━━ যে রাতে নুযূলে কুরআনের সূচনা হয়, সে রাতে একজনই মাত্র শ্রোতা ছিলেন সৌভাগ্যবতী নারী হযরত খাদীজাতুল কুবরা (রাঃ)। অথচ সেই কুরআন ক্রমে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। আজ পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে কোটি কোটি মানবসন্তান পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে ও সালাতের বাইরে কুরআনের কিছু না কিছু অংশ হরহামেশা পাঠ করে থাকে। কুরআন বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ হিসাবে সমাদৃত। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, সূরা ফাতিহা প্রতিদিন যতবার পাঠ করা হয়, বিশ্বের কোন ভাষার কোন পাঠ্যাংশের সেই সৌভাগ্য আজ পর্যন্ত হয়নি’। অনেক খ্রিষ্টান দার্শনিকের মতে ২০৫০ সালের মধ্যেই ইসলাম বিশ্বের বৃহত্তম ধর্ম হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে’। কুরআনই যে তার প্রধান কারণ তা বলাই বাহুল্য। ৩. নিজ ভাষাতেই পঠিত (متلو فى لغته) : ━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━ যে আরবী ভাষাতে কুরআন নাযিল হয়েছে, সেই ভাষাতেই কুরআন সর্বত্র পঠিত হয়। খ্রিষ্টানরা বাইবেলের কথিত অনুবাদ পাঠ করে থাকে। তাও পাঠকারীর সংখ্যা অতি নগণ্য। যেকারণে বিশিষ্ট ইভানজেলিষ্ট জর্জ গ্যালাপের মতে, ‘আমেরিকানরা হল বাইবেল অন্ধ জাতি’ (দৈনিক আমার দেশ)। অর্থাৎ আসল বাইবেল সম্পর্কে তারা অন্ধ। যা কখনোই তারা দেখেনি। বস্ত্ততঃ তওরাত, যবূর, ইনজীল প্রভৃতি ইলাহী গ্রন্থ যে ভাষায় নাযিল হয়েছিল, সেই ভাষা বা বর্ণমালা এমনকি বেদ, যিন্দাবেস্তা প্রভৃতির ভাষা ও বর্ণমালা এবং সেসবের ভাষাভাষী কোন মানুষের অস্তিত্ব বর্তমান পৃথিবীতে নেই। পক্ষান্তরে আরবী ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে কোটি কোটি এবং তা ক্রমবর্ধমান। আরবী বর্তমানে জাতিসংঘের ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক ভাষা হিসাবে বরিত। উল্লেখ্য যে, হিব্রু (الْعِبْرَانِى) যা তওরাতের ভাষা ছিল, খালেদী (خَالِدِي) যা মসীহ ঈসার ভাষা ছিল, দুররাই (دُرَّي) যা যিন্দাবিস্তার ভাষা ছিল, সংস্কৃত (سَنْسكِرِت) যা বেদ-এর ভাষা ছিল, তা পৃথিবীর কোন দেশ এমনকি কোন যেলা বা মহল্লাতেও জনগণের মুখের ভাষা হিসাবে এখন চালু নেই। আল্লাহর পক্ষ থেকেই ঐসব ভাষা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রেখে দেওয়া হয়েছে আরবী ভাষাকে। যা কুরআন-হাদীছের স্বার্থে ক্বিয়ামত পর্যন্ত জীবন্ত থাকবে। উল্লেখ্য যে, বাইবেলের যে ‘নতুন নিয়ম’ (New Testament) পাওয়া যায়, তাতে লেখা আছে Translated out of the original Greek known as the authorised version (মূল গ্রীক থেকে অনূদিত। যা অনুমোদিত ভাষান্তর হিসাবে পরিচিত)। এতে বুঝা যায় যে, বাইবেলের আরও version আছে। যা কোন কারণ বশতঃ অনুমোদিত হয়নি। দ্বিতীয়তঃ বর্তমান বাইবেল গ্রীক ভাষা থেকে অনূদিত। কিন্তু প্রশ্ন হল ঈসা (আঃ) তো গ্রীসের বাসিন্দা ছিলেন না। তার মাতৃভাষাও গ্রীক ছিল না। তিনি ফিলিস্তীনে জন্ম গ্রহণ করেন ও নিজ এলাকায় প্রচলিত খালেদী ভাষায় তিন বছর ধর্ম প্রচার করেন। তাহলে ইনজীলের মূল ভাষা গ্রীক হল কিভাবে? আধুনিক সেক্যুলারিজমের কুপ্রভাব কুরআনের প্রতি মানুষের তীব্র আকর্ষণ বিন্দুমাত্র কমাতে পারেনি। কেননা কুরআনের ভাষা সরাসরি আল্লাহর ভাষা। এটি হল জান্নাতের ভাষা। কুরআনের প্রতিটি বাক্য, শব্দ ও বর্ণ আল্লাহর নূরে আলোকিত। যা বিশ্বাসী মুসলমানের হৃদয় জগতকে আলোকিত করে। জাহেলিয়াতের গাঢ় অন্ধকার দূরীভূত করে। বিষাদিত অন্তরকে আমোদিত করে। জর্জরিত অন্তরকে সুশীতল করে। মুমিনের হৃদয়ে কুরআনের প্রভাব তাই অতুলনীয় ও অনির্বচনীয়। যার প্রতি হরফে মুসলমান কমপক্ষে দশটি করে নেকী পায়। যা তার পরকালকে সমৃদ্ধ করে। মানছূরপুরীর হিসাব মতে কুরআনের সর্বমোট হরফের সংখ্যা ৩,৪৬,৯৯৮টি (রহমাতুল্লিল ‘আলামীন ৩/২৭৬)। বিশিষ্ট কুরআন গবেষক কনস্ট্যান্স প্যাডউইক তাই বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, ‘কুরআন তার অনুসারীদের অন্তরে জাগ্রত। তাদের কাছে এটি নিছক কিছু শব্দ বা কথামালা নয়। এগুলি

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...