নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর ইসলামী আন্দোলন এবং মিশনকে গতিশীল করার জন্য বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন:
1. **মৌলিক শিক্ষার প্রচার:** নবী মুহাম্মদ (সা.) কোরআনের শিক্ষা ও ইসলামের মৌলিক নীতিগুলি প্রচার করতেন। এটির মাধ্যমে তিনি মানুষকে আল্লাহর একত্ব, নৈতিকতা, এবং ন্যায়বিচারের প্রতি সচেতন করতেন।
2. **দাওয়াতের প্রচারণা:** নবী (সা.) মক্কা এবং মদীনায় বিভিন্ন ধরনের দাওয়াত প্রচার করতেন, যা ব্যক্তিগত, গোপন এবং জনসম্মুখে ছিল। তিনি সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং ধর্মীয় উন্মোচন করে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতেন।
3. **মিত্রতা গঠন:** নবী মুহাম্মদ (সা.) বিভিন্ন গোষ্ঠী ও পরিবারের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে তাঁদের সমর্থন লাভ করতেন। মদীনায় আনসারদের সমর্থন লাভ এবং তাদের সাথে মিত্রতা প্রতিষ্ঠা এই লক্ষ্যে ছিল।
4. **সংগঠনের উন্নয়ন:** তিনি একটি শক্তিশালী ও সংগঠিত কমিউনিটি তৈরি করেছিলেন। মুসলিমদের মধ্যে সাম্য ও একতার বার্তা প্রচার করে একটি শক্তিশালী সোসাল কাঠামো গঠন করেছিলেন।
5. **রাজনৈতিক কূটনীতি:** নবী মুহাম্মদ (সা.) বিভিন্ন উপজাতি ও গোষ্ঠীর সাথে রাজনৈতিক চুক্তি ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করে ইসলামের শান্তিপূর্ণ প্রসার নিশ্চিত করতেন। উদাহরণস্বরূপ, তিনি হুদায়বিয়া চুক্তি করেছিলেন, যা মক্কার সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ শান্তি চুক্তি ছিল।
6. **সামাজিক নীতি পরিবর্তন:** তিনি সামাজিক নীতি ও প্রথায় পরিবর্তন আনতে চেষ্টা করেছিলেন, যেমন নারীদের অধিকারের উন্নয়ন, দরিদ্রদের সাহায্য এবং সমাজের ন্যায়বিচার।
এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর ইসলামী আন্দোলনকে সফলভাবে পরিচালিত ও সম্প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।