নবী মুহাম্মদ (সা.) দাওয়াতী কাজের মাধ্যমে ইসলামের বার্তা প্রচার করতেন এবং মানুষকে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানাতেন। তাঁর দাওয়াতী কাজের কিছু মূল পদ্ধতি ছিল:
1. **ব্যক্তিগত ও গোপন দাওয়াত:** প্রাথমিক পর্যায়ে নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু, পরিবার ও সহকর্মীদের সাথে গোপনে ইসলামের বার্তা শেয়ার করতেন। এই সময় তিনি তাঁর অনুসারীদেরও ইসলামের মৌলিক শিক্ষা দেন।
2. **জনসম্মুখে দাওয়াত:** মক্কার প্রধান স্থানে ও বাজারে নবী (সা.) প্রকাশ্যে ইসলামের বার্তা প্রচার করতে শুরু করেন। তিনি লোকে লোকে আল্লাহর একত্ব, নৈতিকতা, এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের গুরুত্ব তুলে ধরতেন।
3. **বক্তৃতা ও উপদেশ:** নবী (সা.) বিভিন্ন জনসভা ও অনুষ্ঠানে উপদেশ ও বক্তৃতা প্রদান করতেন। তাঁর ভাষণ ও উপদেশ সাধারণ মানুষের চিন্তাভাবনা ও নৈতিকতাকে পরিবর্তন করতে সাহায্য করত।
4. **অধ্যাত্মিক ও নৈতিক উদাহরণ:** নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজে তাঁর চরিত্র ও আচার-ব্যবহার দিয়ে ইসলামের শিক্ষা প্রদর্শন করতেন। তাঁর সততা, সহানুভূতি, এবং ন্যায়বিচার মানুষকে ইসলামের প্রতি আকর্ষিত করত।
5. **দাওয়াতী মিশন:** নবী মুহাম্মদ (সা.) বিভিন্ন গোষ্ঠী, উপজাতি, এবং নেতাদের সাথে আলোচনা ও চুক্তি করতেন যাতে তারা ইসলামের বার্তা গ্রহণ করে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে।
6. **মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রচার:** নবী (সা.) সমাজে প্রবর্তিত অযাচিত প্রথা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতেন এবং সমাজের উন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য চেষ্টা করতেন।
এই পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর দাওয়াতী কাজকে কার্যকরী ও সফল করতে সক্ষম হন।