তামা হল একটি ধাতব বস্তু। তামা নামটি মানুষের কাছে বেশ পরিচিত হলেও অনেকেই তামা চেনেনা। কারণ বৃহত পরিসরে সাধারণ মানুষের মাঝে তামার ব্যবহার বেশ কম।
বর্তমানে মানুষ তামার ব্যবহার বলতে ঘর বাড়ি ওয়ারিংয়ের জন্য তামার কেবল বা তার এবং ফ্যান মটরের কয়েল তৈরিতে তামার কথা জানেন।
তামার লোহার মতই একটি শক্ত ধাতব বস্তু তবে লোহার মত কালো নয়। তামা কিছুটা হলদে লাল এর মিশ্রণ যাকে তামাটে রঙ বলে এক ধরণের বর্ণ। সোনার মত রঙ কিছুটা বলা চলে তবে সোনার মত উজ্জ্বল নয়। স্কুলের গোলাকার ঘন্টা দেখেছেন নিশ্চয়, অনেকটা সেরকম। ঘন্টা তৈরিতে তামার মিশ্রণ ব্যবহার হয়।
তামা কিছুটা দামি বলেই এর ব্যবহার অনেকটা কম। তামাতে লোহার মত বেশি মরিচা পড়েনা, কিন্তু দীর্ঘদিন বাতাসে রাখলে ধীরে ধীরে অল্প মাত্রায় মরিচা পড়ে তামাও নষ্ট হতে থাকে। তামা লোহা অপেক্ষা নরম।
তামাকে তাম্রও বলে অনেকেই। বৈজ্ঞানিক ভাবে রসায়নে তামাকে কপার বলা হয়। সংকেত Cu
কেবল বা তার এবং ইলেকট্রনিক শিল্পে বিশুদ্ধ তামার ব্যবহার আছে। অন্য ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ তামা ব্যবহার না করে সংকর ধাতু হিসাবে তামার ব্যবহার বেশি।
তুতে বা কপার সালফেট হল তামার একটি যৌগ।
তামার একটি গল্প
বহু আগে মানুষ যখন তামা মিশিয়ে পিতল ব্রোঞ্জ তৈরি করতে শেখে তখন টমেটো মানুষ খাইত না। ঐ সময় টমেটোকে বিষাক্ত ফল বলে মনে করা হত।
তখনকার সময়ে পাকা টমেটো কাসা/ব্রোঞ্জ এর থালায় রাখলে টমেটোর ম্যালিক এসিড তামাযুক্ত ঐ পাত্রে বিক্রিয়া করে যৌগ সৃষ্টি করত যা খেয়ে বিষক্রিয়ার শিকার হত মানুষ। কিন্তু রাসায়নিক বিক্রিয়া তখনও মানুষ জানত না বলে টমেটোকে বিষাক্ত ফল ভাবত।