যুদ্ধের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাসূল (সঃ) বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাঁর যুদ্ধ পরিকল্পনা ও কৌশলগুলি ইসলামের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য। এখানে কিছু মূল পদক্ষেপ তুলে ধরা হলো:
1. যুদ্ধের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা: রাসূল (সঃ) যুদ্ধের পূর্বে কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করতেন। তিনি সাহাবীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুতির জন্য নির্দেশ দেন এবং তাদের মধ্যে আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করেন।
2. সাহাবীদের তালিকাভুক্ত করা: তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য সাহাবীদের তালিকাভুক্ত করতেন এবং তাদের প্রস্তুতি নিতে উৎসাহিত করতেন। সাহাবীরা তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতেন।
3. বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা: রাসূল (সঃ) বিভিন্ন যুদ্ধের ক্ষেত্রে কৌশলগত পরিবর্তন করতেন। উদাহরণস্বরূপ, তিনি খাদে বা পাহাড়ের উপরে অবস্থান নেওয়ার মতো কৌশল ব্যবহার করতেন।
4. সশস্ত্র বাহিনী গঠন: তিনি সশস্ত্র বাহিনী গঠন করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন। তাঁর নেতৃত্বে সাহাবীরা যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষিত হতেন।
5. মর্যাদা ও নেতৃত্ব নির্ধারণ: রাসূল (সঃ) সাহাবীদের মধ্যে নেতৃত্বের মর্যাদা ও ভূমিকা নির্ধারণ করতেন। তিনি কাকে কোন স্থানীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে তা নির্দেশনা দিতেন।
6. আল্লাহর কাছে দোয়া: যুদ্ধের প্রস্তুতির সময় রাসূল (সঃ) আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতেন। তিনি দোয়া ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য লাভের জন্য সাহাবীদের উত্সাহিত করতেন।
7. শত্রুর তথ্য সংগ্রহ: রাসূল (সঃ) শত্রুর অবস্থান ও তথ্য সংগ্রহের জন্য এজেন্ট নিয়োগ করতেন। এর মাধ্যমে তিনি শত্রুর শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে অবহিত হতে পারতেন।
8. সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুত করা: যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র, খাদ্য ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের ব্যবস্থা করতেন।
রাসূল (সঃ) এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে সাহাবীদেরকে প্রস্তুত করে ইসলামের আদর্শ রক্ষা ও সম্প্রসারণে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী বিভিন্ন যুদ্ধের সফলতা অর্জন করেছিল।