জারণঃ জারণ হল ইলেক্ট্রন প্রদান। অর্থাৎ যখন কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোন মৌল ইলেক্ট্রন দান করে তখন তাকে জারণ বলে। আর মৌলটি জারিত হয়েছে বলা হয়।
বিজারণঃ বিজারণ হচ্ছে ইলেক্ট্রন গ্রহণ। যখন কোন মৌল ইলেক্ট্রন গ্রহন করে তখন তাকে বিজারণ বলে।
আয়নিক বন্ধনের ক্ষেত্রে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ইলেক্ট্রন আদান প্রদান করেই বন্ধন গঠিত হয়। এই বিক্রিয়াকে জারণ বিজারণ বিক্রিয়াও বলে কারন এখানে একটি মৌল ইলেক্ট্রন প্রদান করে, অপরটি সেই ইলেকট্রন গ্রহণ করে। কিন্তু জারণ বিজারণ যুগপৎ ঘটে। যুগপৎ মানে হচ্ছে এক সাথে দেওয়া নেওয়াকে বোঝায়। (আমরা মাঝে মাঝে নগদে বোঝাতে বলি ডান হাতে মাল, বাম হাতে টাকা)
উপরোক্ত সমীকরণে SnCl4 এ Sn এর উচ্চতর যোজনী +৪ এবং Cl এর স্থির যোজনী -১।
SnCl4 এ Sn4+ এর 4টি ইলেক্ট্রন কম আছে আর Cl- এর ১টি করে 4টি ক্লোরিনের ৪টি ইলেক্ট্রন বেশি আছে।
SnCl4 = SnCl2 + Cl2 তে SnCl4 এর ২টি Cl একটি করে মোট দুটি ইলেক্ট্রন ছেড়ে দিয়ে জারিত হয়েছে,
২Cl- - e- =Cl2
এবং জারিত হয়ে নিজে ক্লোরিন Cl2 গ্যাসে রুপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কখনো ইলেকট্রন মুক্ত থাকেনা, কোন পরমাণু তার ইলেক্ট্রনকে মুক্ত করতে পারেনা যদি তা গ্রহণ করার কেউ না থাকে।
তাই Cl এর ছেড়ে দেওয়া ২টি ইলেক্ট্রন সাথে সাথে Sn4+ গ্রহণ করে Sn2+ এ বিজারিত হয়েছে।
অর্থাৎ যে মুহুর্তে ক্লোরিন ইলেক্ট্রন ছেড়ে দিয়ে নিজে ক্লোরিন গ্যাস হয়েছে সেই মুহুর্তেই স্ট্রনসিয়াম ইলেক্ট্রন গ্রহণ করে উচ্চতর +4 যোজনী থেকে নিন্মতর +2 যোজনী বিশিষ্ট আয়ন তৈরি করেছে। বাকি ২টি ক্লোরিনের ইলেক্ট্রন বেশি থাকায় তা Sn2+ এর সাথে SnCl2 গঠন তৈরি করেছে।
ইলেক্ট্রন একই সাথে দেওয়া নেওয়া করেছে বলে জারণ বিজারণ যুগপৎ ঘটেছে।