মৌলিক বর্ণ (Primary Colors) এবং পরিপূরক বর্ণ (Complementary Colors) হলো রঙের তত্ত্বের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এদের বোঝা রঙ নিয়ে কাজ করা শিল্পী, ডিজাইনার, এবং বিজ্ঞানীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মৌলিক বর্ণ (Primary Colors):
মৌলিক বর্ণ হলো সেই রঙগুলো, যা থেকে অন্য সব রঙ তৈরি করা যায়, কিন্তু এগুলো অন্য কোনো রঙ থেকে তৈরি হয় না। মৌলিক বর্ণগুলোর দুটি প্রধান ধরন রয়েছে, যেগুলো নির্ভর করে রঙের মডেলের উপর:
1. আলো ভিত্তিক (Additive Color Model - RGB Model):
লাল (Red), সবুজ (Green), নীল (Blue): এই তিনটি মৌলিক বর্ণ মিশিয়ে বিভিন্ন রঙ তৈরি করা হয়, যেমন লাল ও সবুজ মিশিয়ে হলুদ তৈরি হয়। টিভি, কম্পিউটার স্ক্রিন, এবং অন্য যে কোনো ডিভাইসে যেখানে আলো ব্যবহার করে রঙ দেখানো হয়, সেখানে এই RGB মডেল ব্যবহৃত হয়।
2. রঞ্জক বা পিগমেন্ট ভিত্তিক (Subtractive Color Model - CMY/RYB Model):
লাল (Red), নীল (Blue), হলুদ (Yellow): এই মডেলটি মূলত চিত্রকলায়, প্রিন্টিং, এবং যেখানে রঙের পিগমেন্ট ব্যবহার করা হয় সেখানে প্রয়োগ করা হয়। তিনটি মৌলিক বর্ণ থেকে অন্যান্য রঙ যেমন সবুজ, বেগুনি, কমলা ইত্যাদি তৈরি করা হয়।
পরিপূরক বর্ণ (Complementary Colors):
পরিপূরক বর্ণ হলো এমন দুটি রঙ, যেগুলো একে অপরের বিপরীত অবস্থানে থাকে এবং একসঙ্গে ব্যবহৃত হলে তারা একে অপরকে উজ্জ্বল করে তোলে। পরিপূরক বর্ণ মিশ্রিত করলে সাধারণত ধূসর বা সাদাটে রঙ তৈরি হয়।
RGB মডেলে পরিপূরক বর্ণ:
লাল ↔ সবুজ
নীল ↔ হলুদ
বেগুনি ↔ হলুদাভ সবুজ
RYB মডেলে পরিপূরক বর্ণ:
লাল ↔ সবুজ
নীল ↔ কমলা
হলুদ ↔ বেগুনি
পরিপূরক বর্ণের সংমিশ্রণ গ্রাফিক ডিজাইন, চিত্রকলা এবং অন্যান্য ভিজ্যুয়াল মিডিয়াতে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি কনট্রাস্ট এবং ব্যালান্স তৈরি করতে সহায়ক হয়।