উপকারীতা ও গুনাগুনঃ ১। স্নায়ুশক্তি বৃদ্ধি ও শারীরিক দুর্বলতা : শতমূলীর রস (কাঁচা) ১৫-২০ মিলি. (৩-৪ চামচ) ১ গ্লাস পরিমাণ দুধের সাথে মিশিয়ে সকাল ও বিকেলে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে উল্লিখিত নিয়মে ১০-১৫ দিন সেবন করে যাওয়া উচিত। ২। শুক্রমেহ ও স্বপ্নদোষ প্রশমনে : ১০ গ্রাম পরিমাণ শতমূলী চূর্ণ প্রত্যহ দুধসহ দু’বার সেবন করলে ফল পাওয়া যায়। উল্লিখিত নিয়মে ১ মাস সেবন করে যাওয়া উচিত। ৩। স্তন্য দুগ্ধ বৃদ্ধিতে : ৫ গ্রাম পরিমাণ শতমূলী চূর্ণ ও ৫ গ্রাম পরিমাণ অর্শ্বগন্ধ চূর্ণ একত্রে মিশিয়ে প্রত্যহ দু’বার সেবন করতে হবে। উল্লিখিত নিয়মে ৫-৭ দিন সেবন করতে হবে। ৪। মূল স্বল্পতায় : শতমূলীর রস ১৫-২০ ফোঁটা (৩-৪) চামচ এক গস পরিমাণ ডাবের পানির সাথে মিশিয়ে প্রত্যহ দু’বার সেবন করতে হবে। উল্লিখিত নিয়মে ৫-৭ দিন সেবন করতে হয়। এ ছাড়া * উচ্চরক্তচাপ কমায়। * এসিডিটি, দুর্বলতা, যেকোনো ধরনের ব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয় দূর করে। * শরীরের নানা ধরনের প্রদাহ, পাইল্স সারিয়ে তোলে। * চোখ ও রক্তের যেকোনো সমস্যা দূর করে। * নার্ভের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে। * শতমূলীর শিকড় লিভার, কিডনি ও গনোরিয়ার জন্য উপকারী। * যাদের বদহজমের সমস্যা রয়েছে, তারা শতমূলীর শিকড় রস করে তাতে মধু মিশিয়ে খান, উপকার পাবেন। * জরায়ুজনিত রোগ ছাড়াও লিউকোরিয়া রোগীদের জন্য ব্যবহার হয়। সাধারণত ব্যবহার : শতমূলী লতানো উদ্ভিদ বিধায় অনেকে বাগানে এবং বাড়ির আঙিনায় শোভা বৃদ্ধির জন্য এ গাছ লাগিয়ে থাকেন।