টেকনোলজির উপর ভিত্ত করে প্রিন্টার আবার দুই প্রকারঃ (ক) ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার এ ধরনের প্রিন্টারে একটি ইলেকট্রোমেকানিক্যাল প্রিন্টিং হেড থাকে। যাহার হাতুরি বা পিন রিবন ও পেপারের উপর আঘাত করে টেক্সট প্রিন্ট করে। যেমনঃ ডট-মেট্রিক্স প্রিন্টার, ডেইজি হুইল প্রিন্টার, চেইন প্রিন্টার , ড্রাম প্রিন্টার, বল প্রিন্টার। (খ) নন-ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার এ প্রিন্টারে কোন প্রিন্টিং হেড থাকেনা। এধরনের প্রিন্টার টেক্সট প্রিন্ট করার জন্য তাপীয়, রাসায়নিক, ইলেকট্রোষ্ট্যাটিক, লেজার বিম বা ইঙ্কজেট টেকলোজি ব্যবহার করে। ইঙ্ক জেট প্রিন্টার, প্রচলিত প্রিন্টার সমূহঃ ডট্ মেট্রিক্স প্রিন্টার ঃ ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার হিসেবে ডট্ মেট্রিক্স প্রিন্টার সবচেয়ে সস্তা। কিন্তু বেশ জনপ্রিয়। প্রিন্ট করার জন্য এ প্রিন্টারে একটি প্রিন্ট হেড থাকে, প্রিন্ট হেডে সাধারণত ৭, ৯, ১৮ অথবা ২৪ টি ছোট ছোট পিনের গ্রিড ব্যবহার করা হয়। ঐ পিনগুলি হতে কতগুলি পিনের মাথা রিবনের উপর আঘাত করে কাগজের উপর নির্দিষ্ট সংখ্যক বিন্দু বসিয়ে ক্যারেক্টার তৈরী করে। এ প্রিন্টারে ছাপানো ছবি বা ক্যারেক্টার স্মুথ বা সাবলীল হয়না। এ প্রিন্টার প্রতি সেকেন্ড ৩০ থেকে ৩০০ ক্যারেক্টার প্রিন্ট করতে পারে। বল প্রিন্টারঃ বল প্রিন্টার আর এক ধরনের ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার এতে একটি ঘূর্ণায়মান বল থাকে। যার গায়ে প্রতিটি ক্যারেক্টার থাকে এবং এখান থেকে রিবনে আঘাত করে টাইপরাইটারের মত ছাপা হয়। অপর এক ধরনের প্রিন্টার, ডেইজী হুইল প্রিন্টারও একই ধাচের। এদের উভয়ের প্রিন্টিং এর মান বেশ উন্নত কারণ এতে টাইপরাইটারের মত প্রতিটি ক্যারেক্টারের আলাদা ছাচ থাকে । আর এদেরকে টাইপরাইটার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।